somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুরগি বিষয়ক রম্য রচনা (১৮+)

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অফিসের গাড়িতে মাঝে মাঝেই গ্রামে যাই। রাস্তায় হেন কোন জিনিস নেই যার মোকাবেলা করতে হয়না। মানুষতো আছেই। সঙ্গে আছে গরু, ছাগল, হাস, মোরগ, মুরগি। কি নেই। তবে বেশি ভয় পাই মুরগিকে। কখন আবার গাড়ির নিচে এসে পড়ে। ভয়ের কারণটা কি- বলছি।
আমার একজন সহকর্মী একবার তার গাড়ির নিচে এ রকম একটি মুরগী চাপা দিয়েছিল। লোকজন এসে তার গাড়ী আটকে দেয়। সহকর্মী মুরগির জরিমানা দিয়ে ঝামেলা মেটাতে চাইলেন। কিন্তু জরিমানা কত হবে? মুরগির মালিক বললেন, তার এই মুরগি মাসে ২০ টা ডিম পাড়ে। এই ডিম থেকে বাচ্চা হয়। বাচ্চার মধ্যে আবার দুই তৃতীয়াংশ মুরগি হতো। তারা আবার ডিম দিত। তাতে আবার বাচ্চা হতো। সব বিবেচনা করে সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্থানীয় লোকজনও তার পেছনে জুটে যায়। অবশ্য দেশে ক্যাটল ট্রেসপাস অ্যাক্ট আছে। বৃটিশরা আইন করে গেছেন। গরু ছাগল হলে উল্টো মালিককেই জরিমানা করা যেতো। মোরগ হলে তো আরো সোজা। বাজার দামই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু মুরগি ক্যাটল এর সংজ্ঞার মধ্যে পড়েনা। সে যাত্রায় জরিমানার মধ্যে মুরগির ডিম বাচ্চা অর্ন্তভুক্ত করেই আমার সেই সহকর্মী জনরোষ থেকে মুক্তি পেয়েছিল। আমার ভয়টা এখানেই।

উপরের ঘটনায় মনে হচ্ছে মোরগের চেয়ে মুরগিরই দাম বেশি। একারণে মোরগ মুরগির সমাজে মুরগিদের ভাবও একটু বেশি। তবে প্রতিবছর ঈদের আগে মোরগ একবার ভাব নেয়। ভাব নিয়ে মুরগিকে ডাকে। বলে, সারা বছর মালিকের কাছে বেশি দাম পেয়ে এসেছ। আমাকে বাদ দিয়ে গম ধান তোমাকেই খাওয়ানো হয়েছে। তবে এবার ঈদে তোমার চেয়ে দামটা আমারই কিন্তু বেশি।

যাই হোক মোরগ মুরগি নিয়ে কৌতুক পৃথিবীর সব ভাষায়ই আছে। অন্যান্য প্রাণি বড় হলেও কৌতুকে তাদের কোন গুরুত্ব নেই। অন্য প্রাণিদের এজন্য ক্ষোভও আছে। বনের পার্লামেন্টে একবার অন্যান্য পশুপাখি বিল তুলেছিল- প্রাণি জগতে ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। শিয়াল ছিল ওই পার্লামেন্টের মাননীয় স্পীকার। আর তার কারণেই বেচেঁ গেছে মোরগ জাত। আর মোরগ না থাকলে মুরগি আসতো কোথা থেকে। কারণ ধর্ষণের অভিযোগে ইতোমধ্যেই সব মোরগের ফাসি হয়ে যেতো। দুর্মুখেরা বলেন- মুরগী সমাজ রক্ষায় শিয়ালের এ অবদানের পেছনে দুরভিসন্ধী আছে। মুরগি থাকুক তা সে নিজের লাভের জন্যই চেয়েছিল। তবে রসাসক্ত ইতিহাসবিদরা বলেছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে ওই সংসদে এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা আর বিতর্ক হয়েছিল। মুরগি সমাজের প্রতিনিধিরা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এই বিল পাস হলে মোরগ জাতির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। মুরগিদের যেই প্রতিনিধি ঠোটে সবচেয়ে বেশি লিপিস্টিক দিয়ে সংসদ চলাকালীন ধান খুটে খেয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনিও এই ইস্যুতে কড়া বক্তব্য দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, একটা মোরগ যখন মুরগিকে তাড়া করে তখন মুরগির মনের অবস্থা কি। এটা অন্যদের জানার কথা নয়। মুরগির মন নারীর মন। এটা বুঝা এটা সহজ নয়। ঈশ্বর যখন নারীদের বানিয়েছিলেন, দেখতে তার ভালোই লেগেছিল। কারণ আগে পুরুষ বানিয়ে তার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। প্রথমবার যে ভুল করেছিলেন তিনি দ্বিতীয়বারে তা সংশোধন করেই নারী সৃষ্টি করেছেন। সেই নারী সৃষ্টি করে তিনি মুখে ভাষা দিলেন৷ প্রথম কথা বললো নারী৷ অার ওই দিকে ঈশ্বর সংজ্ঞাহীন৷ কি বানালেন নিজের হাতে৷কি বললো অার তার মনের ভেতর কি কিছুই বুঝলাম না৷ঈশ্বরই নারীকে বুঝতে পারেন নি৷ কিন্তু নারী হওয়ার কারণেই আমি মুরগির মনের ভাষা পড়তে পারি। একটা মোরগ যখন মুরগিকে তাড়া করে- তখন মুরগি দৌড়ায় আর মনে মনে বলে- বেশি জোরে দৌড়াচ্ছিনা তো। কেউ বলে আল্লাহ তারাতারি যেন ধরে ফেলে। তবে মুরগিদের মধ্যে আবার তাগড়া যুবতী মুরগিও আছে। তারা মনে মনে বলে, আয় তুই চিপায় আয়।

নাহ এই আলোচনাটা কেন যেন অন্যদিকে ধাবিত হচ্ছে। ছেলেরা মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে যেদিকে নিয়ে যেতে চায়- সেদিক আর কি। আমি ওই দিকে যেতে চাইনা। আমি একবার আমার একজন নারীবাদি বান্ধবিকে মুরগির বেশ কয়েকটি কৌতুক শুনিয়েছিলাম। শুনে সে আমাকে বলে, মুরগি নিয়ে এত কৌতুক। আর সবগুলোই প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। কেন, জানিস? আমি বললাম, না তো। সে বলে, ‘একটা মোরগ একটা মুরগিকে তাড়া করছে। এটা দেখে পুরুষ জাত খুব মজা পায়। তারা অবচেতন মনে নিজেদেরকে মোরগের স্থলে বসিয়ে নেয়।’ বুদ্ধি থাকলে নারীবাদিদের সঙ্গে তর্ক করতে নেই। আমিও করিনি। তবে তাকে আরও একটি কৌতুক শুনিয়েছিলাম। একটা মোরগ একবার একটা মুরগিকে ধাওয়া করলো। মুরগি দিল দৌড়। সতীত্ব রক্ষা করতে হবে। কিন্তু মোরগ নাছোড় বান্দা। সে তার পেছনে লেগে আছে। পুরো বাড়ি দৌড়িয়েও যখন মুরগি নিস্তার পেলোনা- তখন কক কক চিৎকার দিয়ে পুরো এলাকা সরগরম করে জানান দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। এ সময়ই একটা গাড়ি যাচ্ছিল। পড়বি তো পড়। ঠিক গাড়ির নিচে। মুরগির রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে গেল। সবাই বলতে লাগলো-কি সতী মুরগি। জান দিয়েছে কিন্তু মান দেয় নাই।

মুরগি আগে না ডিম আগে এ নিয়ে বিতর্ক আছে। কেউ বলেন মুরগি আগে আবার কেউ বলেন ডিম। কয়েকদিন আগে বিজ্ঞানিরা এ বিষয়টি গবেষণা করে সমস্যারও নাকি সমাধান করেছেন। তবে যিনি আবার বায়োলজি ভালো পড়েছেন- তিনি বলবেন, এই দু্টার একটাও না। মোরগ আগে। কারণ একটাই । মোরগ ছাড়া ডিম বা মুরগি জন্ম নেয়ার প্রশ্নই আসেনা। আর হ্যা। পাগল যদি নিজেকে মুরগি মনে করে তাহলে কম্ম সারা। চিকিৎসককেও পাগল হয়ে যেতে হবে। একবার এক পাগলকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তা স্বজনেরা। চিকিৎসক রোগীর হিস্ট্রি লিখতে শুরু করেন।
চিকিৎসক: কী সমস্যা আপনার, বলুন?
রোগী: স্যার, আমার সব সময় মনে হয়, আমি একটা মুরগি।
চিকিৎসক: বলেন কী। তা কবে থেকে এমনটা মনে হয় আপনার?
রোগী: যখন আমি একটি ডিম ছিলাম, ঠিক তখন থেকেই, স্যার।
আবার ডিম কখন ছিলেন জিজ্ঞাসা করা হলো- তার উত্তর যখন সে মুরগি হয়ে ডিম পেরেছিল। শুনে ডাক্তারই চক্রে ঘুরতে থাকেন। এমনিতে কি আর বলে পাগলের ডাক্তারও আধা পাগল। মাতালরাও আবার কম যায়না। তারা মাতাল হলে মুরগির সঙ্গে কথা বলতে পারে। একবার এক মোটু বাজার থেকে মুরগি নিয়ে ফিরছিল। পথে এক মাতাল বলল, ‘এই খাসিটাকে নিয়ে কোথায় চললে?’ মোটু বলল, ‘সর! মাতাল কোথাকার! এইটা মুরগি, খাসি না।’ মাতাল জবাব দিল, ‘আমি মুরগিটাকেই জিজ্ঞেস করছিলাম!’

মুরগি বিক্রি নিয়ে একটা সিলি কৌতুক আছে। মা তার ছেলেকে ১০০ টাকা দিয়ে বল্লেন, যাও বাবা, বাজার থেকে একটা মুরগি নিয়ে এসো। ছেলে বাজার থেকে মুরগি কিনে আনলে মা মুরগি দেখে বল্লেন, এতো রোগা মুরগি। এই মুরগি ফেরত দিয়ে এসো। ছেলে মুরগি ফেরত দিতে গিয়ে দেখে দোকানে লেখা “বিক্রিত মাল ফেরত নেয়া হয় না”। এখন সে কি করবে। বাসায় গেলেতো মা আচ্ছা মত বকা দেবেন। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মনে হল, তার এক খালাত বোন আছে। সে তাকে খুব আদর করেন, টাকা পয়সাও দেন। তার কাছে গেলে হয়ত একটা ব্যবস্থা হবে নিশ্চয়ই। বোনের বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখে ড্রয়িং রুমে খুব অন্তরঙ্গ অবস্থায় একটি ছেলের সাথে তার খালতো বোন বসে আছে। ছেলে লজ্জা পেয়ে সেখানে না গিয়ে চুপচাপ স্টোর রুমে বসে রইল। কিছুক্ষণ পর গাড়ির হর্ন। অর্থাৎ খালু এসেছেন। ড্রয়িং রুমের সেই ছেলেটিও তারাতারি সেই স্টোর রুমে ঢুকে তার বরাবর বসল। অন্ধকার ঘর, কেউ কারো মুখ দেখছে না। শুধু দুজনই দুজনের উপস্থিতি টের পাচ্ছে। সুযোগ মতো ছেলেটি বলল, ভাই মুরগি নেবেন? মাত্র ১০০ টাকা। ধুর, এমনতেই আছি বিপদে আর ইনি আসছে মুরগি বিক্রি করতে। না না মুরগি কিনব না। ‘ভাই, আপনি যদি মুরগিটা না নেন তবে আমি চিৎকার দেব।’ বাধ্য হয়ে মুরগি কিনতে হল ভদ্র লোকের। তার ঠিক ৫মিনিট পর ছেলেটি বলছে-ভাই মুরগিটা ফেরত দেন, নইলে আমি চিৎকার দেব। কপাল খারাপ হলে যা হয়, কি আর করা। মুরগি ফেরত দিতে হল। কিছুক্ষণ পর ছেলেটি আবার বলছে, ভাই মুরগি নেবেন? মাত্র ১০০ টাকা। এইভাবে সে মুরগিটি ৫ বার বিক্রি করে মুরগি সহ ৫০০ টাকা নিয়ে বেড়িয়ে গেল।
চলে গেল নিজের বাড়িতে। ঘরে গিয়ে দেখল তার বড় ভাই ড্রয়িং রুমে বসে। মুরগি দেখেই রাগে ভাইয়ের চিৎকার। ‘আমারে মুরগি বানিয়ে এই মুরগি ৫ বার বিক্রি করছিস। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।’ এ জন্যইতো বলি-বন্ধুদের মধ্যে কেউ কাউকে মুরগি বানায়নি- তাহলে তারা বন্ধুই না।

এবার একটা ইংলিশ কৌতুক বলি। গির্জায় কনফেশন চলছে। অনেকেই নীরবে ফাদারের কাছে কনফেশন দিচ্ছেন। এ সময় একজন ব্যাগে করে একটি মুরগি নিয়ে ঢুকলো। বললো, ফাদার, আমি এই মুরগিটা চুরি করেছিলাম। সেটা নিয়ে আপনি আমাকে পাপমুক্ত করবেন? ফাদার মুরগি না দেখেই বললেন, না, এভাবে হয়না, তুমি যার মুরগি তাকে ফেরত দিয়ে আসো। লোকটি বললো, ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু যা দেখছি, মুরগির মালিকতো ফেরত নিতে চায় না। ফাদার বললেন, সে ক্ষেত্রে তুমি পাপমুক্ত। কারণ তুমি মুরগির মালিককে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলে। শুনে মুরগিচোর খুশিমনে মুরগি নিয়ে বাড়ি চলে গেল। ওদিকে ফাদার বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর মুরগিটি নেই।

ভালো লাগলে আরেকটা বলি। তবে তা ভারতীয়। কৌতুকটা পরীক্ষায় যারা আন্ডা বা ডিম পান তাদের জন্য আদর্শ হতে পারে। নিজের দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়িটার পাশে বসে বিলাপ করে কাঁদছিলেন সর্দারজি, ‘আমার মুরগিটা মারা গেল। আমার কি হবে?’এক পথচারী দেখে থমকে গেলেন। বললেন, ‘সে কী সর্দারজি! আপনার এত দামি গাড়ির এই হাল হলো কী করে?’ ‘আর বলবেন না, গাড়িটা রাস্তার পাশে রেখে আমি গিয়েছিলাম একটু দোকানে। কথা নেই বার্তা নেই, এক ট্রাকড্রাইভার তার বেঢপ ট্রাকটা আমার গাড়ির ওপর উঠিয়ে দিল। আর গাড়ির পেছনে থাকা আমার মুরগিটা গেল মরে।’বলে আবার বিলাপ করে কাঁদতে লাগলেন সর্দারজি। পথচারী ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এত দামি গাড়িটা একেবারে ভেঙেচুরে গেল, আর আপনি কিনা মুরগির জন্য কাঁদছেন?’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা, গাড়ি দিয়ে কী হবে? গাড়ি তো আর প্রতিদিন দুটা করে ডিম দেয় না!’

আমাদের বাঙ্গালিদের দেশ প্রেম নাকি মুরগি আর তার ডিম পর্যন্তই। সবাই এক্ষেত্রে দেশিটা চান। আবার কে একজন নাকি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকি সেনাদের কাছে মুরগি সরবরাহ করতেন। এ নিয়ে আলোচনাও ব্যপক। তবে মুরগি নিয়ে কর্পোরেট গল্পও আছে। সাইন্টিফিক ম্যানেজমেন্টে প্রডাক্টশন ছাড়া কিছু্ বুঝেননা বস। তো কোন এক কর্পোরেট বসের চাকরি গেলে তিনি মুরগির খামার দেন। কারণ কর্মী হিসেবে মানুষের চেয়ে মুরগির প্রডাক্টশন রেট ভালো। কিন্তু খামারে লস হচ্ছিল। মুরগিগুলো খুব বেশি ডিম পাড়ত না। একদিন সে রেগে খামারে ঢুকে বলল, ‘আগামীকাল কারো সামনে দুইটা ডিম না পেলে তাকে জবাই করা হবে।’ পরদিন। সকালে বস খামারে গিয়ে দেখলেন, সব মুরগির সামনে দুটো ডিম কিন্তু একটার সামনে মাত্র একটা। বস কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তর দিল, ‘বস, আমি মোরগ।’
সিঙ্গাপুরে একটা কার্টুন দেখেছিলাম। একটি মুরগি তার বাচ্চাদের নিয়ে কেএফসির প্রতিষ্ঠাতা কর্ণেল স্যান্ডার্স এর ছবির সামনে গিয়ে বলছে, এই ব্যক্তিই তোদের বাবার খুনি। যাই হোক-মুরগির করপোরেটাইজেশন হওয়ার পরই মুরগির বাচ্চারা বেশি সংখ্যায় এতিম হতে শুরু করেছে।

কৌতুক বলা হবে আর সেখানে ছাত্র শিক্ষক থাকবেনা-তা হয়না। আমিও ছাত্র শিক্ষকের দুটো কৌতুক দিয়ে মুরগি রচনা শেষ করবো। ইদানিং যেভাবে সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয়। আর তাতে শিক্ষার্থীরা যে উত্তর দেন তাতে এই কৌতুক পড়ার পর সবাই গম্ভীর হয়ে যেতে পারেন। তবে এজন্য আমাকে দোষারোপ করা যাবেনা।
একবার সৃজনশীল প্রশ্ন করা হলো-‘আরিফ সাহেব একটি মুরগি পালেন। তিনি একবার চিরিয়াখানা গিয়ে জিরাফ দেখতে পেলেন। জিরাফ অনেক লম্বা। প্রশ্ন হলো-মুরগি কেন জিরাফের মতো লম্বা হয় না?’ ছাত্র উত্তরে লিখলো- তাহলে তো মুরগি ডিম পাড়ার সাথে সাথে ডিমটা মাটিতে পড়ে ফেটে যেত, আমাদের আর ডিম খাওয়া হতো না!’
শেষ কৌতুকটা নিলাম মাসুদ মাহমুদ অনুদিত "সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ" বই থেকে। রাশিয়ান কৌতুক। একটু পাল্টিয়ে সৃজনশীল তরিকায় বলছি আর কি। পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন এসেছে। আরিফ সাহেব একজন মানুষ। তার দুটি পা আর দুটি হাত আছে। তিনি একটি মোরগ পালেন। মোরগের দুটি পা আছে। আরিফ সাহেবের দুটি হাত থাকলেও মোরগের নেই কেন?
সকল শিক্ষার্থীর একই উত্তর। লিখেছে- মোরগের হাত নেই কারণ মুরগির ব্রেস্ট নেই। আর আরিফ সাহেবের হাত আছে কারণ------।
(লেখাটিতে অন্যের অনেক কৌতুক সমাবেশ করা হয়েছে)

কাজী সায়েমুজ্জামান
সার্কিট হাউজ, ফরিদপুর।
২২ জুলাই, ২০১৬, বিকাল ৪.০০ টা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×