দিনাজপুরের একটা জিনিস চোখে পরার মতো। এখানকার মেয়েরা অন্য যায়গার মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে। এরা পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে জানে।
এখানকার ৮০% স্কুল পড়ুয়া মেয়েই নিজে সাইকেল ড্রাইভ করে স্কুলে যায়। কেউ কেউ আবার বান্ধবি নিয়ে ডাবলিং করে স্কুলে যায়। এরপর স্কুল শেষে অবসর টাইমে বাবা মা কে কৃষি কাজেও হেল্প করে।
সর্বপোরি যা দেখলাম এখানকার মেয়েদের কাজ গুলো চোখে পরার মতো। মানুষ গুলোও মোটামুটি ভালোই কেউ বাকা চোখে তাকায় না।
আর বর্তমানে তথা কথিত নারী অধিকার বা নারী ক্ষমতায়ন বলে অনেকেই নারীদের মাথায় যেই ব্যাপারটা ঢুকিয়ে দিচ্ছে সেটা হলো অধিকার পেতে হলে প্রথমেই তোমাকে স্মার্ট হতে হবে। আর স্মার্ট হতে হরে তোমাকে অলটাইম একেবারে মেকাপ- টেকাপ কইরে, পোষাক-আষাক এমন ভাবে পরতে হবে যেন তোমাকে দেখতে একেবারে হট- হট লাগে। যেকোনো পুরুষই যেনো তোমাকে দেখা মাত্রই তোমার শরীরের আসক্তিতে পরে যায়।
কিন্তু না! এগুলো অধিকার বা ক্ষমতায়নের কোন পর্যায়েই পরেনা।
অধিকার বা ক্ষমতা দেওয়া/নেয়ার জিনিস না।
নিজ যোগ্যতার সুষ্ট ব্যাবহার করে কাজের মাধ্যমে অধিকার এবং ক্ষমতা দুটোই আদায় করে নিতে হয়।
এবং এই জিনিসটা দিনাজপুরের মেয়েদের মধ্যে আছে। এখানকার মেয়েদের নজর কাজের দিকে অঙ্গসজ্জার দিকে নয়।
হয়তো বা ১০০% নয়, বাট ম্যাক্সিমাম।
আই হোপ, আগমি ১০-১২ বৎসর পর বাংলাদেশের প্রত্যতটা সেক্টরে এই মেয়ে গুলো ছড়িয়ে যাবে।
দিনাজপুরের মেয়েগুলো দেশের অন্যান্ন যায়গার মেয়েদের জন্য রোল মডেল হতে পারে।
মনে রাখবেন, ভালোকিছু ফলোকরা মানে ছোটো হওয়া নয়।