হাজার, মিলিয়ন বা বিলিয়ন বছর পারি দিয়ে নিদ্রিষ্ট কোন স্থান অতিবাহিত করার সময় আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য প্রসারিত হওয়ার কারণে তা খালি চোখে না দেখা গেলেও উক্ত আলো ক্যাপচার করাটা অসম্ভব নয়। সুতরাং এ নিয়ে কোন বিতর্ক নয়।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমেরিকা! মাল্টিপোলারাইজেশনের যুগে এই দেশটির ক্ষমতার গ্রাফ যখন নিম্নমুখী তখন সে নিজেকে জাহির করতে কতকিছুই করতে পারে, কতকিছুই বলতে পারে। বাইডেন তার বক্তব্যে বলেছে, আমেরিকা ইজ ডিফাইন বাই ওয়ান সিঙ্গেল ওয়ার্ড, "পসেবলিটিস, পসেবলিটিস", আমেরিকা অমুক করতে পারে, আমেরিকা তমুক করতে পারে (বাইডেনের বক্তব্যের ভিডিও লিংক)। কোন রাষ্ট্র বড় কোন কাজ করলে সে রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান এমন কথা বলেতেই পারে, সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার বিশ্বকে এমন কথা শোনানোর জন্যও বড় কিছু করে ফেলাবার প্রচার চালানো যে আমেরিকার চারিত্রিক গুণাবলীরই অংশ, এ বিষয়টাও মাথায় রাখা দরকার।
আমি নিশ্চিত করে বলছি না যে আমেরিকা নিজেকে জাহির করতেই নাসার দ্বারা বানোয়াট কোন ছবি প্রকাশ করিয়েছে। তবে আগে পরে বিভিন্ন সময়ে আমেরিকা নামক এই রাষ্ট্রটি তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক স্বার্থ হাসিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যাবহার করে বিভিন্ন ভূয়া তথ্য পৃথিবীব্যাপি প্রচার করেছে। তাই তাদের কোন কথা বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টিও সামনে আসবে, এটাই স্বাভাবিক।
সুতরাং আমেরিকার দেয়া কোন তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা মানে বিজ্ঞানকে ভূয়া বলা নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৭