এ জন্মটা তোমাকেই উৎসর্গ করেছি, করেছি জন্মাধিক
ভালোলাগা ভালোবাসায় । হৃদয়ের কাছে শাদা নীলমনি ফুল,
অনুভবে ফুটেছো সমস্ত আবেগ মিশিয়ে । আগামী কোনো জন্মে
মনুষ্যজন্ম পেলে তোমার সুন্দরকে প্রদক্ষিন করার বরই
চেয়ে নেবো আমি ; মঞ্জুরিত বসন্তদিন বরাদ্দ নাও হয় যদি ।
কী চাইবে তুমি ? মৃণালের শীর্ষে পদ্ম কিংবা শতবর্ষী গোলাপ ?
হেঁটে হেঁটে আমি পৃথিবীর শেষঅব্দিও যাব ; উজ্জ্বল আর
ঝলমলে মুঠো মুঠো মুক্তোয় ভরিয়ে দেবো চলার পথ তোমার ।
এ জন্মের ভালোবাসাময় হাজার রাত কিংবা শীতরাত্রির জানালায়
শার্সিটা হব । মুহূর্তেই সবচে অন্ধকার রূপান্তরিত হলে গুচ্ছ গুচ্ছ
পুষ্পিত স্বর্গে, শতাব্দীর পর শতাব্দী হৃদয়জুড়ে নড়বোনা একতিলও !
ঊনিশ বসন্তের উঠোনে তুমিতো লজ্জাবতী লতা, অপরাজিতা নীল,
টুকটুকে লাল ফুল । দিগন্তের রাঙা মেঘ, সূর্যের জ্যোতির্ময়তা ।
একবার তোমাকে জড়িয়ে ধরে, একবার তোমার ঠোঁটে রক্তিম চুম্বন
এঁকে অজস্রজন্মও তোমার অপেক্ষায় কাটিয়ে দিতে পারি ।
তোমার উদ্দেশ্য গোলাপের পাপড়ি হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারি চলার পথে ।
এক জন্মের পুণ্যে এ জন্মে তোমাকে না পেলে, তোমার সুন্দর প্রদক্ষিণের
সুযোগ না পেলেও ; দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর, শতাব্দী পুরোটা
এক মর্মান্তিক দীর্ঘশ্বাস বুকে জড়িয়ে, সম্পূর্ণ জন্মটা তোমার ফিরে আসা
পথের উদ্দেশ্যে চেয়ে থেকে থেকে টলমল অশ্রুবিন্দুর মত একদিন ঝরে যাব
হয়তো, আগামীর কোনো এক জন্মে তোমার সুন্দর প্রদক্ষিণ করার অভিপ্রায়ে !
২৩ মার্চ ২০১৩
মধ্যরাত্রি, উত্তরা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৪