"স্লিপ অফ টাং" বা সাধারণ "হিউম্যান ইরর" নিয়ে রসিকতা করা বা কারো যোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক এবং অমানবিক। ট্রল বা রসিকতা সম্পর্কে কিছুটা নমনীয় হওয়া গেলেও এসব বিষয় নিয়ে রসিকতা হচ্ছে খুব নিচুস্তরের রসিকতা।
আওয়ামিলীগের এক নেতা একবার ঈদের নামাজকে ভুলে জানাজার নামাজ বলে ফেলেছিলেন, তার মানে এই না যে উনি ঈদের নামাজ আর জানাজার নামাজের পার্থক্য জানেন না, যেভাবে তারেক জিয়া ২৬ মার্চকে বিজয় দিবস বলেছিলো। কিংবা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোরোনা আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়ে উল্টাপাল্টা বলেছিলেন। এরকম স্লিপ অফ টাং বা হিউম্যান ইররের শত শত উদাহরণ দেওয়া যায়। তারা অসচেতনতার কারনে হয়তো ভুল করে ফেলেছেন তার মানে এই না যে তারা কোনটা সঠিক সে সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না।
অংক করতে গিয়ে ৫ যোগ ১ সমান তিন বলা এক ভদ্রমহিলাকে নিয়ে ট্রল হচ্ছে অনেক, ট্রল পর্যন্ত মানা যায়, কিন্তু অনেককেই দেখলাম মহিলার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কেউ কেউ তো আবার আফসোস করে বলছেন যে এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক ভুল করি, এক কথা বলতে গিয়ে আরেক কথা প্রায়শই বলে ফেলি। এটা একটা স্বাভাবিক মানবিক বৈশিষ্ট্য। ভুল হওয়াটাই স্বভাবিক। এটা নিয়ে ট্রল কম করাই ভালো (যদিও আমি নিজেই এই দোষে কিছুটা দুষ্ট), আর ট্রল পর্যন্তই যদি বিষয়টি থেকে যায় তাহলেই ভালো। শুধুমাত্র কারো মুখ ফসকে বেড়িয়ে আসা কোন কথার জন্য তার যোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা সমীচীন নয়৷
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১০:৫৬