সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ এর (ক) অনুযায়ী নাগরিকের শিক্ষার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সংবিধানের উপরোক্ত অনুচ্ছেদের আলোকে ছাত্ররা খুবই যৌক্তিক ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ফ্রি করার জোর দাবি জানাতে পারে। কিন্তু তা না করে বাস মালিকদের নিকট, অর্থাৎ ব্যক্তির নিকট অর্ধেক ভাড়ার দাবির ভিত্তিটা কি, বা সেটা কতটা যৌক্তিক? বরং দাবিটা এভাবেও করা যেত, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছাত্রদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টিকেটের ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে অর্ধেক ভাড়া ছাত্ররা দেবে বাকিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার ভর্তুকি দেবে৷
নেতার চামচামির এবং লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ছাত্র নেতা আছে, ছাত্র সংগঠন আছে। কিন্তু এই কথাগুলো বলার মতো ছাত্র সংগঠন নেই, ছাত্রনেতা নেই! অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়ছে কিন্তু শিখছে না। সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না।মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে, মিডিয়ার ফাতরামি এবং প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার। এখান থেকে তরুন প্রজন্মকে বাঁচাতে সরকার কোন ব্যবস্থা না নিলেও, নিজেকে বাঁচাতে যা যা আইন করার তা করতে কালক্ষেপণ করেনি!
"হিরক রাজার দেশে" মুভিতে দেখেছিলাম, রাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী পাঠশালা ভ্রমনে এসে ছাত্রদের পড়া বাতলিয়ে দিচ্ছে এভাবে,
"লেখাপড়া করে যে, অনাহারে মরে সে
জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই"
সত্যজিতের এ সিনেমার দাবি আজও বহমান। ক্ষমতা লিপ্সু ছাগল রাজারা কখনোই চায় না প্রজারা মানুষ হোক। কারণ মানুষ কখনোই ছাগলকে রাষ্ট্র শাসন করতে দেবে না। তাই শাসন টিকিয়ে রাখতে প্রজাদের ছাগল বানিয়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৬