somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

Riazkhan
কেউ যখন কাউকে সাহায্য করার জন্য হাত বাড়ায় তখন তার নিজেকে সাহায্য করার জন্য সেই হাতকে ফিরিয়ে আনতে হয় না, কারন তখন সহস্র হাত তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে।

নাস্তিক আর ধর্মবিদ্বেষী।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাস্তিক হল সেই যার ঈশ্বরের
প্রতি বিশ্বাস নেই!
অর্থাৎ সে যে ধর্মেরই হোকনা,কোন
ধর্মের প্রতি তার বিশ্বাস
নেই,এবং খোদা বলুক অর ঈশ্বর
কিংবা ভগবানই বলুক,কোন
স্রষ্টাতেই তার বিশ্বাস
নেই,তাই
সে ধর্ম নিয়ে কিছু বলেনা!
কিন্তু ধর্ম নিয়ে যখন কেউ
কুরুচিপূর্ণ কথা বলে,অশ্রাব্য
কোন মতামত দেয় বা কার্টুন
আঁকে বাক প্রকাশের
স্বাধীনতা বলে,তখন কিন্তু
তাকে আর নাস্তিক
বলা যায়না,তখন
সে হয়ে যায় ধর্মবিদ্বেষী!
একজন নাস্তিককে যা হোক
মেনে নেয়া যায়,কারণ কেউ মন
থেকে বিশ্বাস না করলে জোর
করে তাকে বিশ্বাস
করানো যায়না;কিন্তু
ধর্মবিদ্বেষীকে কোনভাবেই
মেনে নেয়া যায়না!
ধর্মের নামে কটু কথা বলে সাধারণ
ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয়
বিশ্বাসে আঘাত করার
বা তাদের
বিশ্বাসে দ্বিধা ছড়ানোর
অধিকার তো নেই!
কেউ ধর্ম বিশ্বাস না করতেই
পারে,বাট সাধারণ মানুষ
তো করে,তাই ধর্মবিদ্বেষী কোন
কটুক্তি করে মানুষের
মনে কনফিউশন সৃষ্টি করার
মানে হয়না,তা যে ধর্মেরই
প্রতি হোকনা কেন?!
কোন ধর্মকেই হেয় করা উচিত
নয়,প্রতিটা ধর্মের মানুষের
কাছে নিজের ধর্ম সমান
গুরুত্বপূর্ণ! বাক প্রকাশের
স্বাধীনতা মানে এই নয় যে,ধর্ম
নিয়ে যা তা কটুক্তি করা যাবে,কারন
সবাই তো আর বোকা হাদারাম
নাহ!
বরং এতে 'বাক প্রকাশের
স্বাধীনতা'মর্মার্থটিরই যথেষ্ট
অবমাননা করা হয়!
কিছু মানুষ দ্বারা আমাদের দেশ
এখন বিভক্ত হয়ে গেছে দুই দলে!
এক
হল-ধর্মবিদ্বেষী উগ্র',আরেক
হল-'ধর্মান্ধ উগ্র'! এই দুই শ্রেণীরই
মানুষের তেমন কিছু
হচ্ছেনা,নিজেরা নিজেরা লাঠি ঠোকাঠুকি করছে,কথা
ঠোকাঠুকি করছে,আর
মাঝখান থেকে আঘাত
পাচ্ছি আমরা সাধারণ ধর্মপ্রাণ
মানুষরা;সংশয়
সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের ধর্মীয়
অনুভূতিতে........
ধর্ম
নিয়ে যারা কটুক্তি করে,বিদ্বেষ
ছড়িয়ে মানুষের মনে সংশয়
সৃষ্টি করে,তাদেরকে কখনো জ্ঞানী বলা যায়না,আসলে তারা
'নিরেট
মূর্খ'!কারণ ধর্ম
নিয়ে আসলে বিদ্বেষ
করা যায়না,যা করা যায় তা হল
বিশ্লেষণ! কোন জিনিসটা ভুল
কি সত্যি,কোন
ব্যাপারটা মানা যাবে কি যাবেনা,তা দুচার
কথায় হুটহাট বলে দিলেই
হয়ে গেলনা!বিজ্ঞানে যেমন
বিশ্লেষণ ছাড়া কিছু
বলা যায়না,তেমনি ধর্মীয়
গ্রন্থগুলোও এক ধরনের
বিজ্ঞান;আর এসবও কখনও
বিশ্লেষণ
করা ছাড়া মন থেকে প্রসূত
এমনি এমনি নিরেট কোন
যুক্তি দাঁড় করানো যায়না!
ধর্মকে অস্বীকার
করা আসলে নিজের অস্তিত্বকেই
অস্বীকার করা!
কারণ সে ব্যক্তি আসলে কোত্থেকে এসেছে সে প্রশ্ন
করতে করতেই
যদি সে গভীরে চলে যায়,তবে সে কোন
না কোন এক স্রষ্টার কথা স্বীকার
না করে পারবেনা! আর
যারা স্বীকার
করতে চায়না তাদের
অস্তিত্বগুলো এভাবেই বিলীন
হয়ে যায়,
যেমমনটা আমরা দেখছি আর
কি এখন!
ধর্মকে যদি সত্যিই
পুরোপুরিভাবে বিশ্লেষণ
করতে পারত,তবে সেই
মূর্খজ্ঞানী মানুষগুলো কখনো ধর্ম
নিয়ে এভাবে কিছু বলতে সাহস
রাখত কিনা সন্দেহ!
ধর্মীয় বিধানগুলো আসলে মানতে যারা ভয়
পায়,তারাই
স্রষ্টা বা ধর্মকে অস্বীকার
করে এসব
থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়!
কারন যারা সত্যিকার অর্থে বিশ্লেষণ
করতে পেরেছে,তারা এই অলীক
সংসারধর্ম ত্যাগ করেছে!
আমরা বেশিই ভাগ মানুষ
সংসারধর্মকে ত্যাগ করতে ভয়
পাই!
তাই আমরা ধর্মীয়
বিধানগুলো বিশ্লেষণ করিনা!
কিন্তু আমরা ধর্মকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস
করি;তাই ধর্মীয় কোন
কটুক্তি দ্বারা আমাদের
মনে কোন সংশয় সৃষ্টি হোক
তা আমাদের কাম্য নয়;সেই
মানুষগুলোও কাম্য নয়......
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×