বাঙ্গলার কিয়দংশে দাক্ষিণাত্য থেকে আগত সেনাগণ (অর্থ্যাৎ সৈন্যগণ) সেন সাম্রাজ্য (১০৭০-১২৩০ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাসে সেনগণ জাতিতে ব্রাহ্মক্ষত্রীয় বলে বিবৃত রয়েছে। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, তারা মূলত: বৈদ্য।
সূত্র: Inden, Ronald (1976). Marriage and Rank in Bengali Culture: A History of Caste and Clan in Middle Period Bengal. p. 60. ISBN 978-0-520-02569-1.
বৈদ্যদের পরিচিতি বাংলাপিডিয়াতে নিম্নরূপভাবে তুলে ধরা হয়েছে:
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের বর্ণনানুসারে ব্রাহ্মণ পিতা ও বৈশ্যমাতার সন্তানরা অম্বষ্ঠ, আর দেবচিকিৎসক অশ্বিনীকুমারের ব্রাহ্মণী স্ত্রীর সন্তানরা বৈদ্য। বৈদ্য ও অম্বষ্ঠ উভয়ই সৎশূদ্র। বৃহদ্ধর্মপুরাণে বৈদ্যবর্ণের উল্লেখ না থাকলেও অম্বষ্ঠদের উত্তম সংকর-শূদ্র উপবর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বৃত্তি চিকিৎসা ও আয়ুর্বেদ চর্চা বিধায় তারা বৈদ্য নামে পরিচিত।
বৈদ্যরা নিজেদের ব্রাহ্মণ বলে দাবি করলেও শাস্ত্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠিত নয়। সেন, সেনগুপ্ত, রক্ষিত, দাশ, দাশগুপ্ত, দত্ত, সরকার, কর, রায়, মল্লিক প্রভৃতি উপাধিধারিগণ সাধারণত বৈদ্য। ব্রিটিশ শাসনামলে তারা বর্ণহিন্দু হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং শিক্ষায় বিশেষ উন্নতি লাভ করে। সে সময় তাদের শিক্ষিতের হার ব্রাহ্মণদের চেয়েও বেশি ছিল এবং তারা অত্যধিক হারে কৌলিক বৃত্তি পরিত্যার করে অন্যান্য উচ্চবৃত্তি গ্রহণ করে। বাংলাদেশে বৈদ্যদের সংখ্যা অতি অল্প। [হীরালাল বালা]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫২