স্বতন্ত্রতা হারিয়ে গেলে মানুষ এক অন্য মানুষ হয়ে যায় । এঁর বাস্তব প্রমাণগুলো বহু দেখেছি এজীবনে । স্বতন্ত্রতা ধরে রাখাটা খুবই উচিত প্রত্যেকটা মানবজনমেই । নিজস্ব দর্শন থেকে সরে গেলে তাঁর সত্তা আস্তাবলে গিয়ে পড়ে ।
জীবনানন্দ দাশ, কাজী নজরুল, লালন সাঁই এই কিসিমের মানুষ ছিলেন । স্বতন্ত্রতা ধরে রাখতে পেরেছিলেন তাঁদের ইহজীবনে, কখনও বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়নি ।
প্রতিটি জীবনের এই স্বতন্ত্রতা একটা সরলরৈখিক বিষয় । মানুষে-মানুষের মধ্যে এঁর প্রভাব বিস্তার করে ।
সুফি-সাধকরা বছরের পর বছর ধরে এক দর্শনেই জীবন কাটিয়ে দেন । পোশাক, সংস্কৃতি, জাত, দর্শন, বাচনভঙ্গি সবই একটা নির্দিষ্ট সরলরেখা বরাবর চলে বা চলায় ।
যেমন হানিফ সংকেত সাহেবের কথা-ই ধরি । তাঁর বাচনভঙ্গি সেই ১৯৯০ সাল থেকে আজ অবধি একই ধাঁচে কথা বলেন, তাঁর অঙ্গভঙ্গি সেই একই ।
আবার কুদ্দুস বয়াতির কথা বলি, যাকে গানের মাধ্যমে অনেকেই মনে না রাখলেও ‘গাজী পাম্প’ বিজ্ঞাপনের জন্য তাকে বেশী চেনেন । সেই বাল্যকালে বিজ্ঞাপন এখনও মানুষকে তাড়িত করে । হুমায়ূন আহমেদ তাকে নিয়ে নাটকের কাস্টিংও করেছেন । ধাঁচ একই ।
আপন স্বকীয়তার সাথে তাল মিলিয়ে চলছেন এখনও । যখন স্টেজে গান পরিবেশন করেন, বালিশটা হাঁটুর মধ্যে রাখেন সেই গতানুগতিক ধারাতেই ।
স্বকীয়তা, স্বতন্ত্রতা মানুষের জীবনে প্রভাব সৃষ্টি করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে । বিশেষ প্রেম থেকেই মানুষ তাঁর আপন স্পেসকে গুরুত্ব সহকারে সেটিকে বহন করে নিয়ে যায় । মানুষের মনে জায়গার সৃষ্টি করে..
সাব্বির আহমেদ সাকিল
১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | ২৭ মে ২০২২ ইং
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ১:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



