গত কিছুদিন পূর্বে ঢাকার একটি সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কোন একনেতা নিজেকে অথবা দলের নেতাকে মহানবী (সাঃ) এর সাথে তুলনা করে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী অনেক তোলপাড় হয়েছে। হওয়াটাই স্বাভাবিক, যে দেশের শতকরা নব্বই জন লোক মুসলমান সে দেশের মাটিতে দাড়িয়ে মহানবী (সাঃ) এর অবমান, এ হতে পারেনা। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অপরাধে দেশব্যাপী অনেক মামলাও হয়েছে।
জামায়াত নেতাদের বিরূদ্ধে এসকল মামলা গুলোর বেশীর ভাগই করেছেন আ.লীগের নেতা-কর্মী অথবা আ.লীগ পন্থী আলেম সমাজের অর্ন্তভূক্ত ব্যক্তিবর্গ। দেশের বেশিরভাগ মানুষই তাদেরকে সাধুবাদ দিয়েছিল যদিও ওনারা দলীয় সংকীর্ণতার উর্দ্বে কতটুকু উঠতে পেরেছেন প্রশ্নসাপেক্ষ।
গত ১ আগষ্ট বিশ্ব শান্তি পরিষদের সভাপতি দেব নারায়ন মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কোরবানির শুদ্ধতা দাবী করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন এবং পবিত্র আল কুরআনের শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এশুধু একটা মুর্খতাই নয় দৃষ্টতাও বটে। যার মাধ্যমে আল কুরআনের অপব্যখ্যার পাশাপাশি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। যার বিরূদ্ধে কথা বলা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে এবং যারা দেব নারায়নের বিরূদ্ধে মামলা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
কিন্তু ঘৃণা তাদের প্রতি যারা একটু রাজনৈতিক সুবিধার জন্য নিজেদের পুরো ধর্মানূভূতি ঢেলে দিয়েছিল সভা, সেমিনার, রাজপথ কিংবা কোর্টের বারান্দায়। সেসব ধর্মানুভুতি সম্পন্ন লোকেরা এখন কোথায়? আজ একটি মামলা করে দেখান যে, আপনারাও পারেন। কিন্তু জানি, এ আপনাদের দ্বারা সম্ভব নয়। বিশেষ শ্রেণীর লোকদের উপর আপনাদের গর্জন যত ভয়ংকর দেব নারায়নদের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি ততই নমনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




