১)
সিনথিয়া!
বিকেল আমাকে নিকটবর্তী করে
কৃষ্ণচূড়া আর সিনথিয়ার!
টিউশনির টেবিলে যতবার আসি
অদ্ভুত শিহরণ খেলে যায়!
...সিনথিয়া, অংক নিয়ে বসে
মধুরতর দূরত্বে থেকে অপেক্ষা
বুকে হাত দিয়ে বুঝি, হৃদয়টা নেই!
ত্রিকোণমিতি বোঝে না, সিনথিয়া
ঝুঁকে আসে হৃদয়ের কূলে!
ওড়নার ফাঁক গলে চোখ চলে যায়
রূপালি রোমাঞ্চের মত উন্মুক্ত
অনাবাদী সফেদ বুকে, সিনথিয়ার
দুটো শান্ত তিতির ঘুমোয় সেখানে!
সেই অসামান্য কিশোরী তখন
পরিপূর্ণ নারী হয়ে ফোঁটে চোখব্যাপী
নিজেকে তখন জ্যোতিষীর তোতাপাখি ভাবি
বলি ব্রত হও সুন্দরের আরাধনায়
সময় এলে কামড়ে দিও নরম ওষ্ঠ
চোখের কাজলে লিখো ইতিহাস
অথচ বিকেলে এলেই নিকটবর্তী হয়
কৃষ্ণচূড়া আর সিনথিয়া শিহরণ
একটা হলুদরঙা ট্রাক ভেতরে ছোটে
নিয়ন্ত্রণহীন, এলোমেলো, বিকেলে এলে
২)
স্ত্রী
আমার প্রথম স্ত্রী,
পিঁপড়ের মত নিরিবিলি দুপুরে
যিনি যেতে চেয়েছিলেন
মনোরম বেহেশত এবং
আপেল বাগানের দিকে
পাপ এবং ক্লেদের
সব ভাষা অতিক্রম শেষে
প্রথম প্রেমের হতাশায়
ঘরে ফিরবেন আজ
৩)
একজন নাবিক দেখে
কংক্রিট বোঝাই যে জাহাজ নোঙর করতে পারে নি পায়রা বন্দরে; তার মাস্তুলে বসে একজন নাবিক দেখে, মাঝরাতে: ফানুস আকৃতির একটি শহর হাওয়ায় ভাসছে আর ভেসে ভেসে উড়ে যাচ্ছে পশ্চিমে, এক মরা বাড়ির উঠোনে। আর সমবেতদের আড়ালে রেখে দুইজন সাদা মানুষ ভেঙচি কাটছে সেই মৃত মানুষটিকে যখন তিনশো সাতান্ন জন মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার
একটি নিহত নক্ষত্র হাওয়ায় দোল খেতে খেতে আর তখনই ধ্বসে পড়ছিলো তার প্রেমিকার মেছতা পড়া গালে!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩২