১। বাংলায় মুসলিম শাসন ৪ভাগে বিভক্ত: ১) দিল্লীস্থ তুর্কী সুলতানী শাসনামল, ২) স্বাধীন বাঙ্গলা সালতানাত বা সুলতানী শাসনামল, ৩) দিল্লীর মুগল/সূরীদের অধীন মুসলিম শাসনামল, ৪) স্বাধীন নওয়াবী আমল।
২। তুর্কী সুলতানগণ সমগ্র বাঙ্গালাকে একত্রীকরণ করেন
৩। ১৩৫২ সালে দিল্লীর বশ্যতা অগ্রাহ্য করে বাঙ্গলার অভিজাত শ্রেণী নিয়ে মুসলমানগণ বাঙ্গলা সালতানাত গঠন করেন। এই সময় সর্বপ্রথম এই ভূখণ্ডের নামে বাঙ্গলা আরোপিত হয়। এর আগে বাঙ্গলা বলে কোন রাজ্য বা সাম্রাজ্য ছিলো না।
৪। বাঙ্গলা সালতানাত আমলে আরাকান (রাখাইন) ও ত্রিপুরাকে বাঙ্গলার অধীনস্থ রাজ্যে পরিণত করা হয়। এতোবড় বাঙ্গলা ইতিহাসে আর কোন সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয়নি, আর হবেও না।
৫। বাঙ্গলা সালতানাত আমলে ইলিয়াস শাহী সুলতানগণ বাঙ্গলা ভাষাকে রাজসভার ও সাহিত্যের ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। অর্থ্যাৎ ইলিয়াস শাহী সুলতানগণই বাংলা ভাষা সৃষ্টি ও প্রতিষ্ঠিত করেন।
৬। বাঙ্গলা সালতানাত আমলে মধ্যযুগে বাংলায় সাহিত্যকর্ম রচনা শুরু হয় এবং তা নওয়াবী আমল পর্যন্ত অব্যাহতভাবে চলতে থাকে।
৭। আরাকান ও ত্রিপুরার রাষ্ট্রভাষা হয় বাংলা। এ সময় ত্রিপুরা ও আরাকানে রচিত সাহিত্য সম্ভার বাঙ্গালি সভ্যতার উন্নয়নে অবদান রাখে।
৮। বাঙ্গলা সালতানের ইলিয়াস শাহী সুলতানদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সূফীবাদী ইসলাম ধর্ম ও ভাববাদী বৈষ্ণব হিন্দু ধর্ম আন্দোলনের সূচনা হয়। সেন আমলে শৈব প্রভাবিত হিন্দুধর্মের বিপরীতে এই বৈষ্ণব হিন্দু ধর্মের প্রচারের ফলেই বাঙ্গলার অধিকাংশ মানুষ হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে। এর আগে সবাই নাথ ধর্মী অথবা ধর্মঠাকুর পূজারী ছিলো।
৯। কালীপূজার প্রচলন ঘটে নওয়াবী আমলে আর এই কালীপূজাই হিন্দু-মুসলমান বিভেদের সূত্রপাত ঘটায়। দূর্গাপূজার প্রচলনও এ সময় ঘটে।
শেষকথা: ফেসবুকে লেখা আর গবেষণা করা এক কথা নয়। গবেষণামূলক সন্দর্ভ না হলে কোনকিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। আর গবেষণা অত্যন্ত কঠিন ও শ্রমসাধ্য বিষয়।আর বাঙ্গালিরা গবেষণাই করতে চায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৬