
দেশ থেকে প্রতিদিন অনলাইন বেটিং সাইটের মাধ্যমে কোটি টাকা পাচার হচ্ছে । নিঃস্ব হচ্ছে তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী এমনকি মধ্যবয়স্করাও । জুয়ার টাকা জোগাতে জড়িত হচ্ছে নানান অপকর্মে ।
বিভিন্ন পত্র পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫০ লক্ষ মানুষ জুয়ায় আসক্ত । যদিও এই সংখ্যা আরও বড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
গত মে মাসে ‘অনলাইন জুয়া বন্ধে কেন ব্যবস্থা নয়’ তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট । জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট ।
এঁর পরের মাসে, অর্থাৎ জুন মাসে জুয়া বন্ধে নতুন আইনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয় । কিন্তু আগস্ট পেরুলেও জুয়া প্রতিরোধ অধ্যাদেশের খসড়ার ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষ হয়নি ।
অনলাইন জুয়া বন্ধে গত ১৬ এপ্রিল সরকারকে আইনি নোটিশ দেয় ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ । বিবাদীরা কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট মামলাটি করা হয় ।
মামলায় অনলাইন জুয়ার প্রচার-প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারকা, টাকা লেনদেনকারী মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি এবং তপসিলি ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া ।
গুগল, ফেইসবুক, ইউটিউব, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপসহ কোনো সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে যাতে জুয়া সংশ্লিষ্ট কোনো সাইটে ঢোকা না যায় তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয় ।
অধ্যাদেশটি পাশ হলে যেকোনো পরিসরে জুয়া খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য সহজ হবে ।
অথচ মাসের পর মাস চলে গেলেও এখনও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অহরহ জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে । সেসব প্রলোভনে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ।
টাকা পাচার বন্ধে, যুব সমাজকে রক্ষা করতে পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিরোধ এবং সরকার কর্তৃক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই আসক্তি থেকে বাঁচাতে হবে । জুয়া খেলা বন্ধে সরকারের অতি জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে । নয়তো জুয়ার এ অভিশাপ জাতির জন্য অচিরেই কাল হয়ে দাঁড়াবে!
সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল | মঙ্গলবার | ২১ আগস্ট ২০২৫ ইং | আপন নীড়, বগুড়া
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



