somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আস্তিকানন্দ আর নাস্তিকানন্দ ছিল একই মায়ের পেটের দুই ভাই!! এরপর একদিন হইল কি.................... :( :( :(

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আস্তিকানন্দ আর নাস্তিকানন্দ নামে এক দেশে এক মায়ের পেটের দুই ভাই ছিল। সময়ের পরিক্রমায় তারা দুই ভাই ধর্ম বিদ্বেষী আর অতিরিক্ত ধর্ম প্রেমীতে রুপ নিল যাহা ওই দেশের জন্য ছিল ক্ষতিকারক। দুই ভাইয়ের পথ ও তখন দুই দিকে চলিয়া গেল। এবং দুই ভাই আপন আপন আরও অনেক আস্তিকানন্দ আর নাস্তিকানন্দ দিগকে নিয়ে আপন আপন ব্লক প্রতিষ্ঠা করিয়া ফেলিল। কিন্তু সেই দেশের জনগনান্দ ভীষণ এক সমস্যায় পতিত হইল এই দুই ভাই এবং তাহাদের ব্লকদের নিয়া। একদিন বেশ কিছু জনগনান্দ ভাবিতে লাগিলে এই দুই ভাই এই দেশের কিরুপ উপকারে আসিতেসে নাকি শুধুই আমাদিগকে মারানন্দের উপরে রাখিয়াছে!!!!

নাস্তিকানন্দ তিন খানা বিজ্ঞান্মনশকানন্দের দুই খানা লাইন পড়িয়া এক খানা লাইন প্রসব করিল যে আস্তিকানন্দের যে সৃষ্টি কর্তা আদতে বিদ্যমান নেই। এবং উহার সহিত এই বলিয়া আস্তিকানন্দের ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব দেরও গালাগালি করিতে লাগিল। ইহাতেই আস্তিকানন্দের পিণ্ডি চটকিয়া গেল। তাহাদের ধর্ম বিশ্বাস এতই স্পর্শকাতর ছিল যে এক খান নাস্তিকানন্দের দুই লাইন আজগুবি ভুলভাল লেখাতেই উহাদের ধর্ম বিশ্বাস টলিয়া গেল। তার ফলে তাহারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইল যে এদের চাপাতিনন্দ দিয়া দেহ থেকে মাথা খানা আলাদা না করিয়া দেয়া পর্যন্ত তাহাদের শান্তি নেই। এইরুপে তারা তাদের কর্ম সাধন করিতে লাগিল। এইদিকে এইরুপ দেখিয়া নাস্তিকানন্দ কূল ঘোষণা দিল কলমানন্দ চলিবে আর আস্তিকানন্দ ও ঘোষণা দিল চাপাতিনান্দ কাটিবে।

এইবার সেইসব জনগনান্দের কথা বলি যাহারা আস্তিকানন্দ আর নাস্তিকানদের এইরুপ কর্মে প্রত্যহ মারানন্দের উপরে রহিয়াছেন। তাহারা ভাবিতে লাগিলেন এই নাস্তিকানন্দ সমাজের কিরুপে উপকার করে চলিয়াছে?? তাহাদের উর্বর মস্তিষ্কের কোন লেখাটি বাহিরের কোন দেশের মূল্যবান জার্নালে প্রকাশিত হইয়া ১খানা বিদিশি ডলার রেমিটেন্স দেশে আনিয়াছেন??? সমাজের কোন অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাধন করিয়াছেন??কোন চুলের সমাজ তাহারা পরিবর্তন করিতেছেন?? দেশের যেই খানে প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগানন্দ গরিবি হালতের নিচে (আন্ডার পভার্টি লেভেল) বসবাস করিতেসে সেখানে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ইনারা কোন কম্ম সাধন না করিয়া উনাদের সামাজিক পরিবর্তনের পিছনে কেন লাগিয়াছেন? সেইসব নাস্তিকানন্দের মাথায় কি বলদের গোবরানন্দ রহিয়াছে যে তাহারা কেন ভাবিতে পাড়িতেছেনা একটি দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির সহিত সব ধরনের মুক্তি নিহিত!!! একবার যদি এই মুক্তি মিলিয়া যায় তবে সামাজিক পরিবর্তন আপনাআপনি সাধিত হয়বে!!!! তাহাদের বিশাল বাহিনী তো আবার প্রথম পৃথিবীর দেশে বসবাস করিয়া থাকেন!! তাহলে কি তাহারা বুঝিতে পারেনা সেইসব দেশে সামাজিক পরিবর্তনের মূলে কি নিহিত????

এইবার জনগানন্দ সেইসব আস্তিকানন্দের কথা ভাবিতে লাগিল যে কিরুপে ইনারা ধর্ম রক্ষা করিয়া চলিয়াছেন। ইহাদিগের ধর্ম বিশ্বাস বড়ই অদ্ভুত। ইহাদের বিশ্বাসে এতই গোঁজামিল যে ইহারা কোন কিছুই সহ্য করিতে পারেন না। বুঝিবার গিয়ান এহাদিগের এতই কম যে ইহারা খুব তাড়াতাড়ি একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এসব নাস্তিকানন্দের কতল করা ছাড়া আর কিছু হইবে না। ইনারা নিজ ধর্ম সম্পর্কে তেমন একটা গিয়ান মোটেও রাখেন না। আর যদি রাখিত তাহলে ইনারা বুঝিতে পারিত কতল করা গর্হিত কম্ম। ইহা ধর্ম সমর্থন করে না। ইনারা অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী টাইপের ধর্ম বিশ্বাসী।

অবশেষে জনগনান্দ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইল যে এই অতি আস্তিকানন্দ আর অতি নাস্তিকানন্দ দুনোই সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান। জনগানন্দ আবার মধ্যম পন্থা অবলম্বন করিতে গেলে অতি আস্তিকানন্দ এবং অতি নাস্তিকানন্দ দুনজনেরই পরিহাসের শিকার হয়। কিন্তু কে শুনিবে কার কথা। জনগনান্দের এইরূপ চিন্তা ভাবনায় কাহার কি আসিয়া যায়। অতি নাস্তিকানন্দ তাহাদের কলমানন্দ (কিবোডানন্দ)চলিতে থাকিবে বলিয়া ঘোষণা জারি রাখিবার সাথে সাথে অতি আস্তিকানন্দ ও বলিয়া রাখিলো তাহাদের চাপাতিনান্দ ও কাটিতে থাকিবে।

আর মাঝখানে পড়িয়া জনগানন্দ দোচানন্দ (চ আর দ পরিবর্তনপূর্বক)খাইতে থাকিল। :(( :(( :((
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×