somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

ভূমিকম্পের ইতিকথা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভূমিকম্প এবং ভূমিকম্পে আমাদের করণীয়

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভূমিকম্প... এক বিভীষিকার নাম। গতকাল নেপালে এই দুর্যোগটির সৃষ্টি হলেও এর আশেপাশের কোন জায়গা কিন্তু এর সামান্যতম হলকা থেকে বাঁচতে পারেনি । নেপালের লামঝুং এর উৎসস্থল হলেও এটির প্রভাব পড়েছে ভারত, পাকিস্তান, তিব্বত, ভূটান, বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে। কাল ভূমিকম্পের পর একটা জিনিস USGS এর সাইটে দেখতে গিয়ে খুব খুব অবাক হলাম... কাল সেখানে পর্যায়ক্রমে প্রায় অনেকবার ভূমিকম্প হয়েছে... কিন্তু ১২ টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ সময় যেটা আঘাত মারে সেটার মাত্রা ৭.৯ ছিল এবং প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট পড়ে আবার সেটার ফিরতি রূপের আঘাতের মাত্রা ছিল ৬.৫। এই ভূমিকম্পের ফলে ইতিমধ্যে ২৫০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আহতের সংখ্যা তো ৪৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে নেপাল এই ধরণের বিভীষিকাময় ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছিল ১৯৩৪ সালে...যাকে Nepal-Bihar Earthquake ও বলা হয় যার মাত্রা ছিল ৮.২ এবং এই ভূমিকম্পে তৎকালীন সময়ে ১৯০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল ! নেপালের এই ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, Main Frontal Thrust along the slip…অর্থাৎ সেই জায়গাতে কোন কিছু হয় Uplift এর প্রক্রিয়াতে রয়েছে অথবা Subside এর। বাংলাদেশে এর কিছুটা হলকা গতকালও পড়েছে এবং আজও… tremor বলে যাকে । গতকালে USGS এ দেখেছিলাম, বাংলাদেশে ভূমিকম্পের তীব্রতা বা Intensity যাকে বলে তার মাত্রা ঢাকা এবং রাজশাহী শহরে ছিল IV এবং অন্যান্য জায়গায় III. যেখানে নেপালে ভূমিকম্পটির Intensity ছিল IX—Marcelli র Intensity Scale অনুসারে যাকে Violent বলা হয়ে থাকে ! কালকে কিন্তু নেপালে যে শুধু ২ বার ভূমিকম্প হয়েছে তা নয়... বহুবার হয়েছে... কিন্তু কোনটার মাত্রা ৬ ছাড়িয়ে যায়নি। আজ সকালেও সেখানে ৪-৫ মাত্রার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে অনেক বার ভূমিকম্প হয়েছে। গতকাল নেপালের এই ভূমিকম্প ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মাত্রার ৬৬৭ টি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে সেটি কি জানেন? কিংবা আজকে দিনের শুরুতেই ১১৯ টা এই অবধি ? কিছু আগে আজকে যে ভূমিকম্প ঝাঁকুনি দিয়ে গেছে তার মাত্রা ছিল ৬.৭ এবং উৎসস্থল ছিল সেই নেপালেই, কোদারিতে। অনেক কথা শুরুতেই বলে ফেললাম, এবার আসুন বিভীষিকাস্বরূপ এই দুর্যোগ- ভূমিকম্পের কিছু ইতিকথা জেনে নেই নিজেদের সুবিধার্থেই এবং সাথে বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব এবং আমাদের করণীয় কি সেটাও আলোচনা থাকবে।

নেপাল- বিহারের সেই ১৯৩৪ সালের ভূমিকম্পের চিত্র--



পোস্টের শুরুতে এই লিংক গুলো দেয়া থাকলো যাতে Earthquake Track Map রয়েছে--

http://earthquaketrack.com/
http://earthquake.usgs.gov/earthquakes/eventpage/us200029bt#scientific_summary
http://earthquake.usgs.gov/earthquakes/eventpage/us2000292y#general_summary

ভূমিকম্প কি ?

ভূমিকম্প মানে আমরা সাধারণ মানুষেরা যেটা বুঝি সেটা হল ভূতুড়ে ভাবে সব কিছু কেঁপে উঠা... পায়ের নীচের মাটি থেকে শুরু করে মাথার উপর ফ্যান পর্যন্ত!! প্রথমত বলে দেই ভূতুড়ে ভাবে দুনিয়ার কোন কিছু কাঁপে না, ভূমিকম্প কোন ভূতুড়ে ঘটনা নয়...a natural phenomena...ভূমিকম্প হয় মূলত পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ্ কিছু seismic plate এর শক্তি বা energy release এর কারণে। তাই ভূমিকম্পের সোজা ব্যাখ্যা, ভূগর্ভস্থ জায়গাটিতে বড় কোন ঘটনা ঘটছে অথবা ঘটনার পূর্বাভাস দিয়ে গেল প্রকৃতি ভূমিকম্প হিসেবে !

ভূমিকম্পের পিছনে Myth গুলো কি ?


Norse Mythology র মতে, ভূমিকম্প তাদের দেবতা Loki র কারণে হয়ে থাকে। Loki তাদের অনিষ্টের দেবতা যার কোন উপকারী ভূমিকা নেই। সৌন্দর্য এবং আলোর দেবতা Baldr কে খুনের অভিযোগে তার উপর শাস্তি ন্যস্ত হয়েছিল, তাকে একটি গুহাতে বন্দী অবস্থায় রাখা হবে এবং তাকে সর্বক্ষণ পাহারা দেয়ার জন্য একটি বিষাক্ত সরীসৃপকে তার মাথার উপরে বসিয়ে দেয়া হবে যাতে করে সরীসৃপটির মুখ হতে নিঃসৃত বিষ Loki র মাথার উপর সবসময় পড়তে থাকে। Loki র স্ত্রী Sigyn একটি বাটি হাতে নিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকত বিষ সংগ্রহের জন্য যাতে Loki র উপর কোন বিষ না পড়ে। কিন্তু যখন Sigyn পূর্ণ হওয়া বাটি খালি করতে যেত, Loki র মুখে কিছুটা হলেও বিষ পড়ত। যা তাকে রাগান্বিত করত। এর ফলে Loki তার মাথা ঝাড়া দিত এবং তার বন্দী দশা থেকে মুক্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা চালাত... যার ফলেই নাকি ভূমিকম্পের সৃষ্টি ! Greek Mythology র মতে, Poseidon ভূমিকম্প সৃষ্টি করে কারণ সে ভূমিকম্পের দেবতা। যখন তার মন মেজাজ ভালো থাকে না, তখন সে তার ত্রিশূলরূপী অস্ত্র দিয়ে মাটিতে আঘাত করে থাকে যার ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। Japanese Mythology র মতে, Namazu নামের একটি দৈত্য আকৃতির শিং মাছ ভূমিকম্পের কারণ। Namazu পৃথিবীর মাটির নিচে অবস্থান করে এবং Kashima নামের দেবতা বিধ্বংসী মাছটিকে সবসময় একটি পাথরের সাথে বেঁধে রাখে। যখন Kashima র বাঁধন থেকে সে কিছুটা অবমুক্ত হয়, সে আবার পৃথিবীকে ধাক্কা দেয় এবং এর ফলে ভূমিকম্প হয় !

Norse Mythology র যে গল্পটি বললাম তার চিত্র---




Greek Mythology র Poseidon অর্থাৎ ভূমিকম্পের দেবতা--




Japanese Mythology র যে Namazu মাছটির কথা বললাম তার কল্পিত চিত্র---




ভূমিকম্পের কারণগুলো মূলত কি ?

আমাদের এই পৃথিবীর ভূত্বককে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে- Crust (Upper Portion), Mantle (Middle Portion ) এবং Core (Bottom Portion). এই Crust এর আবার দুইটি ধরণ হয়ে থাকে- Oceanic Crust (সমুদ্র ভাগের নিম্নদেশে অবস্থিত) এবং Continental Crust ( স্থল ভাগের অংশ)। Geology তে একটি অংশ রয়েছে যাকে Tectonics বলা হয়ে থাকে, যার বিবরণ অনুসারে পৃথিবী পুরোটায় অনেকগুলো Tectonic Plate এর সমন্বয়ে গঠিত যার মধ্যে কিছু Major Plate রয়েছে আবার কিছু আছে Minor Plate. এই plate গুলো মূলত বড় বড় অভ্যন্তরস্থ্ পাথরের থালার ন্যায় অংশ যা movement করতে সক্ষম। এই plate গুলো পরস্পর সন্নিবেশিত অবস্থায় থাকে। যেমন ধরুন বাংলাদেশের কথা, আমাদের দেশ তিনটি tectonic plate এর সন্ধি জায়গায় অবস্থান করে... যাদের বলা হয় Indian Plate, Burmese Plate এবং Eurasian Plate. এদের মধ্যে Indian এবং Eurasian- Major Plate এবং Burmese- Minor Plate. এখন দুইটা tectonic plate সচরাচর একটা অপরটার উপরে বা নীচে অবস্থান করে। Plate গুলোর যখন movement হয় তখন প্রচুর পরিমাণে magnetic শক্তি নির্গত হয়... যার ফলে কিছুটা দায়ী এই ভূমিকম্প। Earthquake primarily results due to plate movements which causes either upliftment or subsidence. আর plate tectonics এর ভাষাতে Triple Junction নামের একটি zone থাকে যেখানে Plate Boundary গুলো একত্রিত হয়ে থাকে... Convergent Plate Boundary (Trench), Divergent Plate Boundary (Ridge) এবং Transform Fault... যার ফলে এসব এলাকাতে সকাল বিকাল ভূমিকম্প অনুভূত হতেই থাকে যেমন জাপান । এরপরে দ্বিতীয়ত দায়ী, কোন স্থানে Fault বা চ্যুতির উপস্থিতি। ভূতাত্ত্বিক ভাষায় এটি একটি crustal displacement. এই Fault হতে পারে Normal Fault, Reverse Fault বা Strike Slip Fault. এই ধরণের ঘটনার দরুণ সোজা ভাষায় বলতে গেলে, একটি নির্দিষ্ট অংশ বরাবর ভূত্বক দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে এক অংশ অপর অংশের নীচে বা উপরে চলে যায়...এবং নির্দিষ্ট অংশে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এই Fault এর ঐ নির্দিষ্ট দাগ বরাবর ভূত্বকটি দিন যেতে যেতে আস্তে আস্তে অবনমিত হতে থাকে যার ফলে কিছুটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ভূত্বক… এবং এই ঘটনাতেও অনেক পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় যার ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তৃতীয়ত, অগ্নুৎপাত বা Volcanic Activity. এই ধরণের ঘটনা সাধারণত আগ্নেয়গিরির উপস্থিতিতে হয়ে থাকে। এই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে ভূমিকম্প কেন হয় প্রশ্ন আসবে স্বাভাবিক। আগ্নেয়গিরি থেকে যে গলিত পদার্থটি অর্থাৎ Magma যখন উদগিরণ হয় আমরা সাধারণভাবে তাকে Lava বলে থাকি। এই Magma নামের গলিত আগ্নেয় পদার্থটি আসে পৃথিবীর Core অংশ থেকে...... ভূপৃষ্ঠে Magma বের হওয়ার প্রাক মুহূর্তে অনেক বেশি শক্তি নির্গত হয়ে থাকে যেহেতু এটি Core থেকে Crust অংশে পৌছায় । এর ফলে এর আশেপাশের অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। চতুর্থত, অনেক সময় Landslide বা Slumping এর কারণে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিকম্প হয় যার মাত্রা খুব একটা বেশি হয় না।

You tube Link: https://www.youtube.com/watch?v=1-HwPR_4mP4
https://www.youtube.com/watch?v=_YLjIvJXhpg


ভূত্বকের তিনটি প্রধান অংশ--



Tectonics এর সেই plate সমূহ---



Tectonic Plate গুলো একে অপরের সাথে কল্পিত আকারে এভাবে ঘর্ষণ খায় যার ফলে প্রচুর পরিমাণে energy release হয়ে থাকে--



Convergent Plate Boundary (Trench), Divergent Plate Boundary (Ridge) এবং Transform Fault...




Normal Fault, Reverse Fault এবং Strike Slip Fault এর চিত্র--








অগ্ন্যুৎপাত--



Landslide বা Slumping--





উপরের কারণগুলো ছিল প্রাকৃতিক বা Hazard due to nature। এবার আসা যাক আরও কিছু কারণে যা বর্তমানে ব্যাপক আকারে ঘটতে থাকলেও আমরা কেউই তা সম্পর্কে অবগত নয় অর্থাৎ Hazard due to man। প্রথমত, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্রাতিরিক্ত পানি উত্তোলন ভূমিকম্পকে ডেকে নিয়ে আসার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। এখন আবার প্রশ্ন আসবে এটা কেন ? ভূপৃষ্ঠে পানি কিন্তু একটি সুশৃঙ্খল পন্থাতে অবস্থান করে... মাটি কণার মধ্যে তা নিজেদের সুনির্দিষ্ট ভারসাম্য নীতিতে থাকে... অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে মাটি কণা তাদের সম্পৃক্ততা হারায় এবং পানি উত্তোলনের কারণে মাটি কণা পূর্ণ হয় শুধু বায়ু দিয়ে। ফলে তা নিজের ভারসাম্য হারায় এবং রানা প্লাজা হয়ে পড়ে ! ফলে তা বিন্দু বিন্দু থেকে সিন্ধু সৃষ্টি করে... বিপর্যয় ঘটায়। When the consolidated pressure remains low, it abruptly causes trembling of the ground surface which can be the cause of earthquake. এই জন্য বাড়ি ঘর, তৈরি করার আগে সচেতন মানুষ Consolidation Test করায়। এরপরে মানুষের সৃষ্টি আরেকটি কারণ হচ্ছে, Nuclear Explosion Test. এই পরীক্ষা গুলো ভূমিকম্পের কারণ কিভাবে হল তাইতো? Nuclear test এর ফলে যে পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি নির্গত হয় তা যে কারও ধারণার বাইরে... এবং এটি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফিশন এবং ফিউশন উভয় প্রক্রিয়ার একটা ঋণাত্মক দিক, প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা এবং দীর্ঘ সময়ব্যাপ্তি ধরে এর প্রভাব ধরে রাখা। এটার ফলে অনেক জায়গাতে হালকা হলেও, ভূমিকম্প তৈরি করার সামর্থ্য রাখে তারা! এর পরে মনুষ্য সৃষ্ট ভূমিকম্পের আরও একটি কারণ- Mining Activity. বিশেষত Underground Mining. এই ধরণের Mine থেকে যখন কয়লা বা খনিজ জাতীয় জিনিস আহরণ করা শেষ হয়ে যায়..... সেই এলাকা depressed হয়ে যায় এবং এই কারণে ভূমিকম্প অনুভূত হয়ে থাকে। চীনের ২০০৮ সালের Sichuan Earthquake এই ধরণের ভূমিকম্পের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।


Hydrologic Cycle বা পানি চক্র যাকে বলে; পানি কিভাবে ভূগর্ভে থাকে দেখে নিন---



Nuclear Explosion Test--



চীনের ২০০৮ সালের Sichuan Earthquake এ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চিত্র---



ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে দায়ী seismic wave কোনগুলো ?

Seismic Wave সাধারণত ভূগর্ভস্থ স্তরের কিছু energy wave এর সমষ্টি যার ফলে ভূমিকম্প, বিস্ফোরণ এমনকি অগ্নুৎপাতও হতে পারে। এই Seismic wave এর জায়গাগুলো অর্থাৎ Seismic Wave Field রেকর্ড করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে Seismometer, Hydrometer এবং Accelerometer. ভূমিকম্প ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কিছু seismic wave এর সৃষ্টি করে যাদের অতিক্রান্ত সময় এবং পথের দূরত্বের উপর নির্ভর করে ভূকম্পবিদরা ভূমিকম্প সংঘটনের উৎসস্থল যাকে Hypocenter বলা হয়ে থাকে তাকে চিহ্নিত করে থাকেন। Seismic waves এর প্রকারভেদের মধ্যে দুইটি উল্লেখযোগ্য—১) Body Waves এবং ২) Surface Waves. Body Waves গুলো ভূগর্ভের নিম্নবর্তী অংশে প্রভাব বিস্তার করে থাকে যেখানে Surface Waves এর সকল ভূমিকা ভূপৃষ্ঠের উপরে। Body Waves আবার দুই ধরণের হয়- ১) Primary Wave (P-wave) এবং ২) Secondary Wave (S-wave). Body wave এর মধ্যে P-wave গুলো একধরণের compressional wave হয় যারা লম্বালম্বি ভাবে কোন জিনিসের মধ্যে দিয়ে যায় এবং এই ধরণের wave ভুমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে কম। এরা তুলনামুলকভাবে অনেক দ্রুত গতির হয়ে থাকে এবং সব ধরণের পদার্থের মধ্যে দিয়ে তা অতিক্রান্ত করে যেতে পারে। অপর দিকে, S-wave একধরণের shear wave হয় যারা আনুভূমিক প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং এই seismic wave ই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রধানত দায়ী। এরা P-wave এর তুলনায় কম গতির হয়ে থাকে এবং এরা শুধু মাত্র কঠিন জাতীয় জিনিসের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে... কিন্তু কঠিন যে কোন পদার্থকে তারা fluid হিসেবে গণ্য করে। এই কারণে কঠিন পদার্থের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় এরা সেটিকে ভেঙে অথবা বেঁকিয়ে ফেলে যার ফলে বিল্ডিং, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে । অপরদিকে Surface wave গুলোর মধ্যে Rayleigh Waves, Love Waves এবং Stoneley Waves উল্লেখযোগ্য যাদের প্রভাব S-wave এর মত ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে খুব সামান্য... যা করার S-wave ই করে দিয়ে চলে যায়, এরা Guest Appearance !

P-wave এবং S-wave ---



ভূমিকম্পের প্রকারভেদগুলো কি?


ভূমিকম্প অনেক ধরণের হয়ে থাকে। তার মধ্যে কিছুর নাম যথাক্রমে- Aftershock, Blind Thrust Earthquake, Deep Focus Earthquake, Doublet Earthquake, Earthquake Swarm, Foreshock, Harmonic Tremor, Interplate Earthquake, Intraplate Earthquake, Megathrust Earthquake, Slow Earthquake, Sub marine Earthquake, Supershear Earthquake, Volcano tectonic Earthquake. Aftershock হচ্ছে সেই ধরণের ভূমিকম্প যার প্রারম্ভে একটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে এবং এর তীব্রতা এর কিছু আগে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের তুলনায় কিছুটা কম হয়. ধরে নিন, চলতি ভূমিকম্পের ফিরতি রূপটায় হচ্ছে Aftershock. Blind Thrust Earthquake সেই ধরণের ভূমিকম্প যা ভূগর্ভের নীচে ঘটে থাকে এবং ভূপৃষ্ঠে এর কোন প্রভাব সাধারণত পড়ে না। এটি Thrust Fault এর কারণে হয়ে থাকে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে সহজে বোঝা যায় না বিধায় এর নাম Blind Thrust Earthquake হয়েছে। Deep focus Earthquake হচ্ছে সেই ধরণের ভূমিকম্প যার উৎসস্থল ভূগর্ভের ৩০০ কি.মি নীচে হয়ে থাকে এবং এই ধরণের ভূমিকম্প Oceanic-continental convergent boundary তে হয়ে থাকে। একই স্থান এবং সময় থেকে উদ্ভুত একের অধিক ভূমিকম্পকে Doublet Earthquake বলে। যখন একটি এলাকায় একের পর এক ছোট ছোট মাত্রার ভূমিকম্প একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর আঘাত হানতেই থাকে তখন এই ধরণের ভূমিকম্পকে Earthquake swarm বলে। Foreshock হচ্ছে সে ধরণের ভূমিকম্প যা কোন মূল বড় মাপের ভূমিকম্পের পূর্বে সে এলাকাতে ঘটে থাকে। মূল বড় ভূমিকম্পটিকে Mainshock বলে। Harmonic Tremor হচ্ছে সেই ধরণের ভূমিকম্প যা একটি নির্দিষ্ট ছন্দে অগ্নুৎপাতের পূর্বে অথবা পরে ঘটে থাকে। দুইটি tectonic plate এর boundary তে যে ধরণের ভূমিকম্প হয়ে থাকে তাকে বলে Interplate Earthquake এবং দুইটি tectonic plate এর অভ্যন্তরীণ স্থানে যে ধরণের ভূমিকম্প হয় তাকে বলে Intraplate Earthquake. Megathrust Earthquake হয়ে থাকে Subduction zone নামের অংশে যেখানে একটি plate এর নীচে অপর একটি plate অবনমিত হয়ে যায়। Slow Earthquake এর বৈশিষ্ট্য এর নামের মত Slow… এর ফলে উদ্ভুত কম্পন একবার শুরু হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়, সেটি আবার পুনরায় কম্পন দেয় একদিন, সাত দিন কখনও কখনও মাস পার করে। Submarine Earthquake হচ্ছে সে ধরণের ভূমিকম্প যা সমুদ্রের তলদেশে ঘটে থাকে এবং এই ধরণের ভূমিকম্পের ফলেই সুনামির উৎপত্তি হয়। Supershare Earthquake সেই ধরণের ভূমিকম্প যেখানে fault পৃষ্ঠে ভঙ্গুরতার পরিমাণের গতি shear wave এর বেগের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি হয়। Volcano Tectonic Earthquake, Magma নামের গলিত কঠিন পদার্থের movement এর কারণে হয়ে থাকে। তবে এত গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি যে ভূমিকম্প ঘটে তা Earthquake swarm এবং Aftershock.

ভূমিকম্পের Magnitude এবং Intensity কি এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?


ভূমিকম্প পরিমাপের জন্য দুইটি ভিন্ন parameter ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটির নাম Magnitude এবং অপরটি Intensity. প্রথমে আসা যাক, Magnitude এর কথাতে। Magnitude এর মাধ্যমে ভূমিকম্পের Epicenter এ কতটুকু energy release হয়েছে তা পরিমাপ করা হয়ে থাকে। Magnitude দ্বারা ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না, এটি ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করে... এটি Low, Average, Moderate নাকি Strong ছিল। Magnitude নির্ণয়ের সব থেকে অতি ব্যবহৃত প্রক্রিয়ার নাম Richter Scale Method. এই Richter Scale টি কিন্তু আসলে তৈরি হয়েছিল, California র একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়ের অংশ হিসেবে... এবং California র ঐ ভূমিকম্পকে আদর্শ ধরেই Charles F. Richter তার Magnitude Scale টি বানিয়েছিলেন। তবে Richter এর এই Scale বড় ধরণের ভুমিকম্পের মাত্রা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ প্রমাণিত হয় বিধায় আরেকটি Magnitude Scale এর তত্ত্ব জন্ম নেয় যাকে বলে Moment Magnitude Scale. এর সাহায্যে যে কোন বড়, ছোট আকারের ভূমিকম্পের মাত্রা সহজেই পরিমাপ করা সম্ভব। আমরা যে USGS এর গল্প দুইদিন ধরে শুনছি, তারা বড় ধরণের ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করতে Richter Scale ব্যবহার করে না, যেটা করে তার নাম Moment Magnitude Scale!

Richter Magnitude Scale---



Moment Magnitude Scale---



এবার আসা যাক, Intensity তে...Intensity বলতে ভূমিকম্পের তীব্রতা বোঝায় অর্থাৎ কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় উদ্ভুত একটি ভূমিকম্প কি ধরণের, এবং কি পরিমাণের ক্ষয় ক্ষতি সাধন করতে পারে ... তার পরিমাপের জন্য Intensity শব্দটি ব্যবহৃত হয়। Intensity পরিমাপের জন্য 1902 সালে Giuseppe Mercalli একটি scale উদ্ভাবন করেন যার মাধ্যমে সামগ্রিক ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় সম্ভব হয়। এই Scale টিকে তার নামানুসারে Mercalli Intesity Scale বলা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে Hong Kong, Taiwan প্রভৃতি জায়গাতে Mercalli Scale এর পরিবর্তে ১২ টি গ্রেড সম্পন্ন Modified Mercalli Scale ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

Mercalli Intesity Scale---



Modified Mercalli Scale---




এবার Modified Mercalli Scale এবং Richter Magnitude Scale এর তারতম্য দেখে নিন---






বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভূমিকম্প?


বাংলাদেশে অনেক সময় অনেক ছোট খাটো ভূমিকম্প আগেও ঘটেছে এবং বর্তমানেও তা বিরল কিছু নয়। বাংলাদেশের পাহাড় ভূমি এগুলো সব মোটামুটিভাবে ভূতাত্ত্বিক সময় Tertiary এবং Pleistocene এর তৈরি...... এবং তা Sedimentary অর্থাৎ পাললিক শিলার। বাংলাদেশে আর কিছু হলেও কখনই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূমিকম্প হওয়া সম্ভব নয়... সেই Formation নেই। তাহলে বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প হয় সেটা কি কারণে আসলে হয়ে থাকে এই মুখ্য point এ আসা যাক। বাংলাদেশ tectonically এমন একটি জায়গায় পড়েছে যেখানে ঝড়ের হাওয়াতে বাংলাদেশ পড়েই যায়। Indian Plate, Eurasian Plate আর Burmese Plate একে সন্নিবেশ করে রেখেছে। তাই Indian Plate যদি কখনও হিমালয়ে ধাক্কা খায় Eurasian Plate এর সাথে বাংলাদেশে একটা Building আরেকটার উপর হেলে পড়ে ! ভূমিকম্প এখানে তৈরি না হলেও... ঝাঁকুনিটা(tremor) আমরা এই কারণেই খেয়ে থাকি সাধারণত। এর পর আবার tectonically আমাদের দেশের মাঝ বরাবর একটি Hinge Zone চলে গেছে যাকে বর্তমানে Paleo Continental Slope বলা হয় যা গিয়ে মিলেছে ভারতের Dauki Fault এর সাথে... যেখানে Upliftment-Subsidence হতেই থাকে একটা regular chain এ। যার ফলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। Basically আমরা যেসকল ভূমিকম্পের শিকার হয়, এগুলোকে Tremor বলে... পানিতে ঢিল ছুড়লে পানির ঢেউ গুলো যেমন ছড়িয়ে পড়তে থাকে... সেই ঢেউ এর একটা বাড়ি, আমরা ব- দ্বীপের সাধারণ জনগোষ্ঠী খেয়ে থাকি। এরপর প্রতিবছর, Construction rule ঠিকমত না মানার ফলে ভূপৃষ্ঠের উপর যে চাপের সৃষ্টি হচ্ছে তার ফলে যে ঝাঁকুনি খেতে হয়না, এই সম্ভাবনা ঠিক সহজেই উড়িয়ে দেয়া যায় না!! এরপরের কারণ হিসেবে প্রকৃতির অপব্যবহার তো আছেই...তবে আমাদের দেশে ভূমিকম্প মূলত Tremor হিসেবেই আসে--- এক গাঁ ঝড়ে পড়ে, আরেক গাঁ বাতাসে উড়ে সূত্রের মত ! মনে রাখতে হবে, প্রকৃতি একে অপরের ক্ষতির ভরণপোষণ করে থাকে এবং তারা প্রত্যেকেই Interrelated.

Reference Link(বিস্তারিত পড়তে চাইলে)---
http://www.bpedia.org/B_0186.php

বাংলাদেশের Tectonic Map--



ভূমিকম্প হলে করণীয় কি?

আমাদের দেশ আর কোন দিকে হলেও দুর্যোগের ব্যাপারে আরও বেশি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছে... সাল ২০১৫ চলছে, কিন্তু দুর্যোগ নিয়ে প্রস্তুতি ১৯৪০ সালের......!!! দুর্যোগের মোকাবেলা তাই নিজেদেরকেই নিজেদের করতে হবে, সতর্ক হতে হবে। ভূমিকম্পের মত দুর্যোগ নাকি আগে বোঝা যায় না, তাহলে চীনে, জাপানে ১০ মিনিট আগে মানুষ predict করে কিভাবে আজকে ভূমিকম্প হবে? তারা উন্নত হয়েছে, তাদের প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে... আমরা I-phone ব্যবহারে উন্নত হলেও দুর্যোগ সম্বলিত প্রযুক্তির ব্যাপারে এখনও সেকেলে রয়ে গেছি... অথচ বাংলাদেশ ভৌগলিক ভাবে অনেক বেশি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। চীন দেশে নাকি মাছের চলাচল দেখে তারা ধারণা করে নেয়, তাদের দেশে ভূমিকম্প হতে চলেছে... কারণ মাছের গতিবিধি নাকি ভূমিকম্প, সুনামি প্রভৃতির আগে পরিবর্তন হয়ে যায়। যাই হোক, ভূমিকম্প হলে যেসব সতর্কতা মূলত মানতে হবে সেই ব্যাপারে আসি—

 বাড়ির পিলার, বিম এগুলো অংশ থেকে দূরে থাকুন যদি খোলা জায়গায় বেড়ানোর মত কোন অবস্থা না থাকে।

 বাড়িতে থাকাকালীন অবস্থায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি শুরু হলে চলাচল বন্ধ করে সুরক্ষিত অবস্থান নিশ্চিত করুন... হুড়াহুড়ি করলে দুর্ঘটনা ঘটে বেশি, জীবন বাঁচে না!

 ছাদ খোলা জায়গা হওয়ায়, ছাদ সুরক্ষিত জায়গা হতে পারে অথবা সিঁড়ির নীচে ঘর... এই জায়গাটি বিল্ডিং ভাঙ্গার পড়েও কিছুটা অক্ষত থাকে... বিশ্বাস না হলে খেয়াল করে দেখতে পারেন !!

 কোন ক্রমে বাড়ি থেকে বেড়াতে পারলে খোলা মাঠ অথবা রাস্তাতে চলে আসতে হবে।

 রাস্তায় ইলেকট্রিক পোলের নিকট কখনই অবস্থান নিবেন না।

 আর কিছু হলেও গ্যাস, ইলেকট্রিক প্রভৃতি লাইনের ধারে পাশেও এই দুর্যোগের সময় থাকবেন না... কারণ দুর্যোগের সময় বিল্ডিং ধ্বসে পড়লে সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই দুইটি লাইন... যা অপর একটি দুর্যোগ ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। আর গ্যাসের লাইন অন থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিন।

 সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়, মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়বেন না... অস্থিরতা বাড়লে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। আপনি অস্থির হলে, বা ভয় পেলে কিন্তু দুর্যোগ থেকে মুক্তি লাভ করবেন না... মোকাবেলা করুন দুর্যোগের, ভয় নয় ।



সবশেষে বলতে চাই, দুর্যোগ এসেছে, দুর্যোগ আসবে...... দুর্যোগের মধ্যে ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত এই গুলো এমন ধরণের দুর্যোগ যার আগে থেকে প্রস্তুতি বা preparedness এর কোন মূল্য নাই... তবে হ্যাঁ আমরা সতর্ক থাকতে পারি আর দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারি। জীবনের চেয়ে বহুমুল্য কিন্তু কিছু হয় না... তাই অন্যের জীবন বাঁচান, নিজে বাঁচুন.....অন্য কিছুতে না হলেও দুর্যোগের সময় অন্তত একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন । 8-| 8-| 8-|

কথাগুলো কিন্তু ৫ বছরের শিক্ষাজীবনের অংশ থেকে বললাম--- নেট থেকে কপি, পেস্ট নয় !!! :-B

সবশেষে দুটো ভিডিও ফাইল সংযোজন করলাম যেগুলোতে এই প্রক্রিয়াগুলো কিছুটা দেখানো আছে

view this link

view this link


**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি কাজে লাগবে !!!!!! !:#P !:#P !:#P
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×