somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যারিয়ার মেলায় চাকরি প্রত্যাশীদের মিলনমেলা

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চাকরি নামের সোনার হরিণটি ধরতে কার না মন চায়। কেউ পায় উপযুক্ত চাকরি আবার কেউ এর পেছনে সারা জীবন ছুটতে থাকে। ছুটতে ছুটতে এক সময় কান্ত হয়ে যায়ঃ তারপরও উপযুক্ত চাকরিটি খুঁজে পায় না। আবার অনেকের কাছে শোনা যায়, কোথায় সিভি জমা দেবো সেটাই জানি না। এসব মানুষের জন্য ক্যারিয়ার মেলা এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর হয়ে গেল জাতীয় পেশা মেলা। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস -এর আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো এই মেলার আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান এই পেশা মেলায় অংশগ্রহণ করে। এসব প্রতিষ্ঠান চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে তাদের বায়োডাটা নিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে।
মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, যুব এবং ক্রীড়াবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহবুব জামিল।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামীতে তাদের প্রতিষ্ঠানের যে লোকবলের প্রয়োজন হবে তার জন্য তারা এই মেলা থেকে আগেই সিভি বা বায়োডাটা সংগ্রহ করছে। এর ফলে অনেক যোগ্য কর্মী তারা পাবে বলে আশা করছেন। আর চাকরি প্রার্থীরা এই মেলাকে তাদের স্বপ্নপূরণের একটি মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করছেন। তাদের মতে একসঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানে তারা বায়োডাটা জমা দিতে পারছেন এটা অনেক বড় ব্যাপার। যোগ্যতা থাকলে ডাক আসতেই পারে। আর ইন্টারভিউতে তাদের মনের মতো পারফর্ম করতে পারলে স্বপ্নের চাকরিটা পাওয়া যেতে পারে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল, টেলিকম, আইসিটি, টিভি মিডিয়া, ইমিগ্রেশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কনসাল্টিং, এনজিও, জবসাইট, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, কল সেন্টার, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
মেলায় অংশগ্রহণকারী গ্রো অ্যান্ড এক্সেলের পরিচালক জুলফিকার হোসাইন বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা কি করবে বা কোনভাবে চাকরি পাওয়া যায় বা চাকরি পাওয়ার জন্য কি কি দক্ষতার প্রয়োজন হয় তা অনেকেই জানে না। ফলে উপযুক্ত শিক্ষিত হওয়ার পরও কাক্ক্ষিত চাকরিটি হাতছাড়া হয়ে যায়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন কোর্স হাতে নিয়েছি যেখানে আছে ইন্টারভিউ বোর্ডে কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে হবে, কোন কোন চাকরিতে কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং সর্বোপরি চাকরি পেতেও আমরা কিছু সাহায্য করে থাকি। আমাদের দেশে এ ধরনের কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান তেমন নেই বললেই চলে। আমি মনে করি এ ধরনের প্রতিষ্ঠান একজন চাকরি প্রার্থীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে তারা তাদের মনোবল ফিরে পায় এবং কাক্ক্ষিত চাকরিটি পেয়েও যায়।
জাতীয় পেশামেলা ২০০৮ এ পর্যন্ত সর্ববৃহৎ ক্যারিয়ার মেলা যা দেশের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগ প্রদানে সাহায্য করবে। এই মেলাটি চাকরি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান, সার্বিক পেশার উন্নয়ন, প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। শুধু তাই নয়, এই মেলা দেশের উদীয়মান সব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্মোচন করবে এক অবধারিত সম্ভাবনার দ্বার এমনটাই আশা করছেন আয়োজন কমিটি।
জাতীয় পেশা মেলা ২০০৮-এর এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, গতবারের তুলনায় এ বছর অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি। এ বছর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ ঘটানো হয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর দূরত্ব অনেক। ফলে ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারে না কোন প্রতিষ্ঠানে কি ধরনের চাকরির সুযোগ আছে, কখন নিয়োগ দেয় এবং তাদের চাকরিগুলো পাওয়ার ক্ষেেএ কি ধরনের যোগ্যতা লাগে। এই মেলার মূল উদ্দেশ্য ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হবে। জীবনের লক্ষে পৌঁছাতে হলে ক্যারিয়ার নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। শুধু ডিগ্রি থাকলেই হবে না। আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত ছেলে আছে কিন্তু তারা তাদের ক্যারিয়ারকে ফোকাস করতে পারছে না। আমরা মনে করি, এই মেলার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা এবং চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের একটা মিলন হবে। আর এই মিলনমেলাই আগামীতে তাদের সুন্দর ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে আমরা আরো বেশি বড় পরিসরে এই মেলার আয়োজন করার চেষ্টা করবো এবং আশা করবো আরো অনেক বড় বড় কোম্পানি এ ধরনের মেলা থেকে তাদের কর্মী নিয়োগে এগিয়ে আসবে।

এস আই শান্ত
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×