সিটি নির্বাচন বিএনপি পূর্ব পরিকল্পনা করে বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ এমনটাই প্রচার করছে। পূর্ব পরিকল্পনার প্রমান হিসেবে আওয়ামী ঘরনার কিছু মিডিয়া ভিডিও টেপ প্রচার করছে। অথচ সেগুলো শুনে এমনটা বুঝা যায় না যে, তারা নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল। আওয়ামী লীগের এই অপ্রচার ধরে নিলাম সত্য, তাহলে খালেদা জিয়ার উপর কে হামলা করেছে? তার গাড়ির কাঁচ ভাংগা ,গুলি করা এসব কি বিএনপি করেছে? বুলেটপ্রুপ গাড়ি না হলে তিনি তো মারাই যেতেন। ছাত্র লীগের সোনার ছেলেরা সেদিন সবার চোখের সামনে এই হামলা করেন। সেনা বাহিনী নিয়োগ না করা তাও কি বিএনপির কারনে? আপনারা যদি বুঝতেই পারতেন যে, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবেন ,তাহলে কেন সেনা বাহিনী ভয় পেলেন? নির্বিঘ্নে ভোট চুরির জন্য সেনা বাহিনী নিয়োগ করা হয়নি, এটা পাগলেও বুঝে। সব কেন্দ্র কারা দখল করেছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে এমনটা জানলে আপনারা কেন বিএনপির সব এজেন্টকে রাতে বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি দিলেন? মির্জ আব্বাসকে কোর্টের দোহাই দিয়ে কেন জামিন দিলেন না?
তাবিদ আওয়াল নিজেই জাল ভোট দান কারীকে হাতে নাতে ধরেছেন। আসল ব্যপার হল আওয়ামী আশা করেনি যে, বিএনপি ইলেকশনে আসবে না।
বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী পলাতক থাকতে আওয়ামী লীগই পুলিশ প্রসাশন দিয়ে ব্রিফিং দিয়েছে যে, তথাকথিত নাশকতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশাতে হারতাল প্রত্যাহার করেছিল । এমনকি অবরোধও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করেছিল যে, অন্তত তাদের সব নেতা-কর্মদের ফ্রিলি কাজ করতে দিবে। কিন্তু কাজ করতে দেওয়া তো দূরের কথা তাদের আরো বেশি হয়রানি করলো। স্বয়ং প্রধানম্নত্রী ঘোষনা দিল যে, অভিঝান চলবে। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার এই কথাই প্রমান করে যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ফ্রিলি বা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিবেন না। বিএনপি শেষ পর্যন্ত আশা করেছিল সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু কি ঘটেছে,পুরো জাতি এমনকি পুরো বিশ্ব দেখেছে।
এহন অবস্থায় বিএনপির ইলেকশন বর্জন করা পূর্ব পরিকল্পনার দরকার তো নাই। দিনে দুপুরে ভোট জালিয়াতি তারা করেছে।
সুতারং কিছু দালাল মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের কিছু অনির্বাচিত মন্ত্রী যা বলছেন তা হালে পানি পাবে না। জনগন কি ভাবছে কি মনে করছে একটু ভাবুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯