(১) যাকাত ফরয হয়েছে, দিবেন ভাল কথা। দেন কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সবচেয়ে নিম্নমানের কাপড় কিনে "যাকাতের কাপড়" নামে চালিয়ে দেবার মানে কি? ছেলে খেলা পাইছেন ইসলামকে। যখন যাকাতের কাপড়ের জন্য গিয়ে অনেক মানুষ মারা যায় তাদের দায়ভার কে নেয়? এইভাবে যাকাতের কাপড় বিলি করা মানে ইসলামের আদেশের সাথে তামাশা করে ছাড়া কিছুই নয়। গরীব দু:খীদেরকে চরম ভাবে হেয় করা হয়। আপনি যাকাতের টাকা এমন ভাবে দিন যাতে তাকে আর যাকাতের জন্য হাত পাততে না হয়। যখন দেখি "এখানে যাকাতের কাপড় পাওয়া যায়" এমন লেখা দোকানে ঝুলে তখন ভাবি যাকাত কি গরীবের প্রতি দয়া দেখিয়ে দিচ্ছি নাকি তাদের অধিকার মনে করে দিচ্ছি?
(২) আপনি মসজিদের হুজুর। আপনার যথেষ্ট সম্মান আছে এলাকায়। মাশাআল্লাহ দাওয়াতের অভাব হয়না। রমজানে তো রিতিমতো ডায়রি মেইনটেইন করতে হয়। বিয়ের দাওয়াত হলে তো আলহামদুলিল্লাহ বখশিশ ভালোই উঠে। একবারও কি ভেবেছেন আপনি যে বিয়ের দাওয়াত খাচ্ছেন সেই বিয়েটা শুদ্ধ হচ্ছে কিনা? এখনকার বিয়েতে গেলে কোনটা বউ আর কোনটা যে শ্যালিকা তাতো চেনাই কঠিন। এমন ভাবে অর্ধউলঙ্গ হয়ে সাঁজগোজ করবে তাতে করে শয়তানও তাদের দেখে লজ্জায় মুখ ঢাকে। আর আমাদের হুজুর মশাই সুন্দর ভাবে খেয়ে দেয়ে আসলেন। কোন প্রতিবাদ তো দূরের কথা নসিহতও করলেন না।
(৩) ঈদ এলেই যেন ছায়াছবি মুক্তির ধুম লেগে যায়। তাও আবার শুভমুক্তি। ছবির শুরুতে আবার ''বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" লেখা থাকে। ঈদের নামাজ শেষ করেই ছবি দেখার কি যে আনন্দ! তখন ভাবি, কুরবানীর ঈদ থেকে কি আমরা আমাদের মনের পশুত্বকে কুরবানী দেবার শিক্ষা নিতে পেড়েছি? রমজানের মাসে রোজা রেখে কি আমাদের কােন লাভ হয়েছে?
(৪) সারা রাত ওয়াজ নসিহত শুনলেন আর বাড়িতে এসে ফজরের সময় নাক ডেকে ঘুমালেন। কি লাভ হলো? যে ওয়াজ আপনাকে ঐ দিনই পরিবর্তন করতে পারলো না তা কি ভবিষ্যতে কোন কাজে দিবে? এখনকার ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয় মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নের লক্ষে। মানুষের ঈমানের উন্নয়নের লক্ষে মাহফিল হচ্ছে না। মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়ন ঠিকি হচ্ছে কিন্তু ঈমানের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। মসজিদগুলো উপরের দিকে যাচ্ছে আর আমাদের ঈমান হিমাঙ্কের এতোটাই নিচে যে কোন স্কেলেই তা ধরছে না। আমরা মসজিদের গম্বুজ বা মিনার নিয়ে গর্ববোধ করছি। অথচ আমাদের উচিত ছিল ঈমানের উন্নতি নিয়ে শোকরিয়া আদায় করা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২