somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

ফোর লিটল ম্যাগপাই’জ---আসুন সাউথ কোরিয়ান চারটি অনবদ্য মুভি দেখে নেয়া যাক :) :)

০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার সবথেকে পছন্দের মুভি ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে সাউথ কোরিয়া অন্যতম। বলিষ্ঠ প্লট, চমৎকার মেকিং এগুলো এদেরকে এক কদম হলেও আশেপাশের অন্যান্যদের অপেক্ষায় এগিয়ে রাখবে। আমার ব্লগ জীবনের প্রথম কয়েকটা পোস্টও ছিল সাউথ কোরিয়ান মুভি নিয়েই। কিন্তু মাঝে কিছুদিন সাউথ কোরিয়ান দেখা বাদ দিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেড়িয়েছিলাম বিধায় এদের সিনেমা নিয়ে মেলা কয়েকমাস কিছু লিখিনি। ব্লগে চার পাঁচ মাসব্যাপি অনুপস্থিত থাকাকালীন সময়ে চরম কিছু সিনেমা খুঁজে বের করে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আজকে সেসব সাউথ কোরিয়ান মুভির মধ্যে চারটা শেয়ার করব...আমার কাছে যেগুলোকে অনবদ্য মনে হয়েছে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি সিনেমালোচনাতেই চলে যাওয়া যাক...:) :)

প্রথম মুভি:


“Bitterness is like cancer. It eats upon the host. But anger is like fire. It burns it all clean.”



হা-ইয়ং সিউলে ব্যাংকে চাকরি করে...রোজকার জীবনে ঝামেলা অ্যাভয়েড করা ব্যাক্তিবর্গের সদস্যা...নিজের মত চলব, নিজের মত থাকব...জীবন নির্ঝঞ্ঝাট চলছিল তার... কিন্তু কর্মক্ষেত্রের চাপে একসময় ওভাররিঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়লে অনিচ্ছাকৃত ভ্যাকেশনে পাঠানো হয় হা-ইয়ং কে। এদিকে তার বাসার সুপারিটেন্ডেন্ট তাকে মেইল বক্সে জমে থাকা এক বান্ডেল চিঠি দিয়ে যায়...শৈশবের বন্ধু বোক-নাম বেশি সংখ্যক চিঠি প্রণেতা। সে চিঠিগুলোকে না দেখেই বিনে ফেলে দেয়...এবং ভাবে কিছুদিনের জন্য নিজের দাদার বাসা যে আইল্যান্ডে সেখানে ঘুরে আসবে। রওয়ানা হয়ে যায় সে ৯-১০ জন অধিবাসির দ্বীপ মুডো আইল্যান্ডে। সেখানে গিয়ে পৌঁছতে না পৌঁছতেই তাকে স্বাগতম জানাতে আসে শৈশবের সেই বন্ধু মলিন চেহারার বোক-নাম। অনেকদিন পর বন্ধুকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে সে। এদিকে পথ চলতে চলতে হা-ইয়ং এর কাছে দ্বীপের পরিবেশ কিছুটা অন্যরকম মনে হয়। এবং আজব মনে হয় শৈশবের বন্ধু বোক-নাম এর অভিব্যাক্তিও। সরল স্বভাবের আড়ালে জটিল এবং ভয়াবহ কিছু ঘটনা লুকিয়ে থাকে তাকে কেন্দ্র করে। বোক-নাম এর সাথে কী হয়? মুডো দ্বীপের রহস্য কী? রিভেঞ্জ থ্রিলার এটা...কিন্তু অনেকটাই অন্যরকম। মানুষের ক্রোধ কোন পর্যায়ে গেলে সে প্রতিশোধ প্রবণ হয় কোরিয়ান এই থ্রিলার সেটার উদাহরণ। সাউথ কোরিয়ানদের রিভেঞ্জ থ্রিলার সেকশনসহ আরও বেশ কিছু সেকশনে জুরি মেলা ভার...এই সিনেমা তারই একটা জ্বলন্ত প্রমাণ। কিছুটা আন্ডাররেটেড, কোণায় পড়ে থাকে.....কিন্তু আই স দ্য ডেভিল, নো মার্সির মত রিভেঞ্জ থ্রিলারের পাশে অনায়সেই রাখা যায় এটাকেও। সিনেমার ঘটনা চরম, অভিনয় আরও বেশি চরম...ক্লাইম্যাক্সের কিছু দৃশ্যে অবাক হয়ে থেকে যেতে হয়...ভাই এবার তো মাফ দে! এই গল্প বন্ধুত্বের, এই গল্প কিছুটা স্বার্থপরতার...সর্বোপরি এই গল্প একটু একটু করে জমা হতে থাকা প্রতিশোধের। সাউথ কোরিয়ানদের রিভেঞ্জ মুভি কেমন হয় আশা করি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নাই!!! অনেকদিন মনে রাখার মত সাউথ কোরিয়ান রিভেঞ্জ মুভি।




Bedevilled 2010 (Original Title: Kim Bok-nam salinsageonui jeonmal )

IMDB rating: 7.3/10
Cast: Yeong-hie Seo, Seong-won Ji, Min-ho Hwang
Genre: Crime, Drama, Thriller



দ্বিতীয় মুভি:

“Nothing of me is original. I am the combined effort of everyone I've ever known.”




জাং মান-হো এবং তার বাগদত্তা কাং সি-য়ং এক বৃষ্টির দিনে রওয়ানা দেয় জাং মান-হো এর বাবার বাড়ি আংডং এর উদ্দেশ্যে। এক মাসের মাথায় তাদের বিয়ে...তাই যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়ার ফাঁকেই তারা গার্ডিয়ানের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হয়। পথমধ্যে এক পেট্রলপাম্পে মান হো গাড়ি থামিয়ে নিজের জন্য এবং প্রিয়তমা বাগদত্তা কাং সি-য়ং এর জন্য কফি আনতে যায়। এদিকে গাড়িতে বসে থাকার সময়ে কাং সি-য়ং এর ফোন আসে। মান-হো ফিরে এসে গাড়ির মধ্যে তার বাগদত্তাকে না পেয়ে এদিক ওদিক খুঁজতে থাকে। দিন শেষে বুঝতে পারে নিরুদ্দেশ হয়েছে সে...পুলিশের কাছে কমপ্লেইন লিখিয়ে আসার পরেও মান-হো নিজ তাগিদে কাং সি-য়ং এর বাড়িতে যায়...যদি তার কোন খোঁজ মেলে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে জিনিসপত্র বলতে কিছুই তেমন নেই...সূত্র ছাড়ায় নিরুদ্দেশ হয় তার ব্যবহার্য জিনিসও। ভেটেরিনারি ডাক্তার মান-হো বেকায়দায় পড়ে নিজ উদ্যোগে কাং সি-য়ংকে খুঁজতে নেমে পড়ে....এবং কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে এক গভির রহস্যের সাপের সম্মুখীন হয়। কে এই কাং সি-য়ং? কেন নিরুদ্দেশ হয় সে? তার নিরুদ্দেশের রহস্যই বা কী? সাউথ কোরিয়ান এই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার মিনিটে মিনিটে আনপ্রেডিক্টেবল মোড় নেয়....হ্যা এটা হয়ত হতে চলেছে...দুম করে কিছু একটা এসে ধারণা পুরো ভুল প্রমাণ করে। সাউথ কোরিয়ান বিখ্যাত সিনেমাগুলোর ভিড়ে এটাও যেন এক কোণায় গুটিসুটি মেরে থাকে...আপিয়ারেন্স নট সো স্পেশাল!! কিন্তু এর স্টোরিটেলিং স্টাইল এক কথায় অসাধারণ....পুরো গল্পটা এমনভাবে সাজানো, টার্নিং পয়েন্টের আগে মোটেও বুঝতে দেবে না....কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে। জাপানিজ রাইটার মিয়াবি মিয়ুকির বেস্ট সেলিং নভেল "কাশা" (All She was worth) অবলম্বনে মুভিটি তৈরি হয়েছে। সেইইইইইইইইইইইইই মাপের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার এটা...অভিনেতা, অভিনেত্রী নির্বিশেষে সবার পারফর্মেন্সই অনবদ্য। এ মাস্ট ওয়াচ সাউথ কোরিয়ান সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার।



Helpless 2012 (Original Title: Hwa-cha )

IMDB rating: 6.7/10
Cast: Kim Min-hee, Lee Sun-kyun, Jo Sung-ha
Genre: Mystery/Thriller




তৃতীয় মুভি:

“The best secrets are the most twisted”.



সুদূর প্রবাস থেকে জাং হো নিজের দেশে ফেরে অনেকদিন পর...বিখ্যাত ফটোগ্রাফার সে। বাবা মা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তার একমাত্র চাচা তাকে প্রতিপালন করে। নিজ দেশে ফিরে এসে তাই সে সেখানেই যায়, কিন্তু বাড়িতে গিয়ে দেখে সেখানে কেউ নেই। এদিকে, ডিটেকটিভ কিম নিজের প্রাত্যহিক জীবনে বিরক্ত। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের নিত্য নতুন কেসে অতিষ্ট। উপরি হিসেবে ঘাড়ে এক ছিনতাইকারীকে ধরার দায়িত্ব পড়ে। সেদিন ট্রেনে ফেরার পথে কাকতালীয়ভাবে এক জনের সহায়তায় সে তাকে পেয়েও যায় কিন্তু সেই মুহূর্তে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট থেকে ফোন পাওয়ার পর তাকে সেখানে ফেলে যেতে বাধ্য হয়। ৯ বছরের এক মেয়েকে তারা মৃত অবস্থায় পায়...অদ্ভুতভাবে খুন করা হয় তাকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পুলিশ পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে কেউ তাকে এবং তার পাশে একটি কিম্ভুতকিমাকার দর্শনের পুতুল খুঁজে পায়... কাপড়ে বানানো "জোকার"। তার পরেরদিন সকালে, জাং হো এর বাসায় একটি অনাথ বাচ্চা মেয়ের কাস্টডি দেয়ার জন্য অরফ্যানেজ থেকে লোক আসে...তার চাচা এবং চাচি দত্তক নেয় তাকে। অরফ্যানেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে তার কাছে রেখে যায় তারা সো-য়নকে। ৪ দিনের মাথায় আবারও ৯ বছর বয়সী আরেকটি মেয়ের লাশ পাওয়া যায় অন্য একটি জায়গা থেকে। তদন্তের দায়ভারে থাকা ডিটেকটিভ কিম প্যাটার্নলেস এই সিরিয়াল কিলারকে খুঁজতে হন্যে হয়ে নেমে পড়ে... এবং... বের হয়ে আসতে থাকে একের পর এক রহস্য। খুনগুলো কেন হচ্ছে? খুনি কে? কী উদ্দেশ্যে করছে সে এসব? এই তিনটা প্রশ্নই যথেষ্ট সিনেমার শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য। দ্য ওয়ার্ল্ড অফ সাইলেন্স এই নামটাও একটা রহস্য...পৃথিবীতে সবকিছু যে চোখের সামনে ঘটবে তা কিন্তু নয়, কিছু জিনিস অগোচরেই থেকে যায়...এই সিনেমার আরেকটা টার্নিং পয়েন্ট এটা। আর কী আছে এই সিনেমাতে? একটা অসম্পূর্ণ প্রেমের গল্প, দুটো ভিন্ন বয়সী মানুষের ক্ষণকালীন নিঃস্বার্থ সম্পর্কের চিত্র এবং তাদের প্রত্যেকের জীবনের স্তরীভূত রহস্য আছে। ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের, ছোট ছোট ফ্রেমের কিছু গল্পের ছবি দিয়ে শুরু হলেও সিনেমাটি সবশেষে এক লার্জ স্কেলের প্যানোরমাতে রুপ নেয়...শেষে গিয়ে সকল লেন ভিন্ন একটি হাইওয়েতে মিলে যায়...সেইইইইইইইই রকমের চমক আছে শেষটুকুতে। স্টোরিটেলিং এর ধরনটা একটু আলাদা...কিছু জিনিস দর্শকের বোঝার জন্যই যেন রেখে দেয়...বুঝলে বুঝুক, না বুঝলে রিওয়াইন্ড করে আবারও দেখুক!! :P মিস্ট্রি থ্রিলার ঘরানার মুভিটার প্রথম অংশের তুলনায় শেষটুকু দেখে ভালো লেগেছে বেশি। A good film with a twisted ending.



The World of Silence 2006 (Original Title: Joyonghan Sesang)

IMDB rating: 6.9/10
Cast: Eun-jeong Ham, Bo-bae Han, Gyu-su Jeong
Genre: Mystery/ Crime




চতুর্থ মুভি:

“The world is indeed full of peril, and in it there are many dark places; but still there is much that is fair, and though in all lands love is now mingled with grief, it grows perhaps the greater.”




ইম ডং হুন এবং কিম মি হি দম্পতির একমাত্র মেয়ে সো-য়ন...ছোট ছোট জিনিসের মধ্যেই নিজের খুশি খুঁজে নেয় সে...নামটা কিভাবে কিভাবে মিলেও যায় ইংরেজি হোপ শব্দের সাথে। মধ্যবিত্ত এই পরিবারের দিনকাল ভালোই চলছিল তাদের সাংসারিক ছোটখাট সমস্যাগুলো ব্যাতিরেকে । ইম ডং হুন যেখানে একটা ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করে সেখানে সংসার চালানোর প্রয়োজনে কিম মি হিকেও ছোটখাট একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চালাতে হয়। এভাবেই চলে যাচ্ছিল তাদের অতি সাধারণ জীবন। কিন্তু একদিন হঠাৎ একমাত্র মেয়ে সো-য়ন এর সাথে লোমহর্ষক এক ঘটনায় পুরো পরিবারটির অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যায় অকস্মাৎ। কি হয় সো-য়ন এর সাথে? বেড়িয়ে আসতে পারবে তারা ঘটনাগুলোর বিভীষিকা থেকে? সিনেমাটি সাউথ কোরিয়াতে ২০০৮ সালে ঘটে যাওয়া এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি...'নায়ং কেস' বলে যাকে। ঘটনাটি অনেক সমালোচিত ছিল এবং ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল তাদের দেশে শুধুমাত্র আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য। সিনেমাতেই আছে অনেকখানি, বিস্তারিত বলছি না। অ্যাবিউজ, অ্যাবডাকশন এই বিষয়ের উপরে তৈরি সিনেমাগুলোতে সাধারণত ভিক্টিম অপেক্ষা ক্রিমিনালকে ধরার প্রসিডিউর বেশি দেখানো হয়ে থাকে...কিন্তু এই সিনেমা এদিক থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। এখানে ফোকাল পয়েন্ট ভিক্টিম, সাথে তার পরিবারও। আমাদের সমাজে অপরাধ ঘটে অহরহ...কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে...অপরাধের শিকার হয় যে বা যারা...প্রশ্নবিদ্ধ মার্ক শেষ পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে তাদের উপরেই রাখা হয়।একটা সাইকোপ্যাথের কাজের ফলশ্রুতিতে দশটা মানুষও যেন সাইকোপ্যাথিক ব্যবহার শুরু করে ভিক্টিম রিলেটেড সবার সাথে... কেন হল, কী কারণ ছিল...দোষটা যেন ভিক্টিমের!!! এর ফলে কখনও না কখনও ভিক্টিমের নিজেকেই সেই অপরাধে কিছুটা অভিযুক্ত মনে হতে থাকে...মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়তে থাকে সে...হয়ত দোষ আমারই ছিল! সাউথ কোরিয়ান এই সিনেমাটা এই ক্ষেত্রে অন্য একটা পার্সপেক্টিভে ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যা করে...ভিক্টিমের হিলিং প্রসিডিউর, তার পরিবারের সেই কালো অধ্যায় থেকে বের হয়ে আসার ঘটনাগুলোতে এখানে ফোকাস করা হয়েছে বেশি...ক্রিমিনাল নয়। এখানে ক্রিমিনাল গৌণ, ভিক্টিম এবং তার পরিবার মুখ্য..যা কিছুটা হলেও আলাদা এই ধরণের অন্য সিনেমাগুলো থেকে। সহমর্মিভাব কথায় ব্যাতিরেকে কাজে খুব কমজনই দেখাতে পারে...এই সিনেমা এই দিকেও যেন সার্থক। এবার আসব, সিনেমার চরিত্রগুলো কেমন তা নিয়ে...মূল চরিত্র সো-য়ন...অনেক অনেক দারুণ... অনেক কষ্ট লাগে পুরো সিনেমাতে তাকে দেখে। এরপরের অবস্থানে আসে তার বাবা এবং মা...দুজনের অভিনয় অনবদ্য। এই তিনজনের সাথে আশেপাশের প্রত্যেকটা চরিত্রের সেই রকমের পারর্ফমেন্স সিনেমাটাকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অনেক বেশি রিয়ালিস্টিক এবং অনেকবেশি প্যাথেটিক এর গল্প...এবং বলে রাখা ভালো এই সিনেমা মিরাকেল ইন সেল নাম্বার ৭, স্নোপিয়ার্সারের মত সিনেমাকে পেছনে ফেলে বেস্ট ফিল্ম ক্যাটেগরিতে ৩৪ তম ব্লু ড্রাগন ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছিল। সব মিলিয়ে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ সমৃদ্ধ অসাধারণ একটা মুভি।



Hope/ Wish 2013 (Original Title: So-won)

IMDB rating: 8.1/10
Cast: Lee Re, Hae-suk Kim, Sang-ho Kim
Genre: Crime/ Drama







**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! =p~ =p~=p~=p~
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
২৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×