অনেক জায়গাতেই দেখা যায় বাংলাদেশকে স্যাকুলার করার কারনে বলে বহির্বিশ্বে প্রচার হয়ে গেছিল " বাংলাদেশীরা আর মুসলিম নেই ,তারা মুশরিক হয়ে গেছে" । আবার এ কারণে বলে সৌদি আরব বাংলাদেশে হজ্বে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কিন্তু ঐসময় (১৯৫০,৬০,৭০,৮০ দশকে) তো প্রায় সব আরব (গাল্ফ আরব দেশ ছাড়া) , মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম দেশগুলোতে প্রচন্ডভাবে পশ্চিমা ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির প্রভাব ছিল।আরব ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে ইরান,ইরাক,মিশর, সিরিয়া, তিউনিসিয়া ইন্দোনেশিয়া ,মালেয়শিয়া, আফগানিস্তানের( কাবুল) অধিকাংশ মেয়েরা মিনি স্কার্ট, শর্ট ড্রেস, স্লিভলেস ড্রেস এমনকি বিকিনি ও পড়ত ,এইসব ড্রেস তখন ওইসব দেশে একেবারে নরমাল ছিল।মদও বৈধ ছিল ।আর মুভিতেও বিশেষ করে মিশর, সিরিয়া,ইরান, লেবাননের মুভিতে প্রায় প্রত্যেক মুভিতেই প্রচুর পরিমান লিপ কিস, বিকিনি, নগ্ন দৃশ্য,১৮+ অশ্লীল ফোরপ্লে দৃশ্য থাকতো , আমেরিকা, ইউরোপীয় মুভির মতোই স্টাইল ও সেন্সরশিপ ছিল,সবচেয়ে বেশি মিশরের । তৎকালীন অধিকাংশ আরব, মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ইসলামের প্রভাব খুব কম ছিল। তাহলে তারা কিভাবে মুসলিম থাকে,অথচ বাংলাদেশীরা তাদের থেকে বহুগুন রক্ষনশীল ছিল ও ইসলামের প্রভাব অনেক ছিল । মেয়েরা সর্বোচ্চ শাড়ি পড়ত, বেশিরভাগই রক্ষনশীল পোশাক পড়ত । কিন্তু তবুও বাংলাদেশীদের মুশরিক বানিয়ে দেওয়া হলো । আর যদি ইসলামের কারনেই সৌদি আরব বাংলাদেশকে হজ্বে নিষেধাজ্ঞা দিত তাহলে তখনকার তুরস্ক,ইরাক,মিশর,ইরান, সিরিয়া, ইন্দোনেশিয়াকে দিল না কেন,তাদের সংস্কৃতি তো সম্পূর্ণ পশ্চিমাই ছিল, (বাংলাদেশ, পাকিস্তান, গাল্ফ আরব দেশগুলো ছাড়া প্রায় সব আরব, মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংস্কৃতি প্রচন্ড খোলামেলা ও পশ্চিমা কালচারের ছিল ), অথচ বাংলাদেশে তাদের তুলনায় এত বেশি ধর্মপ্রাণ ও রক্ষনশীল হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে হজ্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো কেন,এটা কি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নয়? নাকি এটি বিশ্ব রাজনীতির খেলা?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



