বাংলাদেশে অনেক নায়ক নায়িকা জীবনে আর কোনোদিনও অভিনয় করতে পারবেন না (যেমন সাবা সুহানা) - অনেক নায়ক নায়িকা আর কোনোদিনও জনসম্মুখে আসতে পারবে না (যেমন রিয়াজ-ফেরদৌস) - অনেকে কোনোদিন গর্ত থেকেই বের হতে পারবে না (যেমন অরুণা বিশ্বাস-জাফর ইকবাল)। ফারুকী সাহেব বলেন কিংবা আশফাক নিপুন - আওয়ামী কোনো নায়ক-নায়িকা নিলে সেই সিনেমার কাজ শুরু করলেই বয়কট করবে জনগণ। কোনো প্রযোজক, কোনো ডিরেক্টর এরকম টক্সিক নেইম এস্তেমাল করবে না। আমার মনে হয় এরা বুঝতেই পারছে না এদের জীবনে কী ঘটে গেছে ? গ্র্যাভিটি কোথায়? এট দা লীস্ট - এরা আর কখনোই উপার্জন করতে পারবে না তাদের স্বাভাবিক রাস্তায়। এবং সামনে পুরোটাই জিল্লতের জীবন। শমী কায়সারের কথাটা চিন্তা করেন। যতোদূর জানি - ওনার সন্তান নাই। সামনে আরো ৩০ বছর বাকী। খুব দ্রুত উনি বুঝতে পারবেন যে ওনার সম্পত্তি হাপিশ করবেন ওনারই আত্মীয়স্বজন। ৫০ কোটি বলেন আর ১০০ কোটি বলেন - কোনো অংকই যথেষ্ট না যখন একটা জনগোষ্ঠী আপনাকে লিট্রেলি ঘৃণা করে। যখন তিনি দেখবেন যে পুরা জাতি তাকে বোটি কাবাব করতে চায় - কে এই অবস্থার সুযোগ নেবে? কোনো বিএনপি-জামাত না—তারই নিকট আত্মীয়।
ভিশি ফ্রান্স এবং নাৎজি জার্মানের বহু ইন্টেলেকচুয়াল ও আর্টিস্টের ঠিক এই দশা হয়েছিলো। এ নিয়ে বিস্তর লেখা আছে। এতে আমি উল্লসিত না। বাংলাদেশে আর্টিস্টদের এমনিতেই সম্মান নাই। শেখের পট্টি এসে আর্টিস্টদের একদম গাটারে নিয়ে গেছে। আমরা সবাই কমবেশী ল অফ এভারেজের শিকার। প্রবাসীরা ব্যাপারটা ভালো বুঝবেন। অনেকেই বাবা-মা’র সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন না চলমান ঝামেলার কারণে। মনে করেন এই তো কাল, এই তো নেক্সট উইক থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। ল অফ এভরেজ হিসেবে তাদের পরিকল্পনা সঠিক। কিন্তু সমস্যা হোলো এমন একটা দিন আসবে - যেই দিনের পরে আর কোনোদিনও অপর প্রান্তে কেউ ফোনটা ধরবে না। কোনোদিনও না।
অরুণা বিশ্বাসরা যা বুঝতে পারেন নাই - তা হোলো এরপর আর কোনোদিনও নর্মালসিতে তারা ফেরৎ যেতে পারবেন না। আপনি মিথ্যায় পার্টিসিপেট করলে এই দিনটা আসবে। আপনারা যারা তরুণ আছেন - তাদেরকে আমার একটাই পরামর্শ। গার্ড য়োর রেপুটেশন। যক্ষের ধনের মতো করে। আপনি কল্পনাই করতে পারবেন না জীবনে কতো জায়গায় আপনার ভালো রেপুটেশান আপনাকে বাঁচায়। ২৫ বছর বয়সে এর গুরুত্ব আপনি বুঝবেন না। আমার বয়সে আসলে বুঝবেন। মনে রাখবেন - যার ফ্রিজে ১৫ টা পাঙ্গাশ মাছ ছিলো, পুকুর ভরা মাছ ছিলো - তাকে হেলিকপ্টারে করে পালাতে হয়েছে।
লেখা: ফাহাম আব্দুস সালাম