এমনিতেই অনেক অভিভাবক মেয়েদের দূরে কোথাও পড়তে দিতে চায় না, তারপর আবার এই ঘটনা। নিঃসন্দেহে এর রেশ অনেকদূর যাবে। অভিভাবকদের মানসিক ভীতি আরো বৃদ্ধি পাবে, যা নারী শিক্ষার পথকে কিছুটা হলেও সংকুচিত করবে।
এর থেকে উত্তরনের উপায় হচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে অভিভাবকদের অন্তত এই মেসেজটুকু দেয়া যে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে।
এই কথাগুলো না বলে সুলতানা কামালের মতো নারীবাদীর যা বললেন তাতে ঘুরেফিরে ঐ ইসলামিস্টদের টেনে এনে অপরাধীদের অপরাধকে খাটো করে দেখানো বা আড়াল করার অপচেষ্টা ব্যতিত আর কিছুই না।
"নারীর অগ্রযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেয়া হলো", সুলতানা কামালের এই বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায়, অপরাধ হওয়ার পর কে কি বলবে সেটা নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত! অথচ এটা যে একটা গর্হিত অপরাধ হয়েছে, এর যে বিচার হওয়া দরকার সে বিষয়ে তিনি নিরব!? কেমন যেন বিষয়টা ধামাচাপা দিতে পারলেই মনে হয় তিনি স্বস্তি পেতেন। মানুষ সাধারণত নিজে/নিজেদের অপরাধ ধামাচাপা দিতে চায়, সে হিসেবে প্রশ্ন যাগে তবে কি সুলতানা কামাল ইডেন ছাত্রীলীগের সভাপতি ইভানাদেরই প্রতিনিধি বা পূর্বসূরি?
এমন প্রশ্ন করার কারণ আছে, কোন এক নারীবাদীর মুখেই শুনেছিলাম, নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে জড়তা নাকি একপ্রকার প্রতিবন্ধকতা, যারা বেশি জড়তা এবং লজ্জা দেখায় এগুলারে কয়েজন পুরুষের কাছে পাঠালেই নাকি জড়তা, লজ্জা-শরম সব কেটে যাবে!
যাইহোক, সুলতানা কামালের মতো মানুষের কাছ থেকে বিচক্ষণ ভূমিকা আশা করি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ইসলামিস্টদের টেনে এনে অপরাধকে খাটো করে দেখানোর অপচেষ্টা তার ইমেজের সাথে মানানসই না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬