বাংলাদেশে চার শ্রেণির মানুষের জন্য তরুণ সমাজে জ্ঞানদীপ্তি ঘটছে না। এই চার শ্রেণির মানুষ ও জ্ঞানদীপ্তিতে তাঁদের সৃষ্ট পাহাড়সম প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিম্নে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো:
১) বুদ্ধিজীবি শ্রেণি: যে কোনো শাস্ত্রেই কিছু পরিভাষা থাকে। এই পরিভাষাগুলো বহুজনের প্রচেষ্টায় কালক্রমে গড়ে উঠে। এক একটি পরিভাষা প্রচুর চিন্তা-ধারণাকে ধারণ করে থাকে। পরিভাষা ব্যবহার করে লেখা কোনো রচনা বা সন্দর্ভে যে কোনো বিষয় শৃঙ্খলিতভাবে প্রতিভাত হয়। কিন্তু বুদ্ধিজীবিরা নিজের গভীর চিন্তাভাবনা খাটিয়ে জগত-জীবন সম্পর্কে লেখাজোখা করে থাকেন। কিন্তু তাঁদের লেখায় পরিভাষার প্রয়োগ থাকে না বলে, তাদের লেখা রচনা বা সন্দর্ভ দীর্ঘ হলেও, বিশৃঙ্খলভাবে সামান্য বিষয় পরিস্ফূট হয়। লেখায় ধারণাগত শৃঙ্খলা থাকে না বলে, অনেক বুদ্ধিজীবি একই বিষয়ে যুগযুগ ধরে লিখেও কোনো বিষয়ে সমাধান দিতে পারেন না। ফলশ্রুতিতে একই বিষয়ে প্রচুর রচনা বা সন্দর্ভ অস্তিত্ত্বমান হয় বটে, কিন্তু এগুলো দ্বারা জগৎ-জীবনের কোনো বিষয়েরই সমাধান মিলে না।
অথচ তরুণ সমাজের কাছে উপস্থাপিত পাহাড় সমান লেখাজোখা পড়ার সময় নেই, আবার পড়তে পারলেও সমাধান নেই। সে জন্য এ দেশের তরুণ সমাজ বুদ্ধিজীবিদের লেখা পড়ে ঘুরপাকের মধ্যে দিন কাঁটায়, কিন্তু সমাধান জোটে না। ফলশ্রুতিতে, বুদ্ধিজীবিদের লেখা থেকে তরুণ সমাজের জ্ঞানদীপ্তি ঘটার সুযোগ থাকে না।
বাকী অংশ আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমাপ্য
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৯