কালীর ডেরায় লাগলে আগুন তখন কেবল ডাকো,
রহিম-করিম মরলে তখন কোথায় তুমি থাকো
আখতারুজ্জামান আজাদ
"হিন্দু বর্ণাশ্রম প্রথাই এ দেশের সাম্প্রদায়িকতার আদিমতম উৎস'"(আহমদ ছফা - বাঙালী মুসলমানের মন),যেখানে নিজ ধর্মের অনুসারীদেরকেই তারা সহ্য করতে পারেনা, নিচু জাত উঁচু জাত এই মাপকাঠিতে মাপে, সেখানে অন্য ধর্মের মানুষ তাদের কাছে কতটা নিরাপদ তা সহজেই অনুমেয়। তারউপর যদি মৌলবাদী এক সরকার তাদের পক্ষে পায় তাহলে তো চেরি অন দ্য কেক৷
একেবারে সুপরিকল্পিতভাবে(পড়ুন কুপরিকল্পিতভাবে) দাংগার সৃষ্টি করে ভারত থেকে মুসলমানদেরকে (ভবিষ্যতে অন্য ধর্মালম্বীদেরকেও) তাড়িয়ে দিয়ে শুধুমাত্র হিন্দুদেরকে নিয়ে এবং একেবারে শেষে শুধুমাত্র গো ভক্ত হিন্দুদের নিয়ে এক রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে ম্যানুফাকচারিং চলছে তা থেকে যে "ওয়েস্ট" বের হবে সব ডাম্পিং হবে বাংলাদেশ সহ আশেপাশের দেশগুলোতে।
বাংলাদেশ থেকে চিল্লাচিল্লি করে আমরা এই বিপর্যয় এড়াতে পারবোনা,যা করার ভারতবাসীদেরকেই করতে হবে, তবুও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে এর প্রতিবাদ করা,যেভাবেই সম্ভব। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে দেশ বিদেশের সকল ইস্যুতে মন্তব্য করা, পোস্ট দেওয়া অনেক হিন্দুধর্মালম্বী ফেবু বন্ধুদের এই বিষয়ে কোন পোস্ট নাই দেখে অবাক-ই হলাম। প্রতিবাদ তো তাদেরও জানানো উচিত নয় কি? মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটা দেশে আরাম আয়েশ আর প্রতাপের সহিত প্রায় কোনরকম সংঘাত ছাড়া বসবাস করছেন (যেখানে বর্ডারের ওপারেই সংখ্যালঘুদেরকে কুকুরের মতো পিটিয়ে মারা হচ্ছে) তার শুকরিয়া স্বরুপ না হলেও নৈতিকতার দিক দিয়ে হলেও দুয়েকটা স্টেটাস তো তাদেরও প্রসব করা উচিত।
আর অনেককেই দেখলাম এই ঘটনার বিরোধিতা করতে গিয়ে ইন্ডিয়াকে রেন্ডিয়া, হিন্দুদেরকে মালু/মালাউন সহ নানা বিশেষনে বিশেষিত করছেন যা আমাদের জন্য মোটেও ভালো কিছু বয়ে আনবেনা। বরং এর থেকে উসকানি পেয়ে যদি কেউ এদেশেও এই রকম অস্থিরতার সৃষ্টি করতে উৎসাহি হয় তাহলে ক্ষতি কিন্তু আমাদেরই,এদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে তা যাতে অটুট থাকে তা-ই কাম্য । অবশ্যই হিন্দু ধর্ম আদেশ করে না যে তুমি মসজিদ ভেংগে দাও, মুসলমানদেরকে পেটাও (নিষেধ করে কি-না জানিনা)। কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী৷চৌকিদার চোর হ্যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩