এক
আমার নেট জগতে এত বিচরণ, প্রায় দৈনিক ১৮/২০ ঘন্টা । কিন্তূ লেখা লেখি অনেক নগন্য, কারণ কোন কিছুই শেষ করতে পারিনা, শুধু মাত্র শুরুতেই যেন শেষ হয়ে রয় । বেশ কয়েকটি কবিতার ১০,১২ লাইন করে লেখেছি এক সঙ্গে তিনটি গল্পের সুচনাও হয়েছিল অনেক কষ্টে তা ২০ এর উপরে গিয়ে পৃষ্টার হোচট খেয়েছে আর লিখতে পারি না লিখতে বসবো বসবো করে দিন চলেছে তো চলছেই ।আবার কখনো কখনো এদিক সেদিক চলার সময়, টেলিভিশনের সংবাদ কিংবা বাজে অনুষ্ঠান সম্প্রচার, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার বিষয় অথবা ব্লগে ব্লগে ফাজলামো কিছু নিয়ে লিখবো কিন্তূ লিখতে গেলেই আর ভাল লাগে না ।
কারণ, মনে হয় ব্লগে ব্লগেও রাজনীতি চলে এসেছে, এখানে অনেক ভাল ভাল লেখক লেখিকার বিচরণ আছে, তবে তারা সব সময় আরালেই থাকে, তাদের কদর মরণের পরেই যেন ঠাই পায় ।
একজন ভাল ব্লগারের সুন্দর লেখাটিও যেন মিশে যায় পৃষ্টার উপর পৃষ্টায় হয়তো কয়েক জন মাত্র তা অবলোকন করে থাকে, পহ্মান্তরে যদি কেই ব্লগে লিখে আজ আমি অফিসে চাড্ডি পড়ে আসিনি,১৮ + কিংবা মেয়ে নিক নিয়ে লিখছে সেখানে অনেকে হুমুরী খেয়ে পড়ছে ।
এই লেখা গুলোর চাপে পড়ে অনেক সুন্দর সুন্দর লেখা আজ সাগরে গিয়ে ডুবে আছে। আমার এক পরিচিত জন, এই ব্লগেই ইভটিজিং নিয়ে অনেক লেখা লেখি করেছে,ছুটির দিনে একদিন তার সঙ্গে দেখা হল সাগরের পাড়ে, সেখানে অনেক দর্শনার্থী ছেলে মেয়ে, কিশোর কিশোরী, আবার কেউবা এসেছে পরিবার সহ ।
সবাই তাকিয়ে আছে সাগরের পানে দূর থেকে দূরান্তে, ছোট্র দুটি চোখ যতদূর যায় শুধু পানি আর পানি মাঝে মাঝে সাদা পেখমের পাখি গুলো উঠছে, বাতাসে ভর করে কতই না আনন্দ ।আকাশের পানে তাকিয়ে দেখলাম নীল আকাশ কোথাও যেন এক বিন্দু মেঘ নেই, একি সুন্দর কারূকাজ । বিধাতার তৈরী এই ভূবণ, কত শত লেখক লিখেছে কবিতার ভাষায়,
হারিয়ে যেতে এই সাগরে কিংবা দূর আকাশে কিন্তূ কেউ পারেনি ।
আমিও হারিয়ে যেতে চাই এখানে, হইতো আমার ও সাধ্য নেই ।
মানুষ তার জীবনের অনেক কিছু না পেয়ে হারিয়ে যায় তার চাওয়ার আকাংখা,
এই কথা গুলোই ভাবছি সাগরের দিকে তাকিয়ে ।অনেকে বলে সাগরে গেলে মানুষের মন অনেক বড় হয়, সত্যি যেন আমারও তাই মনে হয়।
আমাদের পাশ কেটে একজন অনুঢা মেয়ে চলে গেল, অনেক সুশ্রী সাদা বর্ণের, সেই বৈশাখী কালো মেঘের মত চুল,সাদা দাঁতের ফাক দিয়ে বেরিয়ে আসছে তার মিষ্টি হাঁসি, পরণে ছিল সাদা জামা, সাগরে গোসল করার পর তা ভিজে যেন চেপে বসেছে তার শরীরে ।
এমনি সময় সেই পরিচিত জন একটি বদ কমেন্ড করে বসলো ।
আমি বললাম তুমি না ইভটিজিং সম্পর্কে এত কিছু লিখলা, শেষে তুমি পারলে এই কথাটা বলতে ?
সাগরে আসলে মানুষের মন বড় শুনেছি, তবে কারো কারো মন ছোট হয় তা দেখে গেলাম আজ ।
দুই
আজ একটি বিষয় আমার মনে বার বার খোচা দিচ্ছে, তা হল মাঝে মাঝেই বিজ্ঞ্যানী কিংবা যারা বেশী বেশী গবেষেণা করে তাদের পাগোল ভাবি ।
১ম আলোর খবরে দেখলাম মানুয়ের জন্ম কিভাবে হয়েছে, আমরা নাকি আগে কখনো বান্দর কিংবা শিম্পান্জী ছিলাম, এই লেখাটি আগেও পড়ে ছিলাম, প্রাণীর জীবন চক্রে ।আমাদের নাকি লেজ ছিল তা এক সময় ঝরে পড়ে আমরা মানুষ হয়ে যাই, তবে আজ অবধি যারা বান্দর কিংবা শিম্পন্জি আছে তাদের লেজ কেটে দেয়ার পরেও মানুষ হচ্ছে না কেন ?
Click This Link
এটা একটি পাগোল মতবাদ ছাড়া আর কিছুই না,
আপনি হয়তো জানেন ত্রিশ দিনে মাস হয়, এটা সেই ছোট কালের পড়া, এখনো একটি ছোট্র বাচ্চাকে যখন পড়ানো হয় তখনও তাই বলা হয় ৩০ দিনে এক মাস,সাত দিনে এক সপ্তাহ ।
কিন্তূ একটু বড় হয়েই আর যেন তা মানতে চাই না, কেন ?
সত্য কথা হল, আপনি মুসলমান আপনার রায় তারা মানতে চায় না, আদম (আঃ) পৃথিবীতে প্রথম মানব জাতি ।মহান আল্লাহপাক যাকে সৃষ্টি করেছেন ।যদি আদম (আঃ) কে বিশ্বাস করেন তবে আল্লাহকেও বিশ্বাস করতে হবে, তাই পশ্চিমা বিজ্ঞ্যানীদের এত এত ভূল মুদবাদ ।
আল্লাহ পাক চন্দ্র সৃষ্টির মাধ্যমে সুন্দর মাস গগণার দিন ধাজ্য করেছেন, কিন্তূ আমরা মাস গগণা করছি কোনটা ৩০ কোনটা ৩১ আবার ২৯ও আছে ।
চন্দ্রকে লহ্ম করলেই তার সমাধান জুটে যাবে,
বিজ্ঞ্রানীদের অবদান অতুলনীয় যার কোন সীমা নেই, কিন্তূ কখনো কখনো বিতর্কিত মতবাদ গুলো বিষিয়ে তোলো ।