somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জঙ্গি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বিস্তারে ওয়াজের ভূমিকা পর্ব ১

০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র। ধর্ম নিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র ছিল রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল। কিন্তু ধর্মের নামে ওয়াজের মাধ্যমে তৃণমূলে মৌলবাদের যে মহামারি ঘটছে তা একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী তেমনি অন্যদিকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথে প্রধান অন্তরায়। ওয়াজগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালীর আবহমানকালের সংস্কৃতি, অন্য ধর্ম এবং জীবনমুখী শিল্প সাহিত্যের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করা হচ্ছে। জাতীয় সংগীতের অবমাননা করা হচ্ছে। নারীদের বিশ্রি ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে, অবমাননা করা হচ্ছে গায়ক শিল্পীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও গুণী ব্যক্তিত্বকে।
২০২০ সালের ১১ নভেম্বর ফেনির পশ্চিম দরবেশে এক ওয়াজ মাহফিলে মুফতি রবিউল ইসলাম নামের একজন ওয়াজকারী বলেন, “আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে এক ইহুদি কটুক্তি করেছিল। রাসুল তখন সেনাবাহিনী প্রেরণ করে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে তাকে চিরস্থায়ী জাহান্নামবাসী করে দিয়েছিল। যদি কেউ কটুক্তি করে প্রাথমিক অবস্থায় তার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তবে রাষ্ট্র যদি ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, রাষ্ট্র যদি নাস্তিক মুর্তাদদের মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে। তাহলে আমরা নিজ উদ্যোগে বিভিন্নভাবে হত্যাযজ্ঞের ব্যবস্থা করে এসব নাস্তিক মুরতাদদের শাস্তি দেব। আর এজন্য কোনও রাষ্ট্রপতির, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই, প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন নেই। আপনি আমি তাদেরকে যেখানেই পাব সেখানেই কতল করব। এটাই ইসলামের বিধান।” তার ভাষায় নাস্তিক এবং অবিশ্বাসীদেরকে হত্যায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য বক্তা মুফতি রবিউল ইসলাম তার দলিল প্রদান করে যান। আবু দাউদ শরীফের ৩৪৬১-৬২ নম্বর হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে কিছু আরবি তেলওয়াত করেন। সাধারণ মানুষদের বোঝানোর জন্য তিনি বাংলায় তর্জমা শুরু করেনÑ তার কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ে তীব্র উন্মাদনা, হিংস্রতা। তিনি বলেন, “একবার এক মহিলা নবী (স) কে নিয়ে কটুক্তি করে। এক নবীপ্রেমী ঈমানের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ওই মহিলাকে গলা টিপে হত্যা করে। রাসুল দ্বার্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, যদিও আমি রাষ্ট্রপতি, যদিও আমি মুসলিম সেনাপ্রধান, তুমি আমার অনুমতি নেও নাই, আমার অনুমতির তুমি অপেক্ষা করো নাই। ওই ইহুদির গুষ্টি আমাকে নিয়ে কটুক্তি করেছে, তুমি তাকে গলা টিপে হত্যা করেছো। সেদিন আল্লাহর হাবিব এই হত্যার কোনও বিচার করেন নাই। ওই সাহাবিকে নিষ্পাপ আখ্যা দিয়ে বেকসুর খালাস প্রদান করেছিলেন।” তার বক্তব্য শেষ হতেই সুবাহান আল্লাহ, নারায়ে তাকবীর ধ্বনিতে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে ওয়াজের মজলিশ। [লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=4LwSAYGUtNg]
শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এক ওয়াজে বলেন, “মরাও যতটুকু, বাঁচাও ততটুকু। মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী। আমি মুসলিম রণবীর। আমি মরণকে করি না ভয়। আমি মূর্তি ভাঙার জন্য জন্ম নিয়েছি, মূর্তি গড়ার জন্য নয়। ইব্রাহিম আলাইহি আসসালাম মূর্তি ভেঙে দিয়েছেন। লাথি দিয়ে ভেঙেছেন। আমরাও জন্ম নিয়েছি মূর্তি ভাঙার জন্য।”
[লিংক: Click This Link এরপর তিনি ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর তীব্র ভাষায় বিষোদগার করেন। মাহমুদুল হাসান গুনবি এক ওয়াজে বলেন, “আমরা বলব তার কোনটা ভুল কোনটা ঠিক এইটা ধরবে কারা? ওলামায়েরা। এইটা কি চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রিরা ভুল ধরবে? আপনারা কোনও এমপি, মন্ত্রীকে ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আনবেন না। আজ থেকে শপথ করেন, মাহফিলে আপনারা কোনও নাস্তিক, কোনও কাফের, মুরতাদ আসতে পারবে না, অতিথি হতে পারবে না।” তার একথা শুনে ‘নারায়ে তাকবির’ ধ্বনিতে ফেটে পড়ে ওয়াজের জমায়েত। তিনি আরও বলেন, “মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে পর্দা নিষিদ্ধ করেছে। এইগুলা করছে নাকি গভর্নিং বডি। তবে শুনে রাখ, তোরা গভর্নিং বডির হুকুম পালন করোসÑ আমরা গভর্নিং বডিরও গভর্নিং বডি আল্লাহর হুকুম পালন করি। আল্লাহ বলেছে, যারা ইসলামের কোনও ফরজের বিরোধিতা করবে তারা মুরতাদ হবে। আর মুরতাদদের বিরুদ্ধে তোমরা জিহাদ চালিয়ে যাবা।” এই বক্তব্যের পর ‘জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গণজমায়েত। এগুলো কতিপয় উদাহরণ মাত্র। এরকম বক্তব্য তারা সবসময় দিচ্ছে। মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ ওয়াজকারির এসব বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয় না। ফলে দ্ব্যর্থহীনভাবে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়াতে সমর্থ হচ্ছে। এটি সবারই জানাÑ ধৃষ্টতা এবং সাহস কোন পর্যায়ে গেলে আল্লামা মামুনুল হকের মতো একজন অর্বাচীন কেউ সরাসরি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করতে পারেন। মামুনুল হক বলেছিলেন, “কোথাও যদি বঙ্গবন্ধুর কোনও মূর্তি তৈরী করা হয়ে থাকে আমাদের সামর্থ থাকলে আমরা সেটা ভেঙে গুড়িয়ে দেব।” এই বক্তব্যের সমর্থনে অন্যান্য ইসলামী সংগঠনগুলোও যোগ দেয়। তারা প্রকাশ্যে বাংলাদেশবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কথা বলেন। আল্লামা মামুনুল হকের সাম্প্রদায়িক বক্তব্য নতুন নয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে প্রতিটি ওয়াজে তিনি অসহিষ্ণু, নারীবিদ্বেষী, বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য প্রদান করার। তিনি বলেন, “পরিষ্কার করে বলতেছি, যদি শাহবাগীরা আবার ইসলামের বিরুদ্ধে, ওলামা একরামের বিরুদ্ধে, হিজাবের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় আলোচনার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলার চেষ্টা করে, তাহলে আল্লামা আহমদ শফীর সন্তানেরা আবার শাপলা চত্ত্বরে যাবে।”
[লিংকঃ https://youtube.com/watch?v=8uxM4e2N4EY] আল্লামা মামুনুল হক ওয়াজের মজলিশে পরিষ্কারভাবে পাকিস্তানবাদ ছড়িয়ে দেন। তিনি সরকারকে এবং রাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “যদি তুমি আমাদের বন্ধুত্বের হাতে গাদ্দারির রক্ত লাগিয়ে দিতে চাও, সম্প্রীতির জায়গায় যদি সাম্প্রদায়িকতার আগুন লাগিয়ে দিতে চাও, ৮০ কোটি মুসলমান হজরাতুলহীনদের হাতিয়ার নিয়ে জিহাদের ময়দানে নামবে।” এই ইসলামিক নেতা আরও বলেন, “আমরা মূর্তির বিরোধী, ভাস্কর্যের বিরোধী। সেই মূর্তি যদি বঙ্গবন্ধুর হয় কিংবা জিয়াউর রহমানেরও হয় তাহলেও আমরা তার বিরোধী।” [লিংকঃ Click This Link মার্চ ১২, ২০১৯] আল্লামা মামুনুলের বক্তব্যে শুধু ভাস্কর্য বিরোধিতার কথাই উঠে আসে না। তিনি সরাসরি বাঙালি জাতিসত্ত্বা এবং বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধিতা করেন। বিভিন্ন মসজিদে জুমার খুতবায় কোরান হাদিসের ভিত্তিতে সত্যনিষ্ঠ আলোচনা করার রীতি আছে। কিন্তু এসব মজলিসে সত্যনিষ্ঠ কোনোকিছু আলোচনা করার চাইতে ব্যক্তিনিন্দা, রাজনৈতিক মতাদর্শ চর্চা, রাজনৈতিক বক্তব্য এবং জঙ্গীবাদের প্রচার কী পরিমানে হচ্ছে সেটি নির্ণয় করার সময় এসেছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ১৫ জন বক্তাকে চিহ্নিত করেছেন যারা সরাসরি বাংলাদেশ, বাঙালির জাতিসত্ত্বা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দেন। এই ১৫ জন ব্যক্তি হলেনÑ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান, আল্লামা মামুনুল হক, মুফতি ইলিয়াসুর রহমান জিহাদী, মুফতি ফয়জুল করিম, মুজাফফর বিন মুহসিন, মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন, মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমেদ হেলাল, মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ। লেখালেখির জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে লেখক, সাংবাদিকসহ প্রগতিশীল মানুষদেরকে আটক করা হচ্ছে। অথচ ওয়াজের মাধ্যমে জঙ্গীবাদের চর্চা, অসহিষ্ণুতা, জাতীয় সংগীতের অবমাননা, নারী অবমাননার মতো গুরুতর অপরাধ করেও অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে আইনের বাইরে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সমাজবিজ্ঞানী ড. সামিনা লুৎফা মনে করেনÑ আমাদের সমাজে এবং বাঙালি সংস্কৃতিতে ওয়াজের একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষেরা ধর্মীয় নেতাদের কথার মধ্যে আস্থা খুঁজে পান। তাই তারা যা বলেন সহজেই তাদের সেসব কথা বিশ্বাস করতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তাছাড়া ধর্মীয় নেতারা মূলত রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার জন্য ওয়াজে এসব কথা বলে থাকেন। ওয়াজে বক্তব্য করার সময় তারা এর বাণিজ্যিক দিকটি বিবেচনায় রাখেন। অনলাইন প্লাটফর্মÑ ইউটিউব এবং ফেসবুকে নারীদের অবমাননা করে বক্তব্য প্রদান করলে সেগুলো বেশি মানুষ গ্রহণ করে। ভিউয়ার্স বাড়ে। প্রত্যেক ধর্মীয় নেতারই ফেসবুকে, ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেল এবং প্রচারের বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে। তাই এখানে ধর্মীয় নেতাদের একটি ব্যবসায়িক স্বার্থও নিহিত আছে।


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:০৯
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×