জাপানের জনবহুল শহর টোকিও। এই শহরের মহানগর এলাকায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। যা জাপানের মোট জনসংখ্যার এক দশমাংশ। অথচ টোকিও শহরের অনেক পুরুষ অবিবাহিত। অনেকেই সঙ্গীহীন জীবনযাপন করেন। শহরটিতে সঙ্গীহীন একা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
জাপানে বিয়ে ও শিশু জন্মহার দুইই কম। অন্যদিকে পুরো দেশের চিত্র বলছে, সময়ের সঙ্গে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা বাড়ছে। বলা হচ্ছে আগামী ২৫ বছরে অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে প্রতি পরিবারের মধ্যে একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে একা একা জীবন কাটাতে হবে। আগামী পঁচিশ বছরে এক কোটি আট লাখ প্রবীণ নাগরিকের দেখভাল করার উপায় খুঁজছে দেশটি।
তথ্য প্রযুক্তিকে এগিয়ে থাকা এই দেশটিতে তরুণ-তরুণীরা দেরিতে বিয়ে করছেন। অনেকে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর কারণ জীবনযাপন ব্যয় বেড়ে গেছে।
দেশটির টোকিও শহরের ৩৫ শতাংশ পুরুষ ৫০ বছর বয়সেও বিয়ে করেননি। শুধু তাই না, এই শহরের ৪৬ শতাংশ নারী ২০ বছর বয়স পর্যন্ত কখনো ডেটেও যাননি।
জাপানের অনেক গ্রামে তরুণেরা থাকেন না। তারা গ্রাম ছেড়েছেন। ফলে অনেক ঘর পরিত্যক্ত। কিছু ঘর হয়ে গেছে বণ্য প্রাণীর আশ্রয়স্থল।
২০২৩ সালের জানুয়ারির হিসাবে জাপানে মোট জনসংখ্যা সাড়ে ১২ কোটির মতো। ২০২২ সালে সালে সেখানে ৮ লাখের কম শিশুর জন্ম হয়েছে। পুরনো পরিসংখ্যান দিচ্ছে অন্য বার্তা। জাপানে ৭০-এর দশকেও বছরে ২০ লাখের বেশি শিশুর জন্ম হতো।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



