
এই আমলারা পূর্বের সরকার এর হাতে হারিকেন ধরায় দিছে আর এখন নতুন উপদেষ্টাদের নাকে দড়ি দিয়া ঘুরাচ্ছে । লক্ষ করলে দেখবেন যখনই কোনো সরকার এদের দুর্নীতি নিয়া কথা বলে কিংবা এদের সম্পদের বিবরণী দেখতে চায় তখনই এরা সেই সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় ।কখন কাকে কিভাবে টাইট দিতে হবে সেই বিষয়ে এরা খুব পটু ।বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ট্রেনিং এর শুরুতেই এদের কে সেই সব কৌশল শেখানো হয় ।পরবর্তী সময়ে চাকরির অভিজ্ঞতার সাথে পাল্লা দিয়ে এরা একেক জন বড় খেলোয়াড় হয়ে উঠে ।সিস্টেম আপডেট করতে না পারলেও সিস্টেম ক্রাশ করার বিষয়ে এরা অনেক অভিজ্ঞ ।এরা যদি নিজে থেকে না সুধরায় প্রধান উপদেষ্টার জন্য বার বার রিসেট বাটনে টিপ দিয়ে এদেরকে লাইনে আনা খুব কঠিন হবে।
নিশ্চই আপনাদের মনে আছে আওয়ামীলীগ এর শেষ সময়ে কিছু পত্রিকা সাবেক পুলিশের আইজি বেনজীর ও এন বি আর সদস্য ছাগল মতিউর এর হাজার কোটি টাকার সম্পদের বিবরণ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে । বিপুল সম্পদের বিবরণী দেখে সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠে ।মিডিয়া যখন বুঝলো এটা হট টপিক পাবলিক খাচ্ছে তখন তারা সিরিজ আকারে অনান্য আমলাদের দুর্নীতির খবর সামনে আনা শুরু করলো। এতে সরকার আরো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরলো বুঝতে পরলো এভাবে চুপ থাকলে একটা সময় পাবলিক রাজনৈতিক নেতাদের সম্পদ এর উৎস নিয়া প্রশ্ন তুলবে । তখন অনেকটা বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লিস্ট ধরে চিহ্নিত আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় । কপাল ! অভিযান শুরুর আগেই সরকার কে বিদায় নিতে হলো।
বিপুল জনসমর্থন থাকা সত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার ও এই আমলাদের সাথে পেরে উঠছে না ।কিছু দিন আগের ঘটনাই দেখুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় ঘোষণা দিলেন পিয়ন থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত সবার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে ।উনি নিজেই স্বীকার করলেন আজকাল পিয়ন ড্রাইভার দের ও শত কোটি টাকার সম্পদ থাকে। সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়া শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর এবং সবার জন্য বাধ্যতামূলক ।শুনেই কেমন জানি খটকা লাগলো মনে মনে ভাবলাম এতো সময় দিছে নিশ্চই এর মাঝে নতুন কোনো গেম সাজায় ফেলবে এরা ।কি অদ্ভুত ঠিক তাই হলো ঘোষণা দেওয়ার দশ দিনের মাথায় একটি পত্রিকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও এক যুগ্ম সচিব এর মাঝে আলাপচারিতার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ফাঁস করে সেখানে ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত দশ কোটি টাকা লেনদেনের কথা ফুটে উঠে ।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সচিব খবরটি ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন ।সত্য মিথ্যা জানি না তবে লজিক্যাল ভাবে চিন্তা করলে দশ কোটি টাকার লেনদেনের ডিল কেউ এভাবে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এর মাধ্যমে করে না। দরকার হইলে চেম্বারে যায়া সামনা সামনি কথা বলে ডিল ফাইনাল করবে ।অন্য দিকে প্রশাসনে সচিব পর্যায়ে যারা দায়িত্বে আছে তারা খুব ভালো ভাবে জানে গোয়েন্দা সংস্থা তাদের গতিবিধি ও আলাপচারিতা উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখে এমন কাচা কাজ তারা কখনোই করবে না ।এটা স্পষ্ট সম্পদ বিবরণী চাওয়ার কারণে অনেক আমলা অন্তর্বর্তী সরকারের উপর নাখোশ । হয়তো সেই জন্য পরিকল্পনা করে জনপ্রশাসন সচিবের চেয়ার টান দিতে গেছিলো খুব একটা সুবিধা করতে পারে নাই ।
প্রশাসনে যারা আছে তারা যদি ঠিক মতো দায়িত্ব পালন না করে তেহলে সরকার দশ দিনই কালার খায়া যাবে। সমস্ত দোষ উপদেষ্টাদের কাধে পড়বে কেউ আমলাদের ব্যর্থতা খতিয়ে দেখবে না ।এরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বার বার সরকার কে ব্ল্যাকমেইল করে ।গত বার অবৈধ ডামি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের উছিলায় সামান্য ইউ এন ও ,টি এন ও ,ডিসিরা নতুন জিপ গাড়ির বায়ানা ধরে ।বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকায় সরকার অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না ।ঠিকই পাতানো নির্বাচনের পর সরকারের ঘার ধরে নতুন জিপ গাড়ি ক্রয়ের অনুমোদন নিছে ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমলারা অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার শত ভাগ সুযোগ নিচ্ছে ।বন্যার কারণে দেশে শাক ,সবজি ,মাছ ,মাংস ও ডিমের উৎপাদন যে কমে গেছে সেই ব্যাপারে তাদের কাছে নিশ্চই তথ্য ছিলো তারা সেই তথ্য দিয়ে সরকারকে প্রস্তুতি নিতে বলে নাই কেন ? আবার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এটা হইতাছে আরেকটা নাটক পঞ্চাশটা ক্যামেরা সাথে নিয়া সারা দিন কাওরান বাজারে দৌরাইলে কি দ্রব্য মূল্যে প্রভাব পড়বে। এই সব অযোগ্য আমলাদের দিয়ে প্রশাসন চালালে দেশের উন্নতি হবে না আবার এদের কে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও করা যাবে না এগুলা গলার কাঁটা হওয়া গেছে ।দুষ্ট গরুর চে শূন্য গোয়াল ভালো এদেরকে বসায় বসায় বেতন দেন কোনো কাজ করার দরকার নাই তাও দেশ ভালো চলবে এখন চলতেছে না পুলিশ ছাড়া তো ভালই চলতেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




