২০০৭ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-শিক্ষকদের নির্যাতনের ঘটনায় ফেঁেস যাচ্ছেন সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ ও সেনা প্রধান মইন উ আহমেদ। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের ওই ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনের জন্য তাদের দায়ী করেই সংসদীয় তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হচ্ছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন চূড়ান্তের প্রাথমিক আলোচনা শুরু করবে এ সংক্রান্ত সংসদীয় উপ-কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ নম্বর উপ-কমিটির ৮ম বৈঠকে এ আলোচনা শুরু হবে। বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতের ব্যাপারে ওই বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হবে। প্রতিবেদনটি কত দিনে চূড়ান্ত হতে একটু সময় নেয়া হবে।
কমিটি মনে করছে ওই সময়কার গ্রেফতার-নির্যাতনের সাথে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় জড়িত ছিল। এ জন্যই তারা ফখরুদ্দীন ও মইনকে স্ব-শরীরে হাজির করে আলোচনা করতে চেয়েছে। ওই দুই প্রভাবশালী যদি নিজেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খন্ডন করতে চান তবে কমিটির পরবর্তী বৈঠকের আগেই তাদের সাথে মেইল বা টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। আর তারা যদি যোগাযোগ না করেন তবে কমিটি ধরে নেবে তাদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য এসেছে তাই সঠিক এবং নির্যাতনের ঘটনার সাথে তাদের সমপৃক্ততা রয়েছে। এমনটা ঘটলে ফখরুদ্দীন ও মঈনকে দায়ী করেই তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে। এরপর আর ওই দুই জনের কাছ থেকে কোন সাড়া পায়নি কমিটি।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নিজেদের ৪র্থ বৈঠকে ফখরুদ্দীন ও মইনকে প্রথমবারের মত তলব করে এই উপ-কমিটি। গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৫ম বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই দুই কুশীলব কমিটিতে হাজির না হয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের লিখিত বক্তব্য পাঠান। কমিটি তাদের ওই বক্তব্য গ্রহণ না করে 'অর্থহীন' মন্তব্য করে এবং গত ৫ জুনের ৭ম বৈঠকে তাদের আবারো তলবের সিদ্ধান্ত নেয়। এবারও সেই একইভাবে হাজির না হয়ে কমিটিকে চিঠি পাঠায় তারা। এরই প্রেক্ষিতে কমিটি উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে কমিটির কালকের বৈঠকে আলোচিত এই তদন্তের আবেদনকারী ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও মো. আনোয়ার হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম. শামসুল আলম এবং দৈনিক সংবাদ'র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান। ইতিমধ্যে এ ৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে নাঈমুল আজম খান নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৯ আগস্ট সভাপতি রাশেদ খান মেননকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের এই উপ-কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





