somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ব্যাপক গবেষণাঃ- "কোন ধরনের টেকনিক্যাল ব্যবস্থা ছাড়াই অনলাইন থেকে লেখা চুরি বন্ধ করার কিছু অভিনব এবং দূর্দান্ত কৌশল!!"

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় গত কয়েকদিন যাবত অনলাইনে ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎ করে অনলাইনে ঢুকে তো দেখি এখানে একদম ভয়াবহ অবস্থা! প্রথমে ভাবতাম দেশের চোর-ছ্যাঁচ্চড় গুলোর ছ্যাঁচড়ামি মনে হয় কেবল বাস্তব জীবন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কিন্তু তা তো না! এবারই প্রথম জানতে পারলাম যে, শুধু আইনের হাতই যে অনেক লম্বা হয় তা না! বরং চোরেদের হাতও বহুত লম্বা! অন্তত ভার্চূয়াল মাধ্যম পর্যন্ত তো বটেই..... B-)

ব্যাপারটা নিয়ে অনলাইনে গোটা মৌলিক লেখকদের মধ্যে যে ঠিক কতখানি হাহাকার পড়ে গেছে. সেটা ব্লগের বেশ কয়েকটা পোস্ট এবং মুখ বইয়ের খামচা খানিক স্ট্যাটাস দেখেই অনুমান করতে পারলাম। আর এটাও জানতে পারলাম যে, উক্ত লেখাচোরদেরকে ধরতে এখন গোটা লেখক সমাজের মধ্যে একটা সাঁজ সাঁজ রব পড়ে গেছে। এবং সবাই কোমর বেঁধে লেগে গেছে, অনলাইন থেকে এইসব চোরদেরকে হঁটানোর কাজে। সে পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আফটার অল লেখা চুরি বলে কথা! :(


অনেককেই আবার ব্যাপারটা নিয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন যুক্তি পরামর্শও দিতে দেখলাম। এমনকি সম্ভব হইলে মনে হয় তারা জুকার ব্যাটাকেও ধরে এনে ফেসবুক আপগ্রেট করার পরামর্শও দিতো বলে মনে হলো। সে তারা দিতেই পারে! কারণ আপনি নিজে মহা পরিশ্রম করে একটা খুব সুন্দর মৌলিক লেখা লিখবেন, আর চোর ব্যাটা সেটা চুরি করে নিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে তার ইয়ে দোলাইবে (?) X(( তা তো আর হতে দেওয়া যায় না। সুতরাং ধর ব্যাটা জুকারকে! অনতি বিলম্বে ফেসবুক আপগ্রেড করে লেখা চুরি না ঠ্যাকাইতে পারলে ব্যাটাকেই ধরে ছয় মাসের ফাঁসিতে ঝুঁলানো হইবেক! ;)

তবে এখানে আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমার লেখা চুরি হয় না বলেই হয়তো আপনাদের সাথে আমি এমন ভাবে মস্করা করতে পারছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার লেখাও চুরি হয়! B:-) আর ঠিক এই জায়গাটাতে এসেই আমার বিষম খাওয়ার মত অবস্থা! মানে, আমার মত এমন ফালতু লেখকের ঐসব আজাইরা লেখাও মানুষ চুরি করে...... (মহা বিস্ময়ে গাল্ফাক্করা ইমু হপে। এবং সাথে গালের চারপাশ দিয়ে কিছু মাছিকে ভনভন করে উড়তে দেখা যাবে)!! ;)

আর ঠিক সেই কারণেই আমি সব কাজ ফেলে দিয়ে ছুটে আসলাম আপনাদেরই সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে। তবে আমি হাহাকার করতে একদমই পছন্দ করি না। আর করি না বলেই, লেখা চুরি সংক্রান্ত বিষয়ে আজ আপনাদের সামনে এমন কিছু পদ্ধতি নিয়ে হাজির হলাম, যে পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে হয়তো অনলাইন থেকে আপনার লেখা চুরির হার আশানুরূপ ভাবে কমে যেতে পারে! তো পাঠক, চলুন আমরা এখন সরাসরি চলে যাই সেই টোটকার ভূবনে। যে ভূবনের মধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে কোন ধরনের টেকনিক্যালি ব্যবস্থা ছাড়াই একজন লেখক কিভাবে তার লেখা চুরিকে ঠ্যাকাইবেন তার কিছু অভিনব কৌশলঃ-


☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার একঃ- যাদের গল্প-কবিতা কিংবা ঐ জাতীয় কোন জিনিস ফেসবুকে পোস্ট করার সাথে সাথেই চোর ব্যাটা সেটাকে তার নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে জাহির করছে, নিঃসন্দেহে তারা এই থিউরিটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কাজ হবে কর্নফার্ম! আর সে জন্য অবশ্য আপনাকে যে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে এমন না! বরং খুব সহজেই আপনি এই পদ্ধতী ফলো করে আপনার লেখা চুরির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আর সেজন্য কেবল লেখাটা পোস্ট করার পূর্বে ফেসবুকের প্রাইভেসি অপশনে গিয়ে মাউসের আলতো ক্লিকে পোস্ট প্রকাশিত অংশ থেকে Public লেখাটা বাদ দিয়ে সেখানে Only Me লেখাটা সিলেক্ট করে দিবেন! ব্যস, আর কিছু করা লাগবে না! তারপর আপনার ইচ্ছামত ফেসবুকে কবিতা প্রসব করতে থাকুন। চোর কেন (?) চোরের বাপও আপনার লেখা চুরি করতে পারবে না গ্যারান্টেড! :| তবে সেজন্য কোন চেলিব্রেটি কবি যদি তার উক্ত লেখাটিতে কোন লাইক/কমেন্ট না পেয়ে প্রচন্ড আত্ম-অভিমানে দঁড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করে বসেন, তাহলে সেজন্য কিন্তু কোনভাবেই কর্তৃপক্ষকে দ্বায়ী করা চলবে না! ;)

☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার দুইঃ- ফেসবুকের কবিতা চোরদের বিরুদ্ধে একটা দূর্বার আন্দুলোন গড়ে তুলে এটা নিয়ে সরকারকে একটা জোরালো আল্টিমেটাম দেওয়া যেতে পারে। আর উক্ত আল্টিমেটামে একটাও বলা যেতে পারে যে, আগামী ঊনচব্বিশ ঘন্টার মধ্যে যদি দেশের প্রত্যেকটা লেখা চোরের কাছ থেকে তাদের চুরির যন্ত্রাংশ বাজেয়াপ্ত করে তাদেরকে ধরে ধরে লকাপে না ঢোকানো হয়, তাহলে আগামী যে কোন ঈদের পরে এর থেকে আরো বেশি কঠোর আন্দুলোনের ডাক দিয়ে পুরো দেশ অচল করে দেওয়া হইবেক। আর দেশ অচল করার ভয়ে নিশ্চই কবিদের এই আন্দুলোনকে সরকার খুবই গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করবে! ;)

☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার তিনঃ- সারাদেশ ব্যাপি লেখা চোরদের বিরুদ্ধে "চোরেদের চামড়া, তুলে নেবো আমরা" এই স্লোগানকে সামনে রেখে একটা রোড শো ও করা যেতে পারে। তারপর রোড শো শেষে দেশের সর্বস্তরের কবিরা মিলিত হবে ঢাকার কোন একটা নির্দিষ্ট স্থানে। আর সেখান থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ভার্চুয়াল চোরেদের বিরুদ্ধে হয়তো নিরব অথবা সরব, যেকোন ধরনের একটা প্রতিবাদ করা যেতে পারে। অন্তত ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না চোরদেরকে ধরে ধরে সায়েস্থা না করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে জায়গাটা কোন ভাবেই শাহবাগ অথবা শাপলা চত্ত্বর হতে পারবে না। কারণ পূর্বেই ঐ দু'টি জায়গা অন্যদের দখলে চলে গেছে। সুতরাং এই আন্দুলোনকে সাফল্যমন্ডিত করিয়া তুলিতে একদম নতুন একটা জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। যাতে অন্যরা কেউ আবার এটা বলে অভিযোগ করতে না পারে যে, আপনারা চোর ধরতে গিয়ে আবার অন্যদের জায়গা চুরি করে বসে আছেন! :P

☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার চারঃ- দেশের সর্বস্তরের কবিদের সমন্নয়ে পঁয়ষট্টি সদস্য বিশিষ্ট একটা তদন্তটিম গঠন করে কবিতা চোরদের বিরুদ্ধে একটা সুনির্দিষ্ট তদন্ত করা যেতে পারে। অথবা দেশের সব শ্রেণী-পেশার চোরেদেরকে একত্রিত করে তাদের সাথে কথা বলে এটা জানার চেষ্টা করা যেতে পারে যে, কেন তারা হুদাই অন্যের লেখা চুরি করছে? এতে কি তাদের কোন স্বার্থ কাজ করছে? নাকি এই কবিতা চুরির পিছনে কেবল ভার্চুয়াল জান্টুসকে খুশি করানোই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য? অথবা লেখা চুরির ব্যাপারে তাদের কোন দাবি-দাওয়া কিংবা দফা-টফা আছে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা করা যেতে পারে। তারপর সেই অনুপাতে যদি পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তাহলে নিঃসন্দেহে লেখা চুরি যে অনেকাংশে কমে যাবে; এটা অন্তত অনুমান করা যায়!

☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার পাঁচঃ- এক্ষেত্রে দেশের সর্বস্তরের কবিরা চোরদের প্রতি কিছুটা সহানুভূতিশীলতাও দেখাতে পারে। 'চোর চুরি করবে না তো কি বসে বসে গাঞ্জা টানবে?' এমন কিছু ভেবে অন্তত কবিরা আপাতত এই বিষয়টা নিয়ে সাময়িক ক্ষান্ত দিতে পারে। তাছাড়া 'যার জিনিস চুরি হয়, নিঃসন্দেহে সে একজন বড় লোক' এই কথাটা মনে হয় আমরা কম/বেশি সবাই জানি? সুতরাং এক্ষেত্রে কবিরাও তার লেখা যখন চুরি হচ্ছে তখন সেও একটা বড়-সড় ধরনের ইয়ে হয়ে গেছে, মনে মনে এমন কিছুও ভেবে নিতে পারে! তাতে অন্তত আর যাই হোক, এত সব অশান্তির মধ্যেও হয়তো মনে কিছুটা শান্তি ফিরে আসতে পারে। তাছাড়া রিক্ত হস্তে কাউকে কিছু দান করাটা যখন সম্প্রদান কারকে শূণ্য বিভক্তি, তখন আপনিও এমনটা ভেবে নিতে পারেন যে, আপনার চুরি যাওয়া নির্দিষ্ট সেই লেখাটা আপনি অন্য একজনকে স্বেচ্ছায় দান করে দিয়েছেন। যার জন্য আপনি ইহকালে কোন ইজাজত না পাইলেও পরকালে গিয়ে যে ঠিকই পাইবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিৎ থাকতে পারেন।

☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার ছয়ঃ- যদিও এই পদ্ধতী কিছুটা সেকেলে গোছের হয়ে যায়, তথাপি ঐ যে কথায় আছে না- 'যার মাল যায়, তার ঈমান যায়!' সুতরাং জীবনের শেষ চিকিৎসা হিসাবে এটাও একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। কাজ হয়তো হলেও হতে পারে। আর সেজন্য আপনাকে যেটা করতে হবে তা হল, আপনার আশে পাশে কোন পীর ফকির, দরবেশ মুর্শিদ কিংবা ঐজাতীয় কেউ আছে কিনা প্রথমেই সেটা খুঁজে বের করতে হবে। নিজ গ্রামে না থাকলে বাইরের গ্রামে, দেশে না থাকলে বিদেশে, পৃথিবীতে না থাকলে মঙ্গল-নেপচুন-ইউরেনাস-প্লুটো; অর্থাৎ যেখান থেকে পারেন তাকে খুঁজে বের করা চাই। ইয়ে মানে, লেখা চোর ধরা বলে কথা! B-))

তারপর সেই মালায়ে আলা, পীরে কামেল, দরবেশ বাবার কাছ থেকে লেখাচুরির বিশদ বিবরণ দিয়ে একটা তাবিজ নিয়ে আসবেন। আর সেই তাবিজটা ঝুঁলিয়ে রাখবেন আপনার ব্লগ, ফেসবুক অথবা অনলাইনের যে মাধ্যমে আপনার লেখা চুরি হচ্ছে সেখানকার প্রোফাইলে। আমি নিশ্চিৎ মালায়ে আলার দোয়ার বরকতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে নিঃসন্দেহে আপনার লেখা চুরি আশানূরুপ হারে কমে যাবে। তবে তার থেকেও ভাল হয় যদি লেখা চোরকে ধরে সেই তাবিজ ভিজানো পানিতে চুবানো যায়, অথবা সেই চুবানো পানি তারে খাওয়াই দেওয়া যায়। /:) তাহলে একদম সারাজীবনের জন্য আপনার বংশধরেরা পর্যন্তও যে লেখা চুরির হাত থেকে নিশ্চিন্ত হইতে পারবে, আর চোরেদের চৌদ্দগুষ্টিও যে লেখাচুরি থেকে অব্যাহতি নিবে; এটা অন্তত আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার সাতঃ- দেশের সব চোরদেরকে ধরে ধরে মক্কা-মদিনা, গয়া-কাঁশি, গীর্জা-প্যাগোডা কিংবা বৃন্দাবন অথবা ঐজাতীয় কোন ধর্মীয় উপসানলয়ে পাঠানো যেতে পারে। যদিও আমরা জানি, 'চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী!' কিন্তু এক্ষেত্রে হয়তো শুনলেও শুনতে পারে। কেননা কখন-কোথায় যে কার হেদায়েত হবে, সেটা যে কেবল ঐ উপরওয়ালাই ভাল জানেন। সুতরাং এক্ষেত্রে চোরদেরকে ধরে ধরে আপাতত সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে পাঠানো ছাড়া কোন উপায়ও তো আর দেখছি না! তবে তার থেকে ভাল হয়, যদি এদের সব কয়টাকে এক সাথে ধরে একদম সরাসরি উপরে পাঠানো যায়। তাহলে ব্যাপারটা হয়তো আবার একটা ইতিহাসেরও অংশ হয়ে যেতে পারে! B-)

☆ ☆ পদ্ধতি নাম্বার আটঃ- আমার অনূর্বর মস্তিস্কের এটা হল একদম সর্বশেষ পদ্ধতি। আর এই পদ্ধতি যদি কাজ না করে, তাহলে বুঝবেন এ রাজ্য আমাদের জন্য না; বরং এটা কেবল চোরেদেরই রাজ্য। এখানে আমরা কেবল তাদের প্রজা। আর প্রজার কাজ হলো কেবল পোস্ট প্রসব করা, এবং প্রসব বেদনা সহ্য করা। যার ফল ভোগ করার অধিকার রাখে কেবল ঐ চোরের দল। তবে পদ্ধতীটা আগে শুনেই দেখেন। হয়তো কাজ করলেও করতে পারে..... B-)

উঁহু, পদ্ধতিটা শোনার পূর্বেই ঘাবড়ে যাবেন না! বরং এটা খুব সহজ একটা পদ্ধতি! আর সেটা হল, অন্তত চোরেদের মুখে ঝামা ঘষে দিতে আপনার লেখা-লেখিটা ছেড়ে দেওয়া। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য। আপনি যদি চান, আপনার লেখা কেউ চুরি করবে না! তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার জন্য এই পদ্ধতিটাই হবে সব থেকে বেশি চয়েজেবল পদ্ধতী। অন্তত চোরদেরকে সায়েস্তা করতে এর থেকে ভাল কোন পদ্ধতি আর আছে কিনা, সেটা আমার জানা নেই! সুতরাং ভেবে দেখতে পারেন। পদ্ধতিটাকে গ্রহণ করবেন (?) নাকি করবেন না! করলে আপনারই ভাল। কারণ তখন অন্তত আপনার লেখা অন্যকেউ চুরি করছে এমন অভিযোগ করতে পারবেন না! পরামর্শটা আমার, গ্রহণ করা না করা সেটা আপনার এখতিয়ার। সুতরাং দেখেন কি করবেন..... :(

এছাড়া লেখা চুরি ঠ্যাকাইতে অনলাইন মাধ্যম গুলোতে 'ভার্চুয়াল টিকটিকি, সি.সি. টিভি, স্পাই অথবা আঠা'র (লেখা কপি করতে গেলেই কার্সর আটকে যাবে এমন কিছু) ব্যবহারও করা যেতে পারে। ধরনা করা যাচ্ছে, লেখা চুরি ঠ্যাকাইতে এমন পদ্ধতি গুলোও মাঝে-মাঝে হয়তো কাজ করলেও করতে পারে!! :-<

☞ ☞ পুনশ্চঃ- পরিশেষে, বাইয়া এউক্কা গান (কথা কই) হুনাই? আপনি যত কঠিন পদ্ধতিতেই চেষ্টা করেন না কেন (?) ভার্চুয়াল থেকে লেখা চুরি ঠ্যাকাইতে পারবেন না গ্যারান্টেড! প্রয়োজন হইলে আপনি আমার এই কথাটার স্কিনশর্ট নিয়ে রাখতে পারেন। B-) কারণ চোরেরা আপনার আমার মত না, বরং আমাদের থেকেও হেব্বি ওয়েট ট্যালেন্টেড! অনেকে তো আবার মাল্টি-ট্যালেন্টেডও আছে! সেই মনে আছে, কি একটা কারণে সরকার ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিলো না? কিন্তু আসলেই কি সরকার পারছিল দেশী অথবা বিদেশী. সব ডিভাইসকে বন্ধ করতে? যারা জানতো তারা তো ভিপিএন বা ঐ জাতীয় প্রক্সি সার্ভার দিয়ে যে কোন ভাবে ঠিকই ফেসবুক চালাইতে পারছিল। কি, পারছিল না? তো এখানকার অবস্থাটাও ঠিক তেমনই। আপনি যত পদ্ধতিই গ্রহণ করেন না কেন, চোর সব পদ্ধতিকে ছিন্ন করে আপনার লেখা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে, এটা হলো চোর সমাজের সুপ্রিম 'ল'! যে 'ল' না মানলে চোর সমাজে তাদের কোন ইজ্জত থাকে না (একজন বিশিষ্ট চোরের একান্ত স্বাক্ষাতকার গ্রহণের পর ব্যাপারটা সম্পর্কে নিশ্চিৎ হইলাম আর্কি)! X((

তবে কেবল একটা ব্যাপারে এই লেখা চুরি হয়তো বন্ধ হতে পারে। আর সেটা হল চোরেরা যদি স্ব-ইচ্ছায় আপনার উপর সদয় হয়ে আপনার লেখা আর চুরি না করে, তাহলেই কেবল সেটা সম্ভব। নচেৎ এ চুরি ঐ কিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে, বন্ধ হবে না। কিংবা চাইলেও কেউ বন্ধ করতে পারবে না। তবে এখানে কেউ যদি চোরদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন করে, তাহলে সে খুব মস্তবড় একটা বোকামী করবে! কারণ সত্যিই যদি কারো নৈতিক মূল্যবোধ থাকতো, তাহলে কেউ অন্যের জিনিস চুরি করে নিজের নামে চালাইতে পারতো না! তাই আসুন, চোরেরা চোরেদের কাজ করুক; আর আমরা আমাদের কাজ করি! বিশ্বাস করুন, তাতে একজন লেখক লেখার মাধ্যমে নিজের মনে যে বহ্যিক আনন্দটা পান, সেটা থেকে অন্তত বঞ্চিত হবেন না!!


সর্বশেষ চোরদেরকে নিয়ে আমার এই লেখাটাও যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে তাতে কিন্তু আমি একটুও আশ্চর্য হবো না! বরং ভাববো, এটার মধ্যে আসলে চোরেদের জন্যেও একটা হক রাখা ছিল! হয়তো আমিই সেটা জানতাম না! একচুয়ালি, আমি দাওয়াত দিতে ভুল করলেও চোরেরা তো আর দাওয়াত নিতে ভুল করবে না; তাই না..... ;)


☞ ☞ সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ- ইহা হয় নিতান্ত একটি ফান পোস্ট! যেটা কেবলমাত্র চোরেদের প্রতি প্রচন্ড বিরক্ত হয়েই লেখা! সুতরাং চোর ছাড়া অন্য কেউ যদি পোস্টটাকে সিরিয়াস হিসাবে নেয়, তাহলে সেটা হবে তার জন্য একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার! তবে সেজন্য লেখককে কোন ভাবেই দ্বায়ী করা চলবে না! আর যদিও বা দ্বায়ী করা হয়, তাহলে যে বা যারা দ্বায়ী করবে; নিঃসন্দেহে ধরে নেওয়া হবে যে সেও ব্যাটা একটা সলিড চোর..... :P

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো! তাছাড়া এতক্ষণ যাবত সাথে থেকে এবং কষ্ট করে এতবড় একটা পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন! হ্যাপি ব্লগিং....!! !:#P
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
৬৬টি মন্তব্য ৬৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×