somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মন বদলের রাস্তা!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নতুন বছরের নতুন ছাত্র-ছাত্রীতে মুখরিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। মুখরিত সবাই-ই, খুব স্বাভাবিক ভাবেই। একদিন একটি ছেলে রোদের উত্তাপ নিচ্ছিল কলা ভবনের সামনে দাড়িয়ে থাকা আম বাগানের মাঝে দাড়িয়ে। তখন প্রায় দুপুর, কিন্তু রাজশাহীর ভীষণ শীতে সেটা সকালের মতই ঠাণ্ডা। যেখানে রোদ পরে সেখানে কিছুটা গরম হলেও, যেখানে রোদ নেই সেখানে হিম ঠাণ্ডা।

এক-একবার এক-এক গাছের ছায়ার সাথে সরে সরে যায় সে, যেখানে রোদ গড়িয়ে যায় ধীর ধীরে। উহ এই শীতে কই কলা ভবনের ঠাণ্ডার মধ্যে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেনা কিছুতেই। কলমই ধরা যায়না হাত দিতে তো লিখবে কিভাবে? আর এক দুইটা ক্লাস না করলে কি এমন মহা ভারত অশুদ্ধ হবে? ধুর তার চেয়ে এই রোদে রোদে দাড়িয়ে থেকে শরীরটাক একটু গরম করে নিক।

এই দাড়িয়ে থাকতে থাকতেই ছেলেটির চোখ গেল প্যারিস রোডের দিকে। যেখানে দল বেঁধে হেটে আসছিল ছুটি শেষে স্কুল ড্রেস পড়া ছেলে-মেয়েদের মিছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরেই কাজলা গেটের সাথে লাগোয়া স্কুল আর কলেজ। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা একই সাথে দল বেঁধে হই-হই করতে-করতে যায় আর কলেজের ছেলেরাও অনেকটা তেমন করেই।

শুধু কলেজের মেয়েরাই একটু চুপচাপ আর ছন্নছাড়া ভাবে হেটে যায় বাস স্ট্যান্ডের দিকে। এই স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই এই রাবির শিক্ষক বা কর্মকর্তাদের ছেলে-মেয়ে। তাই যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকে তারা বাবা-মায়ের সাথে সকালে ক্যাম্পাসের বাসে আসে আর ক্লাস করে ছুটির পরে আবার সেই বাসেই বাসায় ফিরে যায়।

সেই হেটে যাওয়া ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ছেলেটির চোখ পড়লো একদম শেষে একা একা হেটে আসা একটি মেয়ের দিকে। একদম একা, এদিক-ওদিক না তাকিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে হেটে চলেছে, ধীরে ধীরে। কলেজের মেয়েদের যেমন হয় ঠিক তেমন দুই বেণী, আকাশী জামা, সাদা সেলোয়ার, কাঁধে ব্যাগ, চুলে ক্লিপ, রঙিন ব্যান্ড, সবকিছু মিলে বেশ একটা মুগ্ধতা ছড়ানো হেটে চলা।

আর ধীরে ধীরে বেশ কিছুটা কাছে চলে আসাতে আরও অবাক হয়ে দেখতে লাগলো, ভীষণ আলতো করে পা ফেলছে রাস্তায়। যেন রাস্তাও বুঝতে না পারে যে কেউ এই পথে হেটে চলেছে। সবকিছু মিলেই একটা দারুণ আনন্দ ছড়িয়ে গেল ছেলেটির মনে।

এরপর থেকে সেই ছেলেটি প্রতিদিন ক্লাস থাকুক না না-থাকুক ১২:৩০ এর পর থেকে স্কুল কলেজের সব ছাত্র-ছাত্রী একই বাস স্ট্যান্ডের দিকে চলে না যাওয়া পর্যন্ত কলা ভবনের আম গাছের ফাঁকে ফাঁকে দাড়িয়ে থাকে। কখনো রোদে আর কখনো ছায়ায় আর যদি বৃষ্টি নামে তবে সিনেট ভবনের সিঁড়িতে বা বারান্দায়। যতক্ষণ সেই কলেজ পড়ুয়া সুইট মেয়েটি বাসে না ওঠে ততক্ষণ সে দাড়িয়ে থাকে। এভাবে বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থেকে মেয়েটি কোন বাসে যায় সেটিও খুঁজে পেল একদিন। মেয়েটি বর্ণালীর বাসে যায় আর ওই বাসেই যেহেতু যায় তার মানে সে ওই বাসেই কলেজে আসে।



প্রতিদিন মেয়েটির অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকে সে কোন ক্লান্তি ছাড়া, ভীষণ আনন্দ আর আগ্রহ নিয়ে। কিন্তু কখনো কথা বলা হয়না। সেই সাহস হয়ে ওঠেনা আর ছেলেটির। পাছে কোন শিক্ষক বা প্রভাবশালী কারো মেয়ে হলে, অভিযোগ করলে যদি শেষে ছাত্রত্ত বাতিল হয়ে যায়, সেই ভঁয়ে। অন্যান্য দিন ছেলেটির ভালোই কাটে শুধু শুক্রবারটা তার অসহ্য লাগে। কেননা এই দিন কোন ক্লাস থাকেনা, কলেজ বন্ধ থাকে আর সে মেয়েটিকেও দেখতে পায়না। সেই বেদনায় সে একা একা কষ্ট পায় আর আর অস্থির একটি দিন কাটায়, শুধু শনিবারের আশায়।

আবারো আসে শনিবার, ফিসে আসে ছেলেটির মুখে হাসি আর চঞ্চল হয় মন। সকাল সকাল বাস স্ট্যান্ড গিয়ে দাড়িয়ে থাকে বর্ণালীর বাসে অপেক্ষায়। বাস আসে ধুলো উড়িয়ে থেমে যায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে আর মেয়েটি নামে তার নিয়মিত কলেজের ড্রেস পরে। ছেলেটি মেয়েটিকে অনুসরণ করে হেটে যায় প্যারিস রোডের ধাঁর দিয়ে, বাগানের ভেতর দিয়ে, আর মেয়েটি প্যারিস রোডের বাম পাশের কিনারা ধরে। যেন মেয়েটি ছেলেটিকে দেখতে না পায়, ততটুকু দুরত্ত আর আড়াল রেখে। এভাবে দিন-মাস আর বছর কেটে যায়। ছেলেটি প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে কোন মতে উত্তীর্ণ হয়। আর মেয়েটিও কলেজের প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে।

নতুন বছরে ছেলেটি একটু সাহস করে মেয়েটির বাগান আম বাগান ছেড়ে প্যারিস রোডে ওঠে। আর এক একদিন এক-এক ভবনের ছোট্ট ইটের ব্রিজে বসে মেয়েটিকে দেখতে থাকে। তবে কথা বলার সাহস কিছুতেই সে অর্জন করতে পারেনা। তবে আগের চেয়ে একটু সাহস বাড়াতে রাস্তার কাছে এসে বসার উৎসাহ পেয়েছে সে। আপাতত এতটুকুও সান্ত্বনা।

আগামী বছর না হয় দেখা আর কথা বলার সাহস সঞ্চয় করে নেবে সে! ততদিনে আর একটু বড় হবে, ৩য় বর্ষে উঠবে, কিছুটা সাহসী হয়ে যাবে সেই আশাতে থাকে। এভাবে দেখতে দেখতে ছেলেটি ৩য় বর্ষে উঠে গেল কিন্তু কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মেয়েটিকে হারিয়ে ফেলল। কেননা অনেকদিন থেকে সবাই স্কুলে বা কলেজে আসে কিন্তু মেয়েটি আর আসেনা। সেই কষ্টে বুকে ধরেই ছেলেটি মন মরা হয়ে পরে থাকে, কখনো আম বাগানে কখনো প্যারিস রোডে।

এক সময় সামনে ভর্তি পরীক্ষার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায় কিছু দিনের জন্য। ছেলেটিকেও আর নিয়মিত দেখা যায়না প্যারসি রোডে বা আম বাগানের কোন ফাঁকে। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবার পরে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়। সবাই নিয়মিত ক্লাসে আসে আগের মতই কিন্তু ছেলেটিকে আর দেখা যায়না। কোথায় যেন সেও হারিয়ে গেল, সেই কলেজে পড়া মেয়েটির দেখা না পেয়ে আর হুট করে হারিয়ে যাওয়ার ব্যাথা সইতে না পেরে।

নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হল। নতুন পুরনো সবাই ক্লাস করতে আসছে-যাচ্ছে শুধু একটু ব্যাতিক্রম রয়েছে। আগে যেখানে যেসব যায়গায়, গাছের ফাঁকে ফাঁকে, প্যারিস রোডের ছোট ইটের ব্রিজে, রাস্তার মোড়ে-মোড়ে যে ছেলেটিকে দেখা যেত, সেখানে আর সেই ছেলেটিকে দেখা যায়না, তার পরিবর্তে যে মেয়েটি কলেজে যাওয়া-আসা করতো নিয়মিত এই পথে তাকে দেখা যায়! তবে আনন্দ আর উচ্ছ্বসিত নয়, বেদনাহত আর মন মরা হয়ে হাটে-বসে আর উদাস হয়ে কারো জন্যে অপেক্ষা করে সে! কিন্তু কার জন্য?

এভাবে মেয়েটি ভালো ছাত্রী থাকা সত্ত্বেও কোন রকমে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু তার দুপুরটা কাটে প্যারিস রোডের কোন না কোন যায়গায়, কাউকে মনে মনে খুঁজে ফিরে সে প্রতিদিন ফিরে যায় বাস স্ট্যান্ডে আর বাস চলে যাবার সময় তাকিয়ে থাকে বাইরের রাস্তার দিকে কাউকে যদি দেখা যায়, সেই প্রতীক্ষায়?

আজকাল আর মেয়েটির বাস স্ট্যান্ড ভালো লাগেনা একটুও। ভালো লাগেনা ওই বিশাল প্যারিস রোড বা ওর ছায়া, দেবদারু, কৃষ্ণচূড়া বা কড়ই গাছের বিশালতা। তাই সে অনেক কাকুতি-মিনতি করে বাসের ড্রাইভার মামার কাছে তারপর বাস একটু স্লো করলে নেমে যায় কাজলা গেটের মোড়ে স্পীড ব্রেকারের কাছে।

সেখানে নেমে হেটে-হেটে ক্লাসে যায়। প্যারিস রোডকে এড়াতে। নিজেকে নিজের সাথে মানিয়ে নিতে। স্কুলের পথ ধরে, ইবলিশ চত্বরের মাঠ পেরিয়ে সে তার ভবনে যায় ক্লাস শেষ করে আবার অন্য পথে বাস স্ট্যান্ড যায়। তবে কিছুতেই আর প্যারিস রোডে যায়না সে। সইতে পারেনা সে একা-একা অপেক্ষায় থাকা কারো জন্য, অনন্ত সময়ের জন্য।

কিন্তু আজও সে কাজলা গেট দিয়েই হেটে আসছিল। তবে রাস্তায় কোন ঝামেলা থাকায় রাস্তা বন্ধ ছিল, তাই বাধ্য হয়েই জুবেরি ভবনের সবুজ মাঠ দিয়ে হেটে চলেছে সে। জুবেরি ভবন পার হতেই বিশাল এক আম বাগান আর তার পরেই সেই বেদনা ভরা প্যারিস রোড। যেতে চায়না সে ওই পথে, কিন্তু নিরুপায় হয়েই ওই পথে পা বাড়াতে হল আজ। আর প্যারিস রোডে উঠতেই যেন চমকে গেল সে, দেখে সেই ছেলেটিকে যাকে সে হারিয়ে ফেলেছিল এক বছরের কিছু বেশী সময় আগে। যাকে সে আর খুঁজে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরে।

ছেলেটি ওকে দেখতে পায়নি, সে বন্ধুদের সাথে কথা বলছিল দাড়িয়ে দাড়িয়ে। কিন্তু মেয়েটি তাকে ঠিক চিনতে পেরেছে। দুই বছর ধরে সে যাকে দেখে এসেছে বিভিন্ন আম কাছের ছায়ায়, প্যারিস রোডের মোড়ে মোড়ে, বাস স্ট্যান্ডে, আর এক-এক সময় এক এক যায়গায়। যে ওকে ঠিক-ঠিক দেখতো কলেজ ছুটির পর বাস স্ট্যান্ডে যাবার সময়। তাই ঠিক চিনতে পেরেই চলে গেল সেই ছেলেদের কাছে আর গিয়েই ছেলেটির একদম সামনে দাঁড়ালো!

হারিয়ে ফেলা সেই মেয়েটিকে দেখেই ছেলেটি যেন স্তব্ধ হয়ে গেল, কোন কথাই বলতে পারলোনা। আগেও বলতে পারেনি কোনদিন কিছু। মেয়েটিই বলল কথা। দুই বছর দাড়িয়ে ছিলে আর হুট করে কোথায় হারালে?

মানে কি আমি যে দাড়িয়ে থাকতাম তুমি কি করে জানলে বা দেখলে? ছেলেটির প্রথম কথা মেয়েটির সাথে।

আমি দেখেছি, আমি বুঝেওছি কিন্তু আমি অপেক্ষায় ছিলাম যেদিন আমি এখানে ভর্তি হব সেদিন পর্যন্ত যদি তুমি আমার জন্য অপেক্ষা কর তবে আমি নিজেই তোমার সাথে গিয়ে কথা বলবো, ঠিক করে রেখেছিলাম।

"মেয়েরা কতকিছু দেখে, তোমরা ছেলেরা সেটা জানোনা"

কিন্তু আমি তো হারাই নি, তুমি-ই তো হারিয়ে গিয়েছিলে, হুট করে নেই নেই আর নেই! আমি হতাশ হয়ে এই প্রিয় প্যারিস রোডের দিকে আর আসতামনা তাই।

ওহ আমি তো কোচিং এর জন্য তিন মাস এদিকে আসিনি, কলেজের পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

আমি কি আর তা জানি?

আর আমি ভর্তি হবার পর থেকে তোমাকে এই প্যারিস রোডে খুঁজে মরছি। এক বছর ধরে আমি ঠিক ১২ থেকে ১২:৩০ এই সময়ে এই প্যারিস রোডেই হেটে হেটে তোমাকে খুঁজেছি। শেষে না পেয়ে আমিও এই প্রিয় প্যারিস রোড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য পথ ধরেছি, ঠিক যেমন তুমি করেছ।

চল আমরা আমাদের প্রিয় প্যারিস রোডে ফিরে যাই?

চল যাই, প্রিয় প্যারিস রোডে। আজ আমরা আমরা ওখানেই হাঁটবো, গল্প করবো, ছবি তুলবো আর বেদনায় প্রিয় প্যারিস রোডের নীল হয়ে যাওয়াটাকে আমাদের নতুন পথচলা দিয়ে রাঙিয়ে দেব? কি বল?

হুম চল...

ওরা দুজনে দুজনার হাতে হাত রেখে প্রিয় প্যারিস রোড কে আরও প্রিয় করে তুলল......

ওরা কেউই জানতোনা যে ওদের মন বদলে দিয়েছিল, একের মন অন্যের দখলে নিয়ে গিয়েছিল এই প্যারিস রোড!

তাই তো সেদিন থেকে ওরা দুজন, প্রিয় এই প্যারিস রোডের নাম দিয়েছিল...



“মন বদলের রাস্তা!”
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×