সাভারের শিক্ষক উৎপল কুমারকে পিটিয়ে হত্যা, নড়াইলের শিক্ষক স্বপ্নন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পড়ানো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে ছাত্রের কুপ্রস্তাব ।
তিনটিই সাম্প্রতিক সময়ের খবর । এঁর পিছনের দায়ী মূলত একটা বিশেষ শ্রেণীর শিক্ষকদের দলদাশ আর লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির প্রভাব । শিক্ষকদের এই অবস্থার জন্য দায়ী শিক্ষকদেরই একটা শ্রেণী, অন্য কেউ নয়; দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা আছে ।
এক শ্রেণীর শিক্ষকরা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আঁচলের নিচে নিজের চেহারাকে লুকিয়ে রাখেন । বাড়তি সুবিধা, প্রমোশনের জন্য জড়ান লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে । প্রমোট করে বেড়ান সেই সন্ত্রাসীদেরকেই, অপদস্তকারীদেরকেই ।
স্কুল থেক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সবখানেই একই চিত্র । যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এঁর প্রভাব সবথেকে বেশী । শিক্ষকদের জন্য আছে নানা সমিতি, সংগঠন । যেন তাঁদের চাকরির নিরাপত্তা, বেতনের স্বচ্ছতা, জীবনের নিরাপত্তা, সম্মানের নিরাপত্তা এবং বৈষম্যের শিকার না হোন, যেন বিপদের দিনে এই সমিতি, সংগঠনগুলো তাঁর পাশে দাঁড়ায় ।
অথচ আমরা বরাবরই দেখি লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করার কারণে দোষীদের নাম, দলের নাম নিতেও তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন । সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সাথে 'সহমত ভাই' হয়ে ওঠেন । ছাত্রনেতাদের ভয়ে কাঁপতে থাকেন । আবার এইসব সমিতি, সংগঠনের নেতা হন লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করা সেইসব শিক্ষকরাই ।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, ন্যায়ের পথে থাকার এই নীতিকথাগুলো শিক্ষকরাই আমাদেরকে শেখান । অথচ দিনশেষে তাঁরাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকেন, এবং প্রশ্রয় দেন । তাঁরাই লাঞ্ছনার শিকার হোন, অপদস্ত হোন, মার্ডার হোন । বড্ড সেল্যুকাস!
উপরোক্ত তিনটি ঘটনারই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক ।
১৫ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার | ২৯ জুন ২০২২ ইং | পূর্বধলা, নেত্রকোনা
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২২