আবহাওয়া ভালো থাকলে আমি প্রায় প্রতি উইকেন্ড/ফ্রি টাইমে ড্রোন উড়াই। এমনই কিছু ছবি ছিল আগের দুটি ব্লগে। আসছে উইকেন্ড/ফ্রি টাইমের ছবিগুলো ড্রোনগ্রাফি নামে নয় বরং এলেবেলে সিরিজে পোস্ট করার ইচ্ছা আছে তাই ড্রোনগ্রাফির এটাই শেষ কিস্তি।
DJI SPARK ড্রোনের আগে আমার ছিল DJI TELLO নামের একটি মাইক্রো ড্রোন। ৫ মেগা পিক্সেল ক্যামেরাওয়ালা এই ড্রোনটা সর্বোচ্চ ৩০ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠতে পারলেও বেশ ভালোই ছবি তুলত। শেষ কিস্তিতে রইল সেই ছবিগুলো যেখানে বরফে ঢাকা কোপেনহেগেনের কিছু রূপ দেখতে পাওয়া যাবে, সাথে গ্রীষ্মকালতো আছেই।
প্রথমে DJI TELLO এর কিছু ছবি। মাত্র ১১৫০ ড্যানিশ ক্রোনরে (বাংলাদেশী ১৪০০০ টাকা) অতিরিক্ত ব্যাটারি, রিমোট কন্ট্রোলার এবং বিশ্বকাপের থীমওয়ালা স্টিকার সমেত ড্রোনটা কিনেছিলাম। DJI SPARK কেনার পর বিক্রি করে দিয়েছি। যত্নে রাখলে কোপেনহেগেনে ব্যবহার করা যেকোন জিনিষ বিক্রয় করা খুব সোজা।
এবার আসি ছবিগুলোতে। প্রথম দুটো ছবি একটি পার্কে তোলা, পরেরটি আমার অফিস ক্যাম্পাসের গ্রীন হাউসের কাছে এবং শেষেরটি শহুরে অফিস ক্যাম্পাসে তোলা। সবগুলোই শীতকালীন ছবি।
পরের ছবিগুলো আমার বাসার আশেপাশেই তোলা। খোলা মাঠ, সমুদ্র সৈকত, ফুটবল মাঠ এবং গল্ফ কোর্টে ছবিগুলো তুলেছিলাম। সমুদ্র সৈকতের এই ছবিটা তো আমার বসবাসরত মিউনিসিপ্যালিটি তাদের প্রচারেও ব্যবহার করেছে।
আগের দুই পোস্টে আপলোড করা ছবিগুলোর তুলানায় এই ছবিগুলোর রেজুলেশন বেশ কম কিন্তু ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার থেকে আর কি ভালো আশা করতে পারি!
আগের ছবিগুলো পাওয়া যাবে নিচের লিংকে:
পর্ব ১: Click This Link
পর্ব ২: Click This Link
আজ কোপেনহেগেনে বাংলাদেশীদের জন্য আজকে দুটো বিশাল ঈদ উৎসবের আয়োজন ছিল দূতাবাস এবং মসজিদের পক্ষ থেকে। বিকালে সময়টা বেশ ভালোই পার করেছিলাম। সুযোগ পেলে কাল/পরশু কোপেনহেগেনের বাংলাদেশী দূতাবাস নিয়ে একছত্র লিখব আশা করছি।
সবাই ছবিগুলো উপভোগ করুন। শুভ রাত্রি!