কপিরাইটতো নেই।
কাজেই যে কেউ যেভাবে খুশি রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারেন( ? )।
রবীন্দ্রনাথকে প্রতিটি বাঙালী অত্যন্ত শ্রধ্যার সাথে মূল্যায়ন করেন(নাকি বাধ্য হয়ে করেন?)।আর এখানেই বোধহয় যত সমস্যা। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ সকল বাঙালীর মনে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন,তাই তাকে বাদ দেয়াটাতো অসম্ভব। সুতরাং তাকেও সন্তুষ্ট করতে হবে।কারণ তিনি বোধহয় সমস্ত অপসংস্কীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো দেখাচ্ছেন।আর তাই রবীন্দ্রনাথের এই আধুনিকিকরণ ?
"শিরোনামহীন" যে অ্যলনামটি করেছে সেটি কি তারা রবীন্দ্রনাথকে সম্মাণ দেখানোর জন্য করেছেন ?নাকি নিজেদের ইমেজটাকে নতুন মাত্রা দেয়ার জন্য?এই অ্যলবামটির গানগুলোতে রবীন্দ্রনাথ আছে, কিন্তু রাবিন্দ্রিকতার লেশ মাত্র নেই ।
কেউ কেউ বলতে পারেন যে, রবীন্দ্রনাথ নিজেও তার গানে পাশ্চাত্য সুরের অনুকরণ করেছিলেন।হ্যা, এ কথা সত্য। কিন্তু, তিনি সুর অনুকরণ করলেও তাঁর স্বাতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে দেননি।তিনি নিজের স্বাতন্ত্র ঠিক রেখে সুরটা গ্রহন করেছিলেন। আর এখন রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই ঠিক সে কাজটা হচ্ছে।"শিরোনামহীন" অ্যালবামে রবীন্দ্রসংগীতের কথা ও সুর অবিকৃত রেখেছে, কিন্তু রাবিন্দ্রিকতাটাকেই বিকৃত করেছে।এটাকেকি রবীন্দ্রসংগীত বলা চলে ?আসলে আজকাল যেভাবে রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা হচ্ছে, তাতে রবীন্দ্রসংগীতের শুধু দেহটাই থাকছে, প্রাণটা থাকছে না।রবীন্দ্রনাথ কি নিজের এই অবস্থা দেখতে চেয়েছিলেন ??
সবশেষে বলব,যারা প্রচুর রবীন্দ্রসংগীত শোনেন এবং সেইসাথে সব গানই শোনেন, তারা একটির সাথে অপরটির তফাৎ করতে জানেন।তাদের জন্য "শিরোনামহীন"এর এই আ্যলবাম কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কিন্তু "শিরোনামহীন" এর মাধ্যমেই যদি কেউ রবীন্দ্রসংগীতকে চিনতে চেষ্টা করেন , তাহলে তিনি নিশ্চিৎভাবে রবীন্দ্রসংগীতকে ভুলভাবে চিনবেন।
তাহলে, আমরা কি শুধু রবীন্দ্রনাথকেই চিনব ? রাবিন্দ্রিকতাকে চিনব না ?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




