যুদ্ধাপরাধীরা নিঃসন্দেহে দেশ ও সমাজের শত্রু। অন্য সবার মত আমিও যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করি, চাই দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হোক। কিন্তু বিচার কাদের হবে? যুদ্ধাপরাধীইবা কারা?
সহজ কথায় মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পশ্চিম পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছিল, অর্থাৎ রাজাকার, আলবদর ইত্যাদি। ওদের অন্যায় ওরা এক পাকিস্তান চেয়েছিল, দেশটাকে ভাঙ্গার বিরূদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। সে সময় পাকিস্তানিরা বাঙ্গালী মুসলমানদের সামনে ভারত রিরোধী ইস্যুটাও কাজে লাগিয়েছিল।মোট কথা ধর্মটাকেই সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল, এর ফলশ্রুতিতে অনেক লোক পাকিস্তানিদের সাথে যোগ দিয়েছিল সত্যি মনেপ্রানে ওরা বাঙ্গালী, বাংলাদেশী।
লেখার ধরনে মনে হতে পারে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়া হচ্ছে, আসলে তা নয়। প্রকৃত ভাবটা বুঝানোর প্রয়াস মাত্র।
আমরা জানি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে প্রায়ই পাহাড়ীরা তাদের অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমে আসে। এসব আন্দোলন অনেক সময় স্বাধীনতা আন্দোলনে ও রুপ নেয়। পত্র-পত্রিকায় যতটুকু জেনেছি, পাহাড়ীরা জুমল্যান্ড নামক স্বতন্ত্র অঞ্চল দাবী করে আসছে, সে দাবী কতটুকু যৌক্তিক সেটা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরাই ভাল বলতে পারবে।এখন কথা হচ্ছে, পাহাড়ীদের এ দাবীর সাথে কিন্তু পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙ্গালীরা মোটেই একমত নয়। বাঙ্গালীরা চায় কেন্দ্রিয় শাসনের অধিনে স্বাভাবিক জিবন যাপন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে......
যদি কোন দিন আন্দোলনের মুখে কিংবা অন্য কোনো কারনে সত্যিই জুমল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তাহলে পাহাড়ে জুমল্যান্ডের বিরোধিতা কারী বাঙ্গালীদের কি হবে? তারা তো কোন অন্যায় করেনি। বর্তমান যুদ্ধাপরাধ ইস্যু যদি বিবেচনায় আনেন তা হলে, পাহাড়ের সঠিক পথে থাকা লোকগুলোও যুদ্বাপরাধীর তালিকায় পড়বে। তবে হ্যাঁ, মানবতাবিরোধি অপরাধ যদি হয় সেটা আলাদা ব্যপার এবং একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রধান আসামী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।
পাহাড়ে বসবাসরত প্রতিটি বাঙ্গালী, সময়ের প্রেক্ষাপটে যেমন যুদ্ধাপরাধী হতে পারেনা। তেমনি, বিশেষ প্রেক্ষাপটে অবস্থান নেওয়া একদল জনগোষ্ঠির সবাইকে ঢালাও ভাবে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা কতটুকু সমিচিন হবে,(প্রশ্নবোধক)
বরং অনগ্রসর এক জাতিকে বহুভাগে বিভক্ত করে আরও পেছনে ফেলে দেয়া হচ্ছে পরম সুকৌশলে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




