নাস্তিক হল সেই যার ঈশ্বরের
প্রতি বিশ্বাস নেই!
অর্থাৎ সে যে ধর্মেরই হোকনা,কোন
ধর্মের প্রতি তার বিশ্বাস
নেই,এবং খোদা বলুক অর ঈশ্বর
কিংবা ভগবানই বলুক,কোন
স্রষ্টাতেই তার বিশ্বাস
নেই,তাই
সে ধর্ম নিয়ে কিছু বলেনা!
কিন্তু ধর্ম নিয়ে যখন কেউ
কুরুচিপূর্ণ কথা বলে,অশ্রাব্য
কোন মতামত দেয় বা কার্টুন
আঁকে বাক প্রকাশের
স্বাধীনতা বলে,তখন কিন্তু
তাকে আর নাস্তিক
বলা যায়না,তখন
সে হয়ে যায় ধর্মবিদ্বেষী!
একজন নাস্তিককে যা হোক
মেনে নেয়া যায়,কারণ কেউ মন
থেকে বিশ্বাস না করলে জোর
করে তাকে বিশ্বাস
করানো যায়না;কিন্তু
ধর্মবিদ্বেষীকে কোনভাবেই
মেনে নেয়া যায়না!
ধর্মের নামে কটু কথা বলে সাধারণ
ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয়
বিশ্বাসে আঘাত করার
বা তাদের
বিশ্বাসে দ্বিধা ছড়ানোর
অধিকার তো নেই!
কেউ ধর্ম বিশ্বাস না করতেই
পারে,বাট সাধারণ মানুষ
তো করে,তাই ধর্মবিদ্বেষী কোন
কটুক্তি করে মানুষের
মনে কনফিউশন সৃষ্টি করার
মানে হয়না,তা যে ধর্মেরই
প্রতি হোকনা কেন?!
কোন ধর্মকেই হেয় করা উচিত
নয়,প্রতিটা ধর্মের মানুষের
কাছে নিজের ধর্ম সমান
গুরুত্বপূর্ণ! বাক প্রকাশের
স্বাধীনতা মানে এই নয় যে,ধর্ম
নিয়ে যা তা কটুক্তি করা যাবে,কারন
সবাই তো আর বোকা হাদারাম
নাহ!
বরং এতে 'বাক প্রকাশের
স্বাধীনতা'মর্মার্থটিরই যথেষ্ট
অবমাননা করা হয়!
কিছু মানুষ দ্বারা আমাদের দেশ
এখন বিভক্ত হয়ে গেছে দুই দলে!
এক
হল-ধর্মবিদ্বেষী উগ্র',আরেক
হল-'ধর্মান্ধ উগ্র'! এই দুই শ্রেণীরই
মানুষের তেমন কিছু
হচ্ছেনা,নিজেরা নিজেরা লাঠি ঠোকাঠুকি করছে,কথা
ঠোকাঠুকি করছে,আর
মাঝখান থেকে আঘাত
পাচ্ছি আমরা সাধারণ ধর্মপ্রাণ
মানুষরা;সংশয়
সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের ধর্মীয়
অনুভূতিতে........
ধর্ম
নিয়ে যারা কটুক্তি করে,বিদ্বেষ
ছড়িয়ে মানুষের মনে সংশয়
সৃষ্টি করে,তাদেরকে কখনো জ্ঞানী বলা যায়না,আসলে তারা
'নিরেট
মূর্খ'!কারণ ধর্ম
নিয়ে আসলে বিদ্বেষ
করা যায়না,যা করা যায় তা হল
বিশ্লেষণ! কোন জিনিসটা ভুল
কি সত্যি,কোন
ব্যাপারটা মানা যাবে কি যাবেনা,তা দুচার
কথায় হুটহাট বলে দিলেই
হয়ে গেলনা!বিজ্ঞানে যেমন
বিশ্লেষণ ছাড়া কিছু
বলা যায়না,তেমনি ধর্মীয়
গ্রন্থগুলোও এক ধরনের
বিজ্ঞান;আর এসবও কখনও
বিশ্লেষণ
করা ছাড়া মন থেকে প্রসূত
এমনি এমনি নিরেট কোন
যুক্তি দাঁড় করানো যায়না!
ধর্মকে অস্বীকার
করা আসলে নিজের অস্তিত্বকেই
অস্বীকার করা!
কারণ সে ব্যক্তি আসলে কোত্থেকে এসেছে সে প্রশ্ন
করতে করতেই
যদি সে গভীরে চলে যায়,তবে সে কোন
না কোন এক স্রষ্টার কথা স্বীকার
না করে পারবেনা! আর
যারা স্বীকার
করতে চায়না তাদের
অস্তিত্বগুলো এভাবেই বিলীন
হয়ে যায়,
যেমমনটা আমরা দেখছি আর
কি এখন!
ধর্মকে যদি সত্যিই
পুরোপুরিভাবে বিশ্লেষণ
করতে পারত,তবে সেই
মূর্খজ্ঞানী মানুষগুলো কখনো ধর্ম
নিয়ে এভাবে কিছু বলতে সাহস
রাখত কিনা সন্দেহ!
ধর্মীয় বিধানগুলো আসলে মানতে যারা ভয়
পায়,তারাই
স্রষ্টা বা ধর্মকে অস্বীকার
করে এসব
থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়!
কারন যারা সত্যিকার অর্থে বিশ্লেষণ
করতে পেরেছে,তারা এই অলীক
সংসারধর্ম ত্যাগ করেছে!
আমরা বেশিই ভাগ মানুষ
সংসারধর্মকে ত্যাগ করতে ভয়
পাই!
তাই আমরা ধর্মীয়
বিধানগুলো বিশ্লেষণ করিনা!
কিন্তু আমরা ধর্মকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস
করি;তাই ধর্মীয় কোন
কটুক্তি দ্বারা আমাদের
মনে কোন সংশয় সৃষ্টি হোক
তা আমাদের কাম্য নয়;সেই
মানুষগুলোও কাম্য নয়......