অনেকে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে, এদেশের পাহাড়ি কিংবা সংখ্যালঘুদের তুলনা করে ফেলে। এই বাংলাদেশে যদি রোহিঙ্গাদের মত, পুলিশ কিংবা সেনা ক্যাম্পে হামলা করা হত, কিংবা বাংলাদেশের বিরোধিতা করতো, তাহলে আর বলার কিছুই বাকি থাকতো না। বাংলাদেশ সরকার এতদিনে ঝাটিয়ে বিদায় করে দিত সন্ত্রাসীদের। যেমনা পাহাড়ে করে, সন্ত্রাসী দেখলেই আমাদের সেনাবাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে। আমিও চাই, সন্ত্রাসীদের দমন করা হোক। কারন সন্ত্রাসীর একটাই পরিচয় সে সন্ত্রাসী, তার কোন জাত কিংবা ধর্ম নাই।
রোহিঙ্গাদের কপাল নিজেরাই পুড়েছে ১৯৪৬ সালে। যখন তারা আরাখানকে ভাগ করে পাকিস্তানের সাথে যোগ হতে ছেয়েছিল। মূলত সেখান হতেই বার্মিজদের সাথে রোহিঙ্গাদের দূরর্ত্ব চলে আসে। সেখানে ধর্ম কোন ইস্যু নয়।
রোহিঙ্গা সংকট যেভাবে শুরু : ১৯৪৬ সালের মে মাসে রাখাইন প্রদেশের মুসলিম রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে দেখা করেন। তাদের প্রস্তাব ছিল রাখাইন প্রদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করে বুথিডং ও মংদৌ নামে দুটি শহরের একত্রীকরণ। এর দুই মাস পর রোহিঙ্গা মুসলিম নেতৃত্ব আকিয়াবে নর্থ আরাকান মুসলিম লীগ গঠন করে। তখন রোহিঙ্গা মুসলিমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলাদা প্রদেশ হিসেবে বার্মা থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাদেশ নিয়ে পড়ে ছিল, বার্মার দিকে তাকানোর সাহস ছিল না, কারন মাথার উপরে চীন আর জাপান ছিল।
গত বছরের অক্টোবরে একই ধরনের হামলায় ৯ পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যে বড় আকারের সামরিক অভিযান হয়েছিল। আর এবার একসাথে ২৪টি পুলিশ পোস্টে সমন্বিত হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গারা। মারা গিয়েছে ১৫ জন পুলিশ সহ ৩০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী
কোন নাটক নয়, ২৪টি পুলিশ পোস্টে হামলার দায় স্বীকার করে নেয় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)। এ ঘটনার পর, রোহিঙ্গারাদের কপালে দুঃখ আছে, সেটা নিশ্চিত। আর প্রভাবটা পড়বে বাংলাদেশে। কেন রে ভাই, আমি বার্মার খায় নাকি পড়ি ?
সন্ত্রাসী যে দেশের হোক, যে জাতি হোক, তার পরিচয় সে সন্ত্রাসী। তাদের ও একটা ধর্ম আছে। আর ধর্মের দিক বিবেচনা করে জাত ভাই বলে মায়া করার দরকার টা কি! মায়ের পেটের ভাই এরশাদ শিকদার কিংবা বাংলা ভাই ও হতে পারে। তাই বলে তাদের পক্ষে হয়ে কথা বলবো নাকি সত্যিটা সবার সামনে বলবো! রক্ত যদি খারাপ হয়, খারাপকে খারাপ আর ভাল কে ভাল বললে জাত যায় না। একজন প্রকৃত মানুষের পরিচয় দেওয়া যায়। যারা সন্ত্রাসীদের সাপোর্ট করে, তারাও সম অপরাধি। ধর্ষণ যে করে, কিংবা যারা ধর্ষকের হয়ে কথা বলে, তারাও ধর্ষক, তারাও অপরাধি।
মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশ কে সুরাহা করতে হবে কেনো ?
যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গারা আরাকান রাজ্যে বসবাস করছে। তারা মায়ানমারের নাগরিক। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমার কে সংযত হয়ে রোহিঙ্গাদের কে সে দেশের নাগরিক হিসাবে মেনে নেয়া উচিত। বাংলাদেশে যেখানে নিজেদের সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের কিভাবে আশ্রয় দেবে? মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গারা চোরা পথে অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশে। যা বাংলাদেশের জন্যও ক্ষতিকর। কারন আমরা এমনিতে জনসংখ্যার দাবানলে ভুগছি তার উপর ওরা। টেকনাফ কিংবা কক্সবাজারের আশে পাশে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। খরবা-খবর নিয়ে জানতে পারেন, নানান রকম অপরাধ মূলক কাজে তারা জড়িয়ে পড়তেছে রোহিঙ্গারা। চুরি ডাকাতি, ইয়াবা ব্যবস্যা সহ নানান ধরণের অপরাধ মূলক কাজ কর্মে জড়িয়ে আছে তারা। কারন তারা এইদেশে বলেন কিংবা মিয়ানমারে নিপীড়নের স্বীকার। মানবিকতার দিক দিয়ে হলেও এবং তাদের প্রাপ্য অধিকাদের দিক দিয়ে রোহিঙ্গাদের সে দেশের জাতীয়তা দেওয়া দরকার। কারন তারাও রক্তে মাংসে গড়া আমাদের মত মানুষ।
অনেকে দেখেছি রোহিঙ্গারের এ দেশের নাগরিকতা দিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করতেছে। তারা জানে কি, ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালতেসে বাংলাদেশ সরকার। যারা দেশের কোন কাজে আসেনা ইয়াবা, জঙ্গীবাদ আর বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে আকাম করে দেশের বদনাম করা ছাড়া। ওরা মিয়ানমারের নাগরিক। এমনিতে আমরা জনসংখ্যার চাপে ভুগছি। তার উপর এরা। কেন কত বড় বড় ধনী মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র আছে। তারা নিতে পারে না তাদের দায়িত্ব ? তারা তো চুপ করে বসে আছে! তামাসা দেখে। বাংলাদেশ নিজেদের সমস্যা বাড়িয়ে অন্যের উপকার করবার মত উন্নত দেশ এখনো হয়ে উঠিনি আমরা। সমস্যা যেহেতু বাংলাদেশ নিয়া, সুতরাং আমাদের উচিত প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের জোর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের উপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করা। এবং রোহিঙ্গারা কোন দেশের নাগরিক সেটা নিশ্চিত করা। যদি এ সব করা না যায়, তাহলে আমরা সাধারণ পাবলিকরা কিছুই করতে পারবো না।
সুতরাং, পাকিস্তানের কর্মকান্ডের জন্য যেমন আপনি কিংবা বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানরা দায়ী নয়। ঠিক তেমনি ভারত কিংবা মিয়ানমারের ঘটনার জন্য বাংলাদেশে বসবাস রত বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মের সাধারণ মানুষরা দায়ী নয়।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে অজানা সত্যিটা আরো জানতে পারেন-
●☞ রোহিঙ্গাদের ইতিহাস ও সংকট যেভাবে শুরু- Click This Link
●☞ রোহিঙ্গা ইতিহাস নিয়ে সাতটি বিচিত্র তথ্য- http://www.bbc.com/bengali/news-38225004
সূত্রঃ রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস, উইকিপিডিয়া, ইউ এন, বিবিসি বাংলা।
অনেকে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে, এদেশের পাহাড়ি কিংবা সংখ্যালঘুদের তুলনা করে ফেলে। এই বাংলাদেশে যদি রোহিঙ্গাদের মত, পুলিশ কিংবা সেনা ক্যাম্পে হামলা করা হত, কিংবা বাংলাদেশের বিরোধিতা করতো, তাহলে আর বলার কিছুই বাকি থাকতো না। বাংলাদেশ সরকার এতদিনে ঝাটিয়ে বিদায় করে দিত সন্ত্রাসীদের। যেমনা পাহাড়ে করে, সন্ত্রাসী দেখলেই আমাদের সেনাবাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে। আমিও চাই, সন্ত্রাসীদের দমন করা হোক। কারন সন্ত্রাসীর একটাই পরিচয় সে সন্ত্রাসী, তার কোন জাত কিংবা ধর্ম নাই।
রোহিঙ্গাদের কপাল নিজেরাই পুড়েছে ১৯৪৬ সালে। যখন তারা বার্মাকে ভাগ করে পাকিস্তানের সাথে যোগ হতে ছেয়েছিল। মূলত সেখান হতেই বার্মিজদের সাথে রোহিঙ্গাদের দূরর্ত্ব চলে আসে। সেখানে ধর্ম কোন ইস্যু নয়।
রোহিঙ্গা সংকট যেভাবে শুরু : ১৯৪৬ সালের মে মাসে রাখাইন প্রদেশের মুসলিম রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে দেখা করেন। তাদের প্রস্তাব ছিল রাখাইন প্রদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করে বুথিডং ও মংদৌ নামে দুটি শহরের একত্রীকরণ। এর দুই মাস পর রোহিঙ্গা মুসলিম নেতৃত্ব আকিয়াবে নর্থ আরাকান মুসলিম লীগ গঠন করে। তখন রোহিঙ্গা মুসলিমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলাদা প্রদেশ হিসেবে বার্মা থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাদেশ নিয়ে পড়ে ছিল, বার্মার দিকে তাকানোর সাহস ছিল না, কারন মাথার উপরে চীন আর জাপান ছিল।
গত বছরের অক্টোবরে একই ধরনের হামলায় ৯ পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যে বড় আকারের সামরিক অভিযান হয়েছিল। আর এবার একসাথে ২৪টি পুলিশ পোস্টে সমন্বিত হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গারা। মারা গিয়েছে ১৫ জন পুলিশ সহ ৩০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী
কোন নাটক নয়, ২৪টি পুলিশ পোস্টে হামলার দায় স্বীকার করে নেয় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)। এ ঘটনার পর, রোহিঙ্গারাদের কপালে দুঃখ আছে, সেটা নিশ্চিত। আর প্রভাবটা পড়বে বাংলাদেশে। কেন রে ভাই, আমি বার্মার খায় নাকি পড়ি ?
সন্ত্রাসী যে দেশের হোক, যে জাতি হোক, তার পরিচয় সে সন্ত্রাসী। তাদের ও একটা ধর্ম আছে। আর ধর্মের দিক বিবেচনা করে জাত ভাই বলে মায়া করার দরকার টা কি! মায়ের পেটের ভাই এরশাদ শিকদার কিংবা বাংলা ভাই ও হতে পারে। তাই বলে তাদের পক্ষে হয়ে কথা বলবো নাকি সত্যিটা সবার সামনে বলবো! রক্ত যদি খারাপ হয়, খারাপকে খারাপ আর ভাল কে ভাল বললে জাত যায় না। একজন প্রকৃত মানুষের পরিচয় দেওয়া যায়। যারা সন্ত্রাসীদের সাপোর্ট করে, তারাও সম অপরাধি। ধর্ষণ যে করে, কিংবা যারা ধর্ষকের হয়ে কথা বলে, তারাও ধর্ষক, তারাও অপরাধি।
মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশ কে সুরাহা করতে হবে কেনো ?
যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গারা আরাকান রাজ্যে বসবাস করছে। তারা মায়ানমারের নাগরিক। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমার কে সংযত হয়ে রোহিঙ্গাদের কে সে দেশের নাগরিক হিসাবে মেনে নেয়া উচিত। বাংলাদেশে যেখানে নিজেদের সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের কিভাবে আশ্রয় দেবে? মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গারা চোরা পথে অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশে। যা বাংলাদেশের জন্যও ক্ষতিকর। কারন আমরা এমনিতে জনসংখ্যার দাবানলে ভুগছি তার উপর ওরা। টেকনাফ কিংবা কক্সবাজারের আশে পাশে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। খরবা-খবর নিয়ে জানতে পারেন, নানান রকম অপরাধ মূলক কাজে তারা জড়িয়ে পড়তেছে রোহিঙ্গারা। চুরি ডাকাতি, ইয়াবা ব্যবস্যা সহ নানান ধরণের অপরাধ মূলক কাজ কর্মে জড়িয়ে আছে তারা। কারন তারা এইদেশে বলেন কিংবা মিয়ানমারে নিপীড়নের স্বীকার। মানবিকতার দিক দিয়ে হলেও এবং তাদের প্রাপ্য অধিকাদের দিক দিয়ে রোহিঙ্গাদের সে দেশের জাতীয়তা দেওয়া দরকার। কারন তারাও রক্তে মাংসে গড়া আমাদের মত মানুষ।
অনেকে দেখেছি রোহিঙ্গারের এ দেশের নাগরিকতা দিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করতেছে। তারা জানে কি, ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালতেসে বাংলাদেশ সরকার। যারা দেশের কোন কাজে আসেনা ইয়াবা, জঙ্গীবাদ আর বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে আকাম করে দেশের বদনাম করা ছাড়া। ওরা মিয়ানমারের নাগরিক। এমনিতে আমরা জনসংখ্যার চাপে ভুগছি। তার উপর এরা। কেন কত বড় বড় ধনী মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র আছে। তারা নিতে পারে না তাদের দায়িত্ব ? তারা তো চুপ করে বসে আছে! তামাসা দেখে। বাংলাদেশ নিজেদের সমস্যা বাড়িয়ে অন্যের উপকার করবার মত উন্নত দেশ এখনো হয়ে উঠিনি আমরা। সমস্যা যেহেতু বাংলাদেশ নিয়া, সুতরাং আমাদের উচিত প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের জোর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের উপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করা। এবং রোহিঙ্গারা কোন দেশের নাগরিক সেটা নিশ্চিত করা। যদি এ সব করা না যায়, তাহলে আমরা সাধারণ পাবলিকরা কিছুই করতে পারবো না
রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিকতা দেওয়া হোক। আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলেই তবে তারা সন্ত্রাস প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসবে। যা উভয়ের জন্য মঙ্গলদায়ক হবে।
সুতরাং, পাকিস্তানের কর্মকান্ডের জন্য যেমন আপনি কিংবা বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানরা দায়ী নয়। ঠিক তেমনি ভারত কিংবা মিয়ানমারের ঘটনার জন্য বাংলাদেশে বসবাস রত বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মের সাধারণ মানুষরা দায়ী নয়।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে অজানা সত্যিটা আরো জানতে পারেন-
●☞ রোহিঙ্গাদের ইতিহাস ও সংকট যেভাবে শুরু- Click This Link
●☞ রোহিঙ্গা ইতিহাস নিয়ে সাতটি বিচিত্র তথ্য- http://www.bbc.com/bengali/news-38225004
সূত্রঃ রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস, উইকিপিডিয়া, ইউ এন, বিবিসি বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১