২০০০ সালের আগে দৈনিক ইনকিলাব একটি জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে সকলের পরিচিত ছিল। সেই সময়ে জনপ্রিয় দুতিনটি পত্রিকার মধ্যে এটি একটি অন্যতম পত্রিকা ছিল। সংগত কারনে আমি তখন এই প্রত্রিকাটির নিয়মিত পাঠক ছিলাম। ২০০১ সালে নির্বাচনের কিছু মাস আগে এই পত্রিকাটি এমন একটি হিসাব জাতির সামনে উপস্থাপন করল,যেই হিসাব পরবর্তীতে ১০০% সত্যবলে প্রতিয়মান হয়। সেই হিসাবটি ছিল আগামী অর্থ্যাৎ ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে কত ভোট পাবে বা কে কার সাথে জোট করলে কত ভোট পাবে। সেই হিসাব অনুযায়ী দেখা গেল বিএনপি অঅর জামায়াতের ভোট একসাথেজোট হলে বিএনপি নিশ্চিত ক্ষমতায় যাবে। হিসাবটি অনুসারে, শুধু যে ক্ষমতায় যাবে তা নয়,বিএনপি আর জামায়াতের ভোট এক সাথে থাকলে আওয়ামী লীগ আগামী ৫০ বছরেরও ক্ষমতায় যতে পারবে না বলে তখন সবাই মনে করেছিল। উল্লেখিত হিসাবটির আলোকেই ৪ দলীয় জোট গঠন করা হয় এবং সেই হিসাব সত্য বলে প্রতিয়মান হয় এবং বিএনপি প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থ্যাৎ দৈনিক ইনকিলাবে দেওয়া হিসাব অনুযায়ই আসন পায় ।আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পায় মাত্র ৫০টি আসন। হতবম্ব হয়ে যায় আওয়ামী লীগ। দিশেহারা হয়ে যায় তারা এই ভেবে যে,এত উন্নয়ন করলাম তার পরও ভোট দিলে না জনগন। সুতারং অন্য চিন্তা করতে থাকে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ তখন ভাবতে শুরু করে কিভাবে এই জোট নষ্ট করা যায়। কিভাবে বিএনপি জোটের ভাংগন ধরানো যায়। কিভাবে এদের চিরতরে ধব্ংস করা যায়। কারন বিএনপি জামায়াত ভাংগল ধরাতে না পারলে বা এদর বদনামি সৃজন করতে না পারলে এই শক্তিকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে না। কারন এদের ঐক্য বজায় থাকলে আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষতায় আসতে পারবে না।
কিভাবে এদের ধবংস বা জনগনের দ্বারা প্রত্যাখান করানোর কৈৗশল সৃষ্টি করা না গেলে,এরা অপ্রতিরোদ্ধই থেকে যাবে । এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমেই ঐ থিউরি সৃজন কারী দৈনিক ইনকিলাবকে তারা কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে কিনে নিল আওয়ামী লীগ। এভাবে দৈনিক ইনকিলাব এ প্রকার ধবংস হয়ে গেল।
এবার জামায়াতকে চিরতরে শেষ করতে হবে। কারন এরাই বিএনপিকে ক্ষমতায় এনেছে।
প্রথমে পরিকল্পনা মাপিক কিছু বুদ্ধিজীবিকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হল এই রব তুলে যে, দেশেল একমাত্র সমস্যা যুদ্ধাপরাধী।
সুতারং এদের ধবংস না করলে দেশ উন্নতি লাভ করবে না।
পুরো জাতি শুধু এই কথা গুলো হজম করল। অথচ এর আঁড়ালে যে আসল সত্য তা এই জাতি খেয়াল-ই করল না। আসল ব্যাপার ছিল ২০০১ সালে নির্বাচনে হারানোর প্রতিশোধ। আর সে্ই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের রাস্তায় নামানো হল। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে সেক্টর কমান্ডার নামের কিছু নেতাকে রাস্তায় নামিয়ে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনে হারানোর প্রতিশোধ নেওয়ার পথে অগ্রসর হতে থাকল । ভাবতে অবাক লাগে পুরো জাতি আওয়ামী লীগের পাতানো ফাদে কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রতারনার পাদে পা দিল। দেশ বাসি বুঝতেই পারল না কিভাবে জনগনের মাথার উপর কাঠাল ভেংগে খেল। দে্শের কিছু কিছু মানুষ লাফাতে লাগল ,যুদ্ধাপরধিীর বিচার চাই,যুদ্ধাপরধিীর বিচার চাই। অথচ অাওয়ামী লীগ তখনই এই বিচারের নাম নিল যখন দেখল এটা প্রচার করে দেশবাসীকে আবেগী করতেই পারলই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে তার ক্ষমতায় যাওয়া সুবিধা হয়। আমরা জনগন বোকার মত বলতে লাগলাম হ্যাঁ ঠিকই তো বিচার চাই । বিচার চাই।
এই বিচার আওয়ামী লীগ করল নির্বাচনে জিতার বটি হিসেবে।
তারই বলি হতে হল কাদের মোল্লাকে,কামরুজ্জামনকে। এটাই বান্তব।
জামায়াত বিএনপির সাথে জোট করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে না হারালে আওয়ামী লীগ কখনো জামায়াতের বিচার করতো না। আওয়ামী লীগের রাজনীতিক অভিলাস মিঠানোর গুটি হিসেবে আমরা পুরো জাতি ব্যবহৃত হয়েছি এবং হচ্ছি। এটার চেয়ে সত্য অঅর কোন কথা হতে পারে না। একজন পাঠক হিসেবে আমি অন্য সকল পাঠককে এটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি। এর বিরুদ্ধে যুক্তি থাকলে স্বগত জানাব।