somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রঙ্গীন ঘুড়ি
উড়তে ভালো লাগে,মেঘের সাথে লুকোচুরি ভাল লাগে। ভাল লাগে এক আকাশ তারা কে সাক্ষী রেখে নাবিকের মত পথ খুঁজে নিতে। চোখ বন্ধ করে একটা নীল সমুদ্র আকঁতে ভাল লাগে। আর ভাল লাগে "তুমি" তে হারিয়ে যেতে ।

"ভালবাসা ভালবাসি"

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আকাশ কাঁপিয়ে বৃষ্টি নেমেছে। একটানা বজ্রপাতে আকাশটা কাঁদছে।

নরম,মিহি,মেহেদি দেয়া হাতটা আমার হাত এর উপর রাখলে তুমি। পুরো ঘরটা অন্ধকার। মাঝে আলোর ঝলকানিতে এক পলকের জন্য দেখছি তোমাকে। মনে হচ্ছে স্বর্গের অপ্সরী আকাশ কাঁপিয়ে এই মাটির পৃথিবীতে নেমে এসেছে।

আমাদের প্রথম রাত্রি। একটু আগেও তুমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলে। আমি দূরে বসে সান্ত্বনার সব কয়টা ভাষা আয়ত্তের চেষ্টা করছিলাম। আমি কোনদিনও বুঝবো না মেয়ে হয়ে জন্মে নিজের প্রিয় ঘরটা ছেড়ে অন্যের বাড়ি থাকার কষ্ট টা।

হয়ত তোমার কষ্টে আকাশটা এতক্ষণ চেপে রেখেছিলো নিজের কষ্ট টা। কেমন জানি একটা থমথমে ভাব ছিলো তার গায়ে। একদল মাতাল বুনো হাওয়া অবাধ্য হতে চাচ্ছিল। ছুটে বেড়িয়ে আসতে চাচ্ছিল।

হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে পুরো ঘর আলোকিত। চোখের ভাষায় আমি বুঝেছিলাম আমার প্রয়োজনীয়তা। কাছে আসতে না আসতেই প্রকৃতি আয়োজন করে আমাদের এক করে দিলো। বিকট এক বজ্রের শব্দে যখন তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলে আমি ঠিক ঠিক শুনতে পাচ্ছিলাম তোমার বুকের ধুকপুকানিটা। মনে হচ্ছিল একটা বুকের মাঝে দুইটা হৃদয়ের বসবাস।

আমি সাহিত্যিক নই। তাদের মত করে বলতেও পারি না,ফুটিয়ে তোলতে পারি না, আঁকতে পারি না একটা বৃষ্টিমুখর রাতের সৌন্দর্য। আমার কাছে সৌন্দর্যের অন্য নাম কোমলতা। তোমার সাথে কাটানো প্রথম রাতেই বুঝে গিয়েছিলাম হৃদস্পন্দনের ধুকপুকানিটাতে তুমি ভাগ বসাবে।

কাল ঈদ। আমাদের ২৫তম ঈদ। বরাবর তুমি বলতে আমি নাকি দিন তারিখ মনে রাখি না। আমি ঠিকই মনে রাখতাম। তোমার সাথে অভিনয়ের ছলে তোমার কপট রাগ দেখে নিতাম। ভালো লাগতো আমার। বলবো না এই জিনিসটা আনন্দ দিতো। একটা অস্বস্তিবোধ কাজ করতো। কিন্তু পাশাপাশি একরাশ মুগ্ধতাও জমা থাকতো।

তুমি ঘুমিয়ে গেছ একটু আগেই। ডায়েরী লেখার অভ্যাসটা আমার অনেক পুরনো। সে নিয়ে এই পঁচিশ বছরের জীবনে কোনদিনও তোমার কোন অভিযোগ দেখি নি। বাতি নিভিয়ে তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে যেতে। আমি টেবিল ল্যাম্পের আলো জ্বেলে তোমায় দেখে নিতাম। তোমায় নিয়ে লিখতে যেয়ে আমার কোনদিনও মনে হয় নি আমি শব্দ সংকটে ভুগছি।

তুমি ভাবতে বোকা আমি বোধ হয় কোনদিনও তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে পারবো না। আমি ডায়েরীটা আজ ইচ্ছা করেই আধখোলা রেখেছি। একদিন জানতে চেয়েছিলে কি এত লিখে যাই আমি। বলি নি সেদিন কিছুই। কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই টেবিলের পাশে চিরকুট টা পেয়ে ডায়েরীতে হাত দিবে তুমি। ডায়েরীর পাতাগুলো ছুঁয়ে দেখবে। আমি ঘুমের ভান করে থাকবো। তুমি নোনা জলে ছুঁয়ে যাবে অক্ষর গুলো।

একটা ডায়েরী যেন একটা জীবনের প্রতিচ্ছবি। শেষ পাতায় এসে আমাকে আচ্ছা মত বকে দিবে আমার এই ছেলে মানুষী দেখে। ঠিক পরক্ষণেই তোমার মন ভরে যাবে পরম ভালবাসায়। তুমি ডায়েরীটা ছেড়ে আমায় ছুঁয়ে দিতে চাইবে। আমি....

-ডায়েরীতে যা বলতে পারিনি তা শোনতে চাও??

-আরো কিছু পাগলামি বাকি রেখেছ তুমি??

-ভালবাসি। কোনদিন মুখ ফোটে বলি নি। বলার প্রয়োজন মনে করিনি। কিন্তু একটা আফসোস থেকে যেতো জানো??

-কেন? মুখে ভালবাসি না বললে বুঝবো না বুঝি??

-ঠিক তা না। আমাদের প্রথম রাতে তোমার বুকের ধুকপুকানিটা আমি আজও ভুলতে পারিনি। জানো?

-আমিও পারি নি যে। গল্পটা তুমি বললে তোমার গল্প হিসেবে। কিন্তু আমারও যে একটা গল্প আছে। সে গল্পে তুমি মানে আত্মবিশ্বাস,তুমি মানে ভালবাসা,তুমি মানে আমার অস্তিত্ব। ভালবাসি ওই বুকের শব্দটা। ভালবাসি তোমার রাত জাগার অভ্যেস টা। ভালবাসি তোমার পাগলামিটা। এসব কিছুতেই আমার ভালবাসা,এসব কিছুইতেই তুমি ......
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×