ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভরাডুবির কারণ কি ?
দেশের আপামর সাধারণ বুঝলেও বিএনপির মাথামোটা বলদগুলো এখনো বুঝতে পারল না । বুঝলেও তাদের ভারতীয় ন্যারেটিভ দিয়েই যেহেতু কথা বলতে বাধ্য করা হয়, তাই তারা বলছে, ছাত্রলীগের ভোট নিয়ে শিবির সমর্থিতরা বিজয়ী হয়েছে । কি হাস্যকর ! তাই না ?
অথচ তাদের বোধোদয় হওয়া উচিৎ ছিল বাংলাদেশে ৫ই আগষ্ট যা ঘটেছিল, তা যদি না ঘটত, তাহলে এই বিএনপি আজো কাগজের বিবৃতির রাজনীতি করত আর তাদের মাঠ কর্মীরা বরাবরের মতই ঠ্যাংগানী খেত । আর আওয়ামীদের সুবিধা খাওয়া মাথামোটা দালালগুলো বরাবরের মত জেলে ঢুকে আবার জামাই আদরে বের হয়ে আন্দোলনের নাটক করে কাল কাটাত । ঠিক কি না ?
অথচ এই অকৃতজ্ঞগুলো ভুলেই গেছে, আজ যে তারা মুক্ত হয়েছে ১৪০০ এর বেশী তাজা প্রাণের বিনিময়ে , হাজার হাজার তরুণদের পংগুত্বের বিনিময়ে, লাখো কোটি সাধারণ জনতার বুক চিতিয়ে গুলি খাওয়ার নেশায় রাস্তায় বেরিয়ে আসার কারণে ।
এই অকৃতজ্ঞগুলোর কারণে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সহযোগীরা জামাই আদরে বড় বড় চেয়ারগুলোতে বসে আছে । ডিজিএফআই এর মত সংস্থা এখনো ভারতীয় ন্যারেটিভ তৈরী করে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদের হাতেই বন্দী রাখার ষড়যন্ত্র করছে ।
এই অকৃতজ্ঞদের কারণেই জনগণ কর্তৃক ছুড়ে ফেলা সংবিধানকে বাতিল করে রাষ্ট্রে বিপ্লবী সরকার অথবা জাতীয় সরকার গঠণ হতে পারেনাই ।
এই অকৃতজ্ঞরাই আওয়ামী চোর গুন্ডাদের লালন পালন করছে ।
এই অকৃতজ্ঞরা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের ভাষায় কথা বলে জনগণের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে, জিয়াউর রহমানের সেই বি এনপি আর বেঁচে নেই । দলটাকে তারা পুরো আওয়ামী রূপে সাজিয়েছে ।
অতএব ছাত্র সমাজ ডাকসুতে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, তারা কি চায় ?
জনগণও তাদের উৎফুল্ল প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে কোন ধরনের নেতাদের হাতে রাষ্ট্রকে আমানত হিসেবে ন্যস্ত করতে চায় ।
জনগণকে যারা এই সম্মান দিতে পারবে না । জনগণের এই আকাংখাকে যারা আবারো জোর করে দাবিয়ে রেখে ক্ষমতায় আসতে চাইবে, তাদের পরিণতি কি হবে, তাও পরিস্কার কি না ?
অতএব ভারতীয় বয়ানের ফেরীওয়ালারা ঝাড়ু পেটা খাওয়ার আগে হয় দেশ ছেড়ে চলে যান, নয়তো চুপ থাকেন । লজ্জা করে না ? এখনো ভারতীয় বয়ান গেলাচ্ছেন ?
যত বয়ান গেলাবেন, ততই পস্তাবেন ।
সাধু ! সাবধান !!!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




