somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট খোলা চিঠি-০১-(রি-পোস্ট)

২৭ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী,
পোস্টের শুরুতে আমার অবারিত সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি পরম করুনাময়ের অসীম কৃপায় আপনার চেলাদের লইয়া সহীহ্‌ সালামতে আছেন।আপনার পিতা সমগ্র বাঙালী জাতির পিতা, সেই বিবেচনায় আপনি আমাদের দিদিমনি।

পরসমাচার, দিদিমনি গো, বাঙালি জাতির যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়া গিয়া ছিল তখনি তাহারা আপনার দিন বদলের সনদে একাত্মতা ঘোষনা করিয়াছিল। আপনার পিতা যে মাসে ধরনী মাতাকে বিজয়মাল্য পড়াইয়াছিলেন, সেই বিজয়ের মাসে আমরা আপনাকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আকর্ষনীয় লাল গদিখানায় বসাইয়াছিলাম। দিদিমনি গো, এই নরম গদিখানায় আপনার ৬ মাস অতিক্রান্ত হইয়াছে। যদি ও ধরিয়া লইতাছি- গদিখানায় বসিয়া দোল খাইতে খাইতে আপনার ৬ মাস কাটিয়া গিয়াছে। এখন একটু চোখ মেলিলেই দেখিতে পারিবেন প্রজারা কি রকম দূর্দশায় দিনাতিপাত করিতেছে।

ভারতের সহিত আপনার অতিশয় মাখামাখির স্বভাবখানা আপনি এখনো ত্যাগ করিতে পারেন নাই। যুদ্ধকালীন সময়ে ইন্দিরা গান্ধী তাহার রাজ্যে আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়াছিলেন- তথাপি পিতা তাহাদের সহিত কোন ধরনের মাখামাখিতে যান নাই- কারন তিনি জানিতেন, ইন্দিরা পাকা খেলোয়াড়- বৈধ শর্তের বিনিময়ে তিনি আন্ত:পক্ষীয় লেনদেন চালাইয়াছেন। আপনার ভাবখানা এমন- ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সামনে গিয়া পড়িলে তাহার পা চাটিবার জন্য আপনার জিহ্বা হইতে লোল পড়িতে থাকে- যতক্ষণ পর্যন্ত তাহার পা চাটিতে না পারেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি ক্ষান্ত হন না। দিদিমনি গো, পিনাক রন্জন আমাদের জাতির পিতার বন্ধু ছিলেন- কিন্তু আপনি তো আমাদের ধরনী মাতার দলনেত্রী- আপনি যদি তাহার পদযুগল ধরিয়া কূর্নিশ করেন তাহাতে পিতার প্রতি কোন প্রকার সম্মান প্রকাশ পায় না- বরং ধরণীমাতা আপনার এহেন ব্যবহারে ছোট হইয়াছেন।

দলের বুড়ো খোকা এবং কিছু নিবেদিত প্রান আপনার মন্ত্রীত্বপ্রাপ্তির স্নেহ হইতে বাদ পড়িয়াছে- ইহাতে পরিশেষে আপনারই বিপদ ঘটিবে। কচি খোকাখুকিদের লইয়া যে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করিয়াছেন তাহা আস্থার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হইয়াছে। অবশ্য ইহাদের কোন দোষ আমি দেখি না- গলফ্‌ খেলোয়াড়দের জবরদস্তি করিয়া হা-ডু-ডু খেলিতে দিলে তাহা মোটেই স্বস্তিকর হবে না।

দিদিমনি গো, আপনার স্নেহ মমতায় লালিত পালিত ছাত্রলীগ যেভাবে বিরোধীদলীয় ছাত্রনেতা-কর্মীদের পিটাইয়া ছাতু বানাইতেছে তাহাতে মনে হইতেছে ইহাদের পূর্বপুরুষ দক্ষ ছাতুকার ছিলেন। অবশ্য ইহাতে আপনার বিরোধীদল দূর্বল হইয়া পড়িবে- যা আগামী নির্বাচনে আপনার বিজয়ের পথ সুগম করিবে। কিন্তু, সাবধান, শোনা যাইতেছে, ছাত্রলীগ নাকি নিজেরা নিজেরা মারিং পিটিং করিয়া ছাতু হইতাছে-ইহা অতিশয় ভয়ংকর কথা।

শেষপ্রান্তে আপনাকে একখানা ধন্যবাদ দিতে চাই- দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য। কিন্তু, আপনি আপনার দেয়া কথা মত চালের দাম ১০ টাকায় আনিতে পারেন নাই- আমরা ও জানি ইহা সম্ভব নহে। দিদিমনি গো, আপনি একজন প্রধানমন্ত্রী- প্রধানমন্ত্রীর মুখ যদি কনডমজাতীয় পিচ্ছিলকারক বস্তু হয় তাহা অতিশয় ক্ষতিকারক। আপনাকে একখানা বুদ্ধি দেই- ভাষন দেয়ার পূর্বে দুই ঠোঁটে ALTECO SUPERGLUE মাখাইয়া আলগা রাখিয়া শুকাইয়া লইবেন- ১০০% গ্যারান্টি, আপনার মুখ হইতে ফাউল কথা বাহির হইবে না।

আর হ্যা! আসল কথা তো বলাই হ্য় নাই- মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম ৫০ জন শীর্ষ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করিয়াছে- যাহাদের জন্ম শূয়রের বীর্য্য হইতে- সকল রাজাকারদের বিচারের দাবি আমরা করিতেছি না- এই ৫০ জন শীর্ষ রাজাকারের বিচার যদি আপনার রাজত্বকালে না করিয়া যাইতে পারেন তাহলে আপনার চর্ম পরবর্তী নির্বাচনের আগে আপনার শরীর হইতে জনতা খালাইয়া লইবে।

শুভাচ্ছান্তে
আপনার একান্ত অনুগত
বিলাত প্রবাসী ভ্রাতা। :((
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:০২
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×