somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এখানে জীবনাচার এবং জীবন দর্শনের চলছে সুষ্পষ্ট দন্দ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাব, অসহনশীল মানুষিক্বতা এবং বোধের সমন্বয়হীনতা আমাদের সামাজিক জীবনকে অসহযোগীতামূলক বানিয়ে ফেলেছে। আর তাই আমাদের পারস্পারিক সম্পর্কের বাঁধনগুলো তাসের ঘরের মত। সম্পর্কে পথচলা শুরু হয় খেয়ালের বশে। আবার সম্পর্ক ভেঙ্গেও পড়ে হঠাৎই করে। উদ্দেশ্যহীন পথচলাতে ক্লান্তি অনিবার্য। আবার কোন কিছু না বুঝে অনুসিদ্ধান্তে পৌছে যাওয়াও আমাদের বর্তমান বাস্তবতা হয়ে দাড়িয়েছে।

চিন্তার শুরু এবং চিন্তার পদ্ধতিতে যদি গোজামিল থাকে তাহলে আমাদের প্রত্যেকটা অনুসিদ্ধান্ত ভুল হতে বাধ্য। আমরা প্রত্যেকে আলাদা। প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন রুচি এবং অনুভূতির অধিকারী। এই ভিন্ন ভিন্ন রুচি এবং অনুভূতি তৈরী হয় আমাদের অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, চিন্তার পদ্ধতি এবং আমাদের যাপিত জীবনের পরিবেশের উপর ভিত্তি করে। যারা পারিবারিক ধর্ম বা জীবন দর্শণের অনুসরন করেন, তাদের ব্যাপারটা ভিন্ন। এই সকল মানুষ অসাঢ় মস্তিষ্কের। এরা খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকার জন্য খায় না। অন্যদিকে যারা নিজের জীবন দর্শণ নিজে নিজে নির্ধারন করেছে তারা আপাতত দৃষ্টিতে আলোকিত হলেও, এরাও বন্ধী হয়ে পড়ছে উপনিবেশিক এবং সংকর চিন্তার আবর্তে। এখানে জীবনাচার এবং জীবন দর্শনের চলছে সুষ্পষ্ট দন্দ।

বহু পথ-মত-চিন্তায় বিভক্ত জল্লাদের এই উল্লাসমঞ্চ আমারই দেশ। পুঁজিবাদী পোশাকে যে সমাজতন্ত্র বা ইসলামের প্রার্থনালয়ে প্রবেশ করা যায়না, তা এদেশের বাম এবং ডান বুদ্ধিজীবীরা বোধহয় এত সহজে স্বীকার করবেনা। স্বীকার করলে আবার অতিতের সকল কর্মকান্ডকে ভুল বলে স্বীকার করতে হয়। এই সংকট আমাদের চিরকালের। আর তাই এদেশে গণজাগরণ মঞ্চ যেমন রাতারাতি জন্মায় তেমনি হেফাযতে ইসলামও।

গায়ের চাদরে ছারপোকা বসবাস করলে চুলকানী'র মলমে কাজ কি করে হবে? পুঁজিবাদী চিন্তার খোলস থেকে বের হতে না পারলে মুক্তি এত সহজে আমাদের মিলছেনা। আমাদের গণতন্ত্র ব্যবসায়ীরা জনগণকে খুব চেষ্টা করছে গণতন্ত্রের ট্যাবলেটে ভুলিয়ে রাখতে। এটা কুম্ভকর্নের দেশ। এই নেশাগ্রস্থ জাতির ঘুম একটু দেরীতেই ভাঙবে জানি। তবু আশাবাদী মন নিয়ে নতুন সকালের প্রত্যশায় থাকলাম।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×