"নিমতলীর আগুনের ঘটনার পর মনে হয়েছিল ঢাকা মহানগর যেন 'সিটি অব ফায়ার'। কোথাও পরিকল্পনার কোনো ছাপ নেই। সর্বত্রই অব্যবস্থা। অবশেষে টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া নির্মিত বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক। এ মাসেই ভেঙে ফেলা হবে অনুমোদনহীন ২৩টি ভবন। দুটি ভবন ভাঙার কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।" - আমরা এটাকে শুভ ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছি আর আশা করছি এর মাধ্যমেই ঢাকা "তিলোত্তমা মহানগরী" হয়ে যাবে।
নগর পরিকল্পনার বিষয়ে যদি নগর পরিকল্পনাবিদদের থেকে রাজনীতিবিদ অথবা ব্যবসায়ীদের মতামত বেশি গুরুত্বপুর্ন হয়ে যায়, তাহলে পরিস্হিতি এরকমই হবার কথা। রাজউক-এর এই উদ্দ্যোগকে আমার "ডুবে যাবার আগে টাইটানিকের ডেকের চেয়ার টেবিল গোছানোর মত-ই" মনে হয়েছে। যেখানে পুরো শহরাটাই ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে শেষ মুহু্র্তের এই অতি ক্ষুদ্র সিদ্ধান্তের মুল্য কতটুকু? আমাদের ধৈর্য সীমাহিন, আমরা কত অল্পতেই না খুশি হই!!
**কালের কন্ঠের সম্পাদকীয় দেখে অনেক দিন পর কয়েকটা লাইন লেখার ইচছে হলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৬