somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কার্ল মার্ক্সের সাথে কথোপকথন!!

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কার্ল মার্ক্সের সাথে কথা হল। আমার দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছিলেন। বললাম "হাসছেন কেন"?
উনি বললেন, তোমরা একবিংশ শতাব্দীতে যে চিন্তা কর, আমি উনবিংশ শতাব্দীতে এর থেকে অনেক গঠনমূলক চিন্তা করতে পারতাম।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "কি রকম"?
"আমি ধর্মের ভুল প্রয়োগ নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম ধর্মের প্রায়োগিক ভুল শোষণের হাতিয়ার। আর তোমাদের জেনারেশন ধর্মকে ভুল প্রমাণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।"
আমি বললাম, "এতেতো জ্ঞানশাস্ত্রের বিকাশ ঘটেছে। জ্ঞানের অনেকগুলো শাখা বিকশিত হয়েছে। নতুন চিন্তা চ্যালেঞ্জ হিসাবে সামনে এসেছে। মানুষ আরোও দক্ষ ও গঠনমূলক হচ্ছে"।
উনি বললেন, "সমস্যা হচ্ছে তুমি যখন মানুষের কাছ থেকে তার ধর্মকে ছিনিয়ে নেবে, তখন মানুষের একটা বড় অংশ তোমাকেই তাদের ধর্ম বানিয়ে ফেলবে। যেমনটা ঘটেছে গৌতম বুদ্ধ, গুরু নানক, অথবা লালনের ক্ষেত্রে।"
এবার আমি একটু উৎসাহী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, "তাহলে আপনি হাসছিলেন কেন? আপনাকে দেখেতো খুশি মনে হচ্ছে?"
মিচকি হেসে বললেন, "তোমাদের জেনারেশন যেভাবে ধর্মের পিছনে লেগেছে, তাতে অচীরেই আমার সাম্যবাদী দর্শণ ধর্মে পরিনত হবে। তোমাদের তো সে কোয়ালিটি নেই যে তোমরা সেই স্তরে পৌছাবে। লেনিন, ক্যাষ্ট্রো আর চে'র সে কোয়ালিটি ছিল। যেহেতু আমি দান্দিক বস্তুবাদ এবং সাম্যবাদী দর্শণের চুড়ান্ত জনপ্রিয় জনক, সেহেতু পৃথিবীর মানুষ আমাকে ভবিষ্যতের ধর্ম বানাবে। আর তোমরা শীঘ্রই আমার পুঁজা করা শুরু করবে। যে দেশের মানুষ লালনকে ধর্ম আর শাহাজালালের মত মহান যোদ্ধার কবরকে মাজার বানাতে পারে, সে দেশে আমি নবী বা ভগবান হব এটাই সাভাবিক।"
আশ্চার্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, "আপনার কষ্ট লাগেনা?"
রহস্যময় হাসি দিয়ে বললেন, "আমি ক্লান্ত, বিরক্ত, এবং অতিষ্ঠ। পরিশেষে ভাবলাম এই সন্মানটা উপভোগ করা যাক।"
দুজনে একসঙ্গে হেসে উঠলাম। বিদায় নেবার সময় জানতে চইলাম মহান বিপ্লবী চে কেমন আছেন?
বললেন, "চে কনডম বের হওয়ার আশংকায় সে আতংকিত।"
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×