২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এরপর দেশ দুটি তাদের সীমানায় বিভিন্ন ব্লকে অনুসন্ধান চালিয়ে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে এবং গ্যাস উত্তলনও শুরু করেছে। বিপরীতে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের নামে ঝুলেছে বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে আমদানি করা জ্বালানির (কয়লা এবং ইউরেনিয়াম) উপর নির্ভর করে বৃহৎ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে, এগুলোর মধ্যে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইতিমধ্যেই উৎপাদনে গেছে। বোঝাই যাচ্ছে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ শক্তির প্রধান উৎস হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি ঝুঁকছে, বাংলাদেশ তখন আমদানি করা জ্বালানীর উপর নির্ভরশীল হচ্ছে! গত কয়েকদিনের লোডশেডিংয়ে এই নির্ভরশীলতাই শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে! ভবিষ্যতে কোনো কারণে জ্বালানী আমদানি ব্যাহত হলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যায়ে নির্মিত এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনো কাজে আসবে কী!?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪