ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত ৫ ই আগষ্টের পর থেকেই শুরু । এটা কি আমরা ভুলতে বসেছি ?
ষড়যন্ত্র নম্বর ১। একটা বিপ্লবের পর বিপ্লবী সরকার গঠণের প্রত্যাশা ছিল সমগ্র জাতির । কিন্তু সেটা করা হয়নাই ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ২। যে কারণে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করার সূত্রপাত ঘটানো হয়েছিল সেই বিডিআর ম্যাসাকার নিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘটানকে ফুল স্টপ বলে থামিয়ে দিয়ে ফ্যাসিবাদকে জ্যান্ত রাখার চেষ্টা চলছে এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং তাদের সহযোগীদের কারোরই এখনো পর্যন্ত বিচার করা হয়নাই ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ৩। যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে শক্ত শিকড়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তাদের সবাইকে গ্রেফতার না করে স্বাধীনভাবে তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের জনপ্রিয়তার রূপ( যা বিগত ১৬ বছর অভিনয় করে মানুষকে বোকা বাবানো হত) নানা রকম ন্যারেটিভ তৈরী করে প্রচার করার সুযোগ দেয়া হয়েছে । এটা এত ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে যে, বর্তমানে সরকার যে অতিমাত্রায় একটা দুর্বল সরকার, সেটাকে চুড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে । বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারই ভালো ছিল, এমন একটা ধারনা দেবার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সফলও হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ৪। ভারতের র’ এর কার্যক্রম দেশের সর্বত্র বহাল রয়েছে । যে বিষয়ে আমাদের সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন আছে বলে মনে হচ্ছে না ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ৫। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে ভারতের অনুগত বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল । সেখান থেকে এই বাহিনীকে এখনো উদ্ধার করা হয়নাই । দোষীদের অনেককেই এখনো বহাল রাখা হয়েছে । মনে হচ্ছে এখনো এই বাহিনী আমাদের জনগনের বাহিনী নয় , অন্য কারো পারপাস সার্ভ করছে ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ৬। যে ছাত্ররা বিপ্লবের অগ্রনী ভুমিকায় ছিল, তাদেরকে দুর্বল, চরিত্রে কলংক লেপন এবং চুড়ান্তভাবে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তাদের দিয়ে একটা রাজনৈতিক দল গঠণ করে বিপ্লবের চেতনাকে নস্যাৎ করা হয়েছে ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ৭। দেড় হাজার মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে রাজনৈতিক দলগুলো বিপ্লব বিজয় হিসেবে ধারণ করেনাই । তারা সেই ২০০ বছর আগের পচন ধরা রাজনীতি বহাল রেখে পরিবর্তিত যামানার চাহিদার বিপরীতে তাদের মেধাহীনতাকে চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করছেন । মানুষের জীবন কেবল তাদের ক্ষমতায় যাবার বলি ? এই হিসেবে বিবেচনা করছেন ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ৮। সরকারের মধ্যে ২ টি সরকার চলছে বলে মনে হচ্ছে । ১ টা ইউনুস সরকারের চরম দুর্বল একটা সরকার । অন্যটা অন্য কোন অপশক্তি নিয়ন্ত্রিত বুকে পাথর চেঁপে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোষর বা অনুরূপ চরিত্রের একটা সরকার । ** ধারনা ভুল প্রমাণিত হলে দেশটা বাঁচবে ।
ষড়যন্ত্র নম্বর ৯। সরকারের মধ্যে অধিকাংশ উপদেষ্টা এবং গোয়েন্দা সংস্থায় অনেকগুলো গাদ্দার রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে, যারা দেশ বিরোধী তথা বিপ্লব বিরোধী সকল কাজের সহযোগীতা এবং বিগত সরকারের আমলের মত দুর্ণীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বহাল রাখার কাজে সহযোগীতা করছেন । ভারতের অনুগত একটা নতযানু সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যই যেন তাদের সকল কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে ।
শেষ প্রশ্ন সমূহঃ হাসিনা কর্তৃক ভারতের কাছে দেশটাকে চিরস্থায়ী ইজারা দেবার ব্যবস্থা যথাযথ ছিল বলেই কি প্রমাণ করতে চাইছেন সবাই? কতিপয় দুর্ণীতিবাজ, চরিত্রহীন, দেশদ্রোহী মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য দেশের আপামর জনসাধারণকে কি আপনারা মানুষ মনে করছেন না ? আপনাদের এই ষড়যন্ত্রের পরিণাম কি হবে ? কেবলই নির্বাচন করে কোন সরকার প্রতিষ্ঠত হলেই সমাধান হবে ? নাকি দেশটাকে ভয়ানক কোন গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




