দার্জিলিং ভ্রমণ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কিছুদিন আগে ১৩জন বন্ধু নিয়ে ঘুরে এলাম দার্জিলিং। এটা আমার প্রথম দার্জিলিং ট্যুর। তাই শুরুতেই খুব এক্সাইটেড ছিলাম। অনেক গল্প শুনিছে যারা ইতিপূর্বে গিয়েছিল। তাই একটা প্রবল আগ্রহ ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার। ঢাকা থেকে বুড়িমারি বর্ডার হয়ে ভারতের চেংরাবান্ধা বর্ডার দিয়ে চলে গেলাম শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি যেতে আমাদের ৫টা বেজে গেল। ওখারকার অনেকে বলছিল পাহাড়ি রাস্তায় সন্ধ্যায় না যেতে। কিন্তু আমাদের সবার আগ্রহটা ছিল দার্জিলিং। তাই ওখানে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের মন ভরছিল না। তাই কারো কথার তোয়াক্কা না করে ৬টার দিকে দুটো গাড়ি ভাড়া করে চলে গেলাম দার্জিলিং। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যেতে সময় লেগেছিল ৩ ঘন্টা। পাহাড়ি রাস্তা। যত উপরে উঠছি ততই শীত বাড়তে থাকে। এবং তার সাথে পাহাড়ি রাস্তার মোড় গুলো এতটাই ভয়ংকর ছিল যে আমরা মোটামুটি শিহরণ নিয়ে যাচ্ছি। যখনই দূর থেকে রাতের দার্জিলিং দেখলাম সবার মন ভালো হয়ে গেল। এতটা সুন্দর যে রাতের দৃশ্য আমরা কল্পনা করিনি। মনে হচ্ছিল পাহাড়েরর গায়ে কোটি কোটি জোনাকি পোকা জ্বলজ্বল করছে। অনেক আনন্দ নিয়ে দার্জিলিং এর একটি হোটেলে উঠলাম। ওখানে তখন অনেক শীত। আমরা তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন সকালে গেলাম রোপওয়ে দেখতে। রোপওতে বসে দূরে সিকিম দেখা যাচ্ছিল। অনেক মজা লাগলো। ওখানকার একটি চা কোম্পানি থেকে চা কিনলাম। দার্জিলিং-এর বিখ্যাত চা। এরপর ম্যল চত্বর থেকে দেখলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা। পরদিন সকালে চলে গেলাম সূর্য উদয় দেখতে কাঞ্চনজঙ্ঘার পাশ দিয়ে। চমত্কার একটা অনুভূমি এই অনুভূমি কাউকেই বলে বোঝানো যাবে না। অবশ্য সবসময় এই দৃশ্য দেখা যায় না। আমরাও পুরোপুরি দেখতে পারিনি কুয়াশার জন্য। তবুও যা দেখেছি তাতেই মুগ্ধ। এর পর কিছু টেম্পল দেখলাম। এরপর রওনা দিলাম কালিম্পং এর উদ্দেশ্যে। যাওয়ার রাস্তা আরো পাহাড়ি। তবে এবার ভয়টা অনেক কমেছে। যাওয়ার মাঝপথে দেখলাম তিস্তা সে আরেক ভালোলাগার ক্ষণ। আমাদের সবাই চিত্কার করে করে তিস্তার পাড়ে চলে গেলাম। অনেক ছবি তুললাম। এর পর পাইন গাছের মাঝদিয়ে মেঘ। নিজেকে ছুইয়ে যাওয়া মেঘ দেখলাম কালিম্পং এর গিয়ে। অনেক অনেক আনন্দ ও স্মৃতি নিয়ে ফিরলাম। আসার সময় কারোরই দার্জিলিং ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছিল না। তবুও মন খারাপ করে চলে আসতে হলো তবে সবাই বললো আবার আসবো। আমাদের এতোকাছে এতো সুন্দর প্রকৃতি সুযোগ থাকলে সবারই উচিত একবার ঘুরে আসা। আমাদের প্রতিজন খরচ পড়েছে ১০ হাজার টাকা। ৪ রাত ৫ দিন ছিলাম। তবে গ্রুপ করে গেলে সুবিধা পাওয়া যায়। এবং মজাও হয় অনেক।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ



ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।