somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদিরসাত্মক সংস্কৃত কবিতা

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২১
প্রকাশক: বেহুলাবাংলা
পরিবেশক: রকমারি ডটকম

এই বইয়ের অনূদিত কবিতাগুলি আমার একান্ত ব্যক্তিগত প্রকাশ; কোনোভাবেই এদেরকে সংস্কৃত কবিতার আদর্শ অনুবাদ দাবী করা যায় না। এমন-কি মূল সংস্কৃত থেকেও বাংলা করা হয়নি এদের। করা হয়েছে এগুলোর ইংরেজি অনুবাদ EROTIC POEMS from the SANSKRIT বই থেকে। দু’বছর আগে ঢাকার পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। যার অনুবাদ এবং সম্পাদনা করেছেন তামিলনাড়ুর কবি রাজাগোপাল পার্থসারথী। তিনি নিউইয়র্কের স্কিডমোর কলেজের ইংরেজি আর এশিয়ান স্টাডিজ-এর সহযোগী অধ্যাপক। বর্ষীয়ান(৮৬ বছর) এই কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতাবোধ রইল যেহেতু আমার সংস্কৃত ভাষা জ্ঞান একেবারেই নেই, তবুও তাঁর অসম্ভব ভালো আর সহজবোধ্য ইংরেজির কারণেই এই সংস্কৃত কবিতাগুলি হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছি। আর সাহস করে ফেলেছি বাংলায় অনুবাদ করতে। কৃতজ্ঞ রইলাম চন্দনদার প্রতিও যিনি বিশ্বাস করেছেন এগুলো অনেকাংশে বই আকারে প্রকাশ করার যোগ্য হয়েছে। এর আগে কয়েকটি কবিতা অবশ্য আমার ফেসবুক পেজ আর আমার ব্লগে পোস্ট করা হয়েছিল। এ ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশিত হয়নি। তাই বলা চলে বাংলায় পাঠকের দ্বারে সরাসরি বই আকারেই এলো এরা। আর—

যে কথা না বললেই নয়, তা হলো, পার্থদার ইংরেজি পড়তে গিয়ে যেই পাঠের আনন্দ পেয়েছি আমি তা আমাকে দারুণভাবে উদ্দীপ্ত করেছে। পড়তে পড়তেই মনে হয়েছে আধুনিক ও দৈনন্দিন ব্যবহরিক বাংলায় অর্থাৎ সহজ শব্দের ঐশ্বর্যে চমৎকারভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে এসব কবিতা। মনে হয়েছে সাধারণ পাঠকের কাছে কিংবা আমারই মতো সেইসব কবিতা প্রেমীদের কাছে বাংলায় কিছুটা হলেও পৌঁছে দেয়া যেতে পারে সংস্কৃত কবিতার স্বাদ। যদিও অনুবাদ পুরোপুরি সম্ভব নয়। যেমনটা পড়েছিলাম কবি আইলিয়া কামিনস্কির অনুবাদ বিষয়ক এক সাক্ষাৎকারে। মানে হচ্ছে, মূল কবিতার সম্পূর্ণ স্বাদ অনুবাদে ধরা প্রায় অসম্ভব। ভাষাগত বৈশিষ্টের পার্ধক্য এর প্রধান কারণ হতে পারে। তারপরও মূলানুগ থেকে অনুবাদ যেন অন্য ভাষায় একটু আলাদা অথচ পূর্ণাঙ্গ এক কবিতার স্বাদই অনুভব করায় আমাদের। এমনই এই বইয়ের কবিতাগুলি পড়তে গিয়ে আমরা হয়তো পৌঁছে যাবো প্রাচীন ভারতে। তারপর ধীরে ধীরে ভাঙতে থাকবে প্রাচীন ভারত সম্পর্কে আমাদের সেই আধ্যাত্মিকতার ধারণা। মনে হতে থাকবে সত্যের চেয়ে ধ্রুব আর বাস্তবতার চেয়ে অধিক সত্য আর কিছু নেই। কবিতাগুলো সেই সংস্কৃতিকেই প্রকাশ করে যেখানে উদযাপন করা হয় রক্ত-মাংসের শরীরী আনন্দ। প্রকাশ করে এমন এক দ্বিধাহীন ভাষায় যা আমাদের মনের ভেতর উদয় হতে দেয় না কোনো পাপবোধ। বরং সবসময়ই সীমা অতিক্রম না-করে লক্ষ্য রাখে নির্মল স্বাদের আদর্শের দিকে। জন্ম দেয় আনন্দ, বিস্ময় আর মুগ্ধতার। শতাব্দীর দূরত্ব অতিক্রম করে এইসব কবিতায় কবিগণ যেন আমাদেরই সমসাময়িক হয়ে ওঠেন। আর তাঁদের কবিতাগুলো অত্যন্ত সাবলীল আর আকর্ষণীয়ভাবে বিস্তর মনুষ্য অভিজ্ঞতার কথা বলে— কথা বলে প্রেমে পূর্ণতা/অপূর্ণতা, বৃদ্ধাবস্থা, দারিদ্র, তপস্যা, আর প্রকৃতির—কথা বলে এমনতর স্বরে যে, মনে হয় এগুলো আজও প্রাসঙ্গিক ও সত্য।

পার্থদা তাঁর বইয়ের সূচনা পর্বে বলছিলেন, ভূমিকা কোনো পাণ্ডিত্য জাহির করার জন্য নয়; বরং যে পাঠক এই প্রথম সংস্কৃত কবিতা পড়তে এসেছেন, তার জন্য কিছু দিক নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে কবিতা পাঠের আগে। কীভাবে পাঠ করতে হবে সংস্কৃত কবিতার এই অনুবাদ—ভূমিকা হচ্ছে সেই পাঠককে এই বিষয়ে কিছু মৌলিক তথ্য প্রদানেরই প্রয়াস।

কবির ভূমিকা

এখানে মোট বাহাত্তুর জন কবির কবিতা রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা কবি রয়েছেন সাত জন। যদিও সবাই নন, তবু বলা যায় অনেক কবিই ছিলেন তৎকালীণ কোনো না কোনো রাজসভার সভা-কবি। তাঁরা খুব কমই তাদের একান্তই নিজের চিন্তা বা অনুভূতির কথা লিখতেন। কবিতায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আত্মপ্রকাশের ধারণা ছিল তখনকার সংস্কৃতির একেবারে বাইরের জিনিস। তাঁরা কেবল সেইসব ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতেন যারা থাকতেন কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতির ভেতর। যেমন বলা যায়: কোনো স্বামীর কথা যে কিনা বাড়ি ফেরার পথে একটি রাত কোনো এক গণিকার সাথে কাটিয়ে এসেছেন, কিংবা এক স্ত্রীর কথা যে তার বিদেশ ফেরত স্বামীকে দেখে আনন্দে হঠাৎ আত্মহারা হয়ে উঠেছেন, অথবা কোনো সন্ন্যাসী এই ভবজগৎ সম্পর্কে তার নিরাসক্তির কথা ব্যক্ত করছেন,—এই রকম আরো অনেক কিছুই। এখানে, কবিকে কেবল পাওয়া যায় তাঁর শব্দ, চিত্র আর বিষয় চয়নের ভঙ্গিমায়। অর্থাৎ দক্ষতার সাথে একটি নিপুণ কবিতা রচনার যে ভাষাগত ঐশ্বর্য রয়েছে তা-ই শেষ পর্যন্ত একজন কবির গৌরবের ঝুলিতে অর্জন হিসেবে যোগ হয়।

সংস্কৃত কবিতার পাঠ

সংস্কৃত কবিতা সহজে হৃদয়ঙ্গম করা যায় দুটি মূল ধারণার আলোকে। একটি হচ্ছে রস, অন্যটি ধ্বনি। রস মানে “ফ্লেভার,” “আস্বাদ,” বা “স্বাদ।” তবে একে “মেজাজ” বা “মুড” বললেই অনেকটা কাছাকাছি শোনায়। বিভিন্ন রকম সংবেদন আছে। যেমন আবেগ, বিষাদ কিংবা শান্তির মতো অনেক কিছুই রয়েছে যা মানুষের সহজাত। মানুষের ভিতর অনুরূপ মেজাজ বা মুড উৎপন্ন করে। যেমন কামুদ্দীপক, করুণ, শান্তিময় ইত্যাদি। আর এগুলোর উৎপত্তি হয় যেই ব্যঞ্জনার মাধ্যমে তাকে বলা হয় ধ্বনি। অর্থাৎ ধ্বনি মানে হচ্ছে, “আওয়াজ,” “অতিস্বর,” বা “অনুনাদ।” তবে ব্যঞ্জনা বা অভিভাব বললেও কাছাকাছি শোনায়। যখন কোনো চিত্র, ঘটনা বা অবস্থা ব্যক্ত করা হয় কবিতায়, তখন তা পাঠকের হৃদয়ে একটি নির্দিষ্ট সংবেদনকেই উদ্দীপ্ত করে। সংবেদনটি যখন এর অশুচিতা থেকে বিশোধিত হয়ে ওঠে, তখন সামনে নিয়ে আসে তার সংশ্লিষ্ট মেজাজ বা মুড, যা কিনা অনুধাবন করা যায় ব্যঞ্জনা বা অভিভাবের প্রভাবে। নান্দনিক অভিজ্ঞতা হচ্ছে সংবেদনের বা আবেগের বিশোধিত যে রূপ, তারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ “কবি ও পাঠকের ব্যক্তিগত দৈনন্দিন জীবনের ভিত থেকে এগিয়ে গিয়ে সামুষ্টিক মনুষ্য জীবনের ভিত পর্য‌ন্ত অর্জিত অভিজ্ঞতায় যে চৈতন্যের উত্থান ঘটে, সেইখানে সৃষ্টি হয় কবিতার, সেইখানে লাভ হয় পরম আনন্দের।” এখানে প্রতিটি কবিতায়ই পাওয়া যাবে প্রভাবপূর্ণ রস, আর তা আস্বাদনের পথ হচ্ছে সেই ব্যঞ্জনা।

কবিতাগুলোয় নয় প্রকার রস খুঁজে পাওয়া যাবে: কামুদ্দীপক, কৌতুকপ্রদ, করুণ, নিষ্ঠুর, বীরোচিত, ভয়ানক, বিভৎস, অপূর্ব, এবং শান্তিময়।

প্রেমের পরিপ্রেক্ষিত

আদিরসাত্মক প্রেমের দুটি দিক রয়েছে। উপভোগ এবং বিচ্ছেদ। উপভোগের আওতায় রয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকার মিলন, হতে পারে তা বৈধ কিংবা অবৈধ, তবে উপভোগ থাকবেই, যেহেতু এটাই মূল উপজীব্য এখানে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রেমিক-প্রেমিকার বিচ্ছেদের। সম্পর্কের ভাঙন এখানে বিষয়, কেননা প্রেমিকবর বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সাধারণত বিচ্ছেদ হয় সাময়িক। কারণ প্রেমিকা তার চরিত্রহীন প্রেমিককে ক্ষমা করে দেয় শেষ পর্য‌ন্ত। মিলে যায় পরস্পর তারা। কবিতায় সবসময় নির্দিষ্ট পাওয়া যায় না যে প্রেমিক-প্রেমিকা বিবাহিত না অবিবাহিত। আসুন, নিচের “অনুযোগ”(পৃ: ১০৭) কবিতাটি পড়ি আমরা—

সখীরা আমার, কতো-যে ভাগ্যবতী তোরা !
মন খুলে বলতে পারিস তোদের
প্রেমিকের সাথে অভিসারের কথা: খুনসুটি,
হাসি তামাশা আর অফুরন্ত সুখ-প্রাপ্তির সেই পর্বগুলোও।
আর আমার ক্ষেত্রে, যখন আমার প্রেমিক আমার ঘাগরার বাঁধন খুলে ফ্যালে,
সত্যি বলছি, এরপর কিছুই মনে থাকে না আমার।

এই কবিতায় একই সাথে আমরা পাই উপভোগ আর বিচ্ছেদের সুর। যৌন সম্পর্কের সময় ‘দেখা’ এবং ‘ছোঁয়া’ই মুখ্য হয়ে উঠেছে এখানে। একটুও আপত্তিকর না করে চমৎকার ভাবে শরীরী খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন কবি বিদ্যা। “যখন আমার প্রেমিক আমার ঘাগরার বাঁধন খুলে ফ্যালে”র মতো বর্ণনা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর ও প্রবল; চাক্ষুষভাবে এবং স্পষ্টভাবেও। আমরা বুঝতে পারি, বক্তা এখানে বন্ধুদের মাঝে নিজের যৌন অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করতে কুণ্ঠিত। প্রচণ্ড কামোত্তেজনা তাকে নির্বাক করে তোলে। সেই অভিজ্ঞতা এতোটাই সম্পূর্ণ যে তার স্মৃতির কোনো চিহ্ন থাকে না। নিরবতাই হয়ে ওঠে তাদের নৈকট্যের একমাত্র ভাষা। নিরবতায় মুক্তি।

সন্ন্যাস/তপস্যা

অন্য কবিদের চেয়ে ভারতহরি হচ্ছেন সেই কবি যার কবিতায় সন্ন্যাসের দ্বন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে জগতসংসার ত্যাগ করে নিজেকে উৎসর্গ করা যেন ইন্দ্রিয়-সুখের মতোই জীবনের চার বৈধ লক্ষ্যের একটি। ত্যাগী তার পরিবারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় এক অদ্ভুত সন্ন্যাস জীবনের উদ্দেশ্যে। কবি ভারতহরির কবিতা পড়তে পড়তে আমাদের মনে হয়, যা কিছু ঘটছে জীবনে, এগুলো কিছুই না, এমন-কি কোনো ইন্দ্রিয়-সুখই চিরস্থায়ী নয়। যদিও আমরা উপভোগ করছি ওই মুহূর্তগুলো, কিন্তু আসলে তা ক্ষণিকের বলে অনুতাপ বোধ হয় শেষে। এমন অনুশোচনাই তাঁর কবিতাকে তীব্র আর মর্মভেদী করে তোলে। আমরা বুঝতে পারি, যদিও জানি ওই সুখ ক্ষণস্থায়ী, তারপরও শেষ পর্য‌ন্ত তার কাছেই নিজেকে সমর্পণ করে দিই। ইন্দ্রিয়-সুখ যেন নারীর শরীরে মূর্ত হয়ে থাকে; এইসব কবিতায় বারবার সেই নারীর শরীরের কামুক আহ্বানের স্বরই শুনতে পাই আমরা। তবে তাঁর কবিতায় নারী হচ্ছে অসাড় বস্তু কিংবা স্থবির চিত্রের মতো। যার দিকে কোমলভাবে তাকিয়ে থাকা যায়। যদিও নারীর ত্বকের নিচের হাড় পর্য‌ন্ত দেখতে পায় চোখ, তবু দৃষ্টি ফেরানো যায় না। এরকম আশ্চর্য‌ দ্বন্দই যেন দেখতে পাওয়া যায় কবি ভারতহরির কবিতায়।

ঈষত চপল এই পৃথিবীতে,
জ্ঞানী লোকেরা দু’টি বিষয় কেবল বেছে নেন:
একটা সময় পর্যন্ত তারা জ্ঞানের সমুদ্রে প্লাবিত
হৃদয়গুলোকে সঙ্গী হিসেবে রাখেন। আর
বাকীটা সময় তারা কাটান যুবতী সোমত্ত নারীদের সাথে,
যাদের রয়েছে ভরাট নিতম্ব আর উদ্ধত স্তন।
তারা আনন্দে ভেসে যান নারীদের উরুর গভীরে
তাদের চঞ্চল হাত লুকোনোর খেলায়।

(জ্ঞানী লোকেরা/পৃ: ৫৫)

প্রকৃতি

সংস্কৃত কবিরা সাধারণত রাজা/মহারাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ঊজ্জয়নী (মধ্যপ্রদেশ) এবং কান্যকুব্জর (উত্তরপ্রদেশ) মতো শহরে বাস করতেন। প্রকৃতির ছবি তাদের কবিতায় মুখ্য হয়ে দেখা দেয় না যদিও, তবে বাংলার কবি যোগেশ্বর আর অভিনন্দার কবিতায় প্রকৃতির মুগ্ধকর কিছু চিত্র পাওয়া যায়।

হৃদয় আলোকিত করে নদীটি তার তীর প্লাবিত করছে:
বেতের উপর ঘুমাচ্ছে একটা সাপ;
বন-মুরগি ডাকছে; চেঁচাচ্ছে রাজ-হংসী;
বিভিন্ন ডেলায় জড়ো হচ্ছে হরিণের কিছু পাল;
পিঁপড়েদের স্রোতে নুয়ে পড়ছে ওই ঘন ঘাস;
আর বনকুক্কুট এদিকে আনন্দে আত্মহারা।

(যখন বৃষ্টি নামে/পৃ: ১১২)

প্রকৃতির বাস্তব ও বিমূর্ত ছবি চিত্রিত করতে কবি যোগেশ্বরের আশ্চর্য‌ ক্ষমতা ছিল নিঃসন্দেহে। তাঁর বর্ণনা একদম যথাযথ। তাঁর কবিতা পড়তে গিয়ে অমরা যেন এক নিখুঁত দৃষ্টি পাই, যার মাধ্যমে বর্ষা-প্রকৃতির পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃশ্য ভেসে ওঠে আমাদের চোখের সামনে। তাঁর কবিতা মুক্ত বাতাসের নিঃশ্বাসের মতোই সজীব।

আর কথা নয়। আসুন এইবার ধীরে ধীরে এই বইয়ের অনূদিত আদিরসাত্মক সংস্কৃত কবিতাগুলির ভেতরে ঢুকতে শুরু করি আমরা। শুরু করি কবিতার পাঠ।

—ঋতো আহমেদ, ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২০।

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হেঁটে আসে বৈশাখ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০


বৈশাখ, বৈশাখের ঝড় ধূলিবালি
উঠন জুড়ে ঝলমল করছে;
মৌ মৌ ঘ্রান নাকের চারপাশ
তবু বৈশাখ কেনো জানি অহাহাকার-
কালমেঘ দেখে চমকে উঠি!
আজ বুঝি বৈশাখ আমাকে ছুঁয়ে যাবে-
অথচ বৈশাখের নিলাখেলা বুঝা বড় দায়
আজও বৈশাখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×