দোস্ত আমার অনেকদিন সৌদিতে থাকে। টাকা পয়সা রিয়াল বেশ কামাই। শুনলাম সৌদিতে বাংলাদেশিদের বোরকার দোকানের বেশ চল। আর সে নাকি বেশ কয়েকটা বোরকা দোকানের মালিক। ম্যাট্রিক ফেল করে সেই যে সৌদিতে গেল। আর আসার নাম নেই।
হঠাৎ সেদিন তার ফোন। অনেকদিন পড়ে পুরনো বন্ধুদের ফোন পেলে যা হয় আর কি আবেগে কান্দাইলাইছি অবস্থা কিন্তু তার সাথে কথোপকথন শেষে আসলেই আমি দুঃখে কান্দাইলাইছি
দোস্ত- কিরে কাজী কেমন আসস?
আমি- আলহামদুলিল্লাহ ভালা। তা তোর খবর কি? শুনলাম সেই লেভেলের কামাই দিতাসো?
দোস্ত- তোগ দোয়া আর কি!!
আমি- তা দেশে আইবা কবে? বিয়া শাদী কিছু করবানা?
দোস্ত- আসবার চিন্তাভাবনা তো করছিলাম। কিন্তু ক্যামনে আসি বল? বিমান বন্দরের অবস্থা তো খারাপ।
আমি- ক্যামনে আসি মানে? বিমানে আসবি। আর বিমান বন্দরের অবস্থা খারাপ মানে? কি কস?
দোস্ত- আরে যেই হারে সোনা ধরা পরতাসে শুনলাম, যাওয়ার সাহস করতে পারতাসি না!!!
আমি- আরে সোনা ধরা পরতাসে তাতে তোর প্রব্লেম কি? তুই তো সোনা কারবারিও না আবার চোরাই সোনার ব্যবসাও করিস না!!
দোস্ত- কি যে বলিস আমার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে লাগেজের গায়ে পর্যন্ত তো সোনা লেখা। এয়ারপোর্ট অথোরিটি সেইটা দেইখাই তো কিছু বলার আগেই বাইন্ধা ফেলব
আহারে আজ যদি তার বাপে জানতো পোলার নাম "সোনা মিয়া" রাখাতে এই প্রব্লেম হবে তাহলে "মিয়া" রাইখা বাকিটা কবেই উঠাইয়া দিত!!!!