somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোর জন্য কি আইসক্রিম আনব না ফুল আনব?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে জীবনে কিছু ঘটনা ঘটে যা হয়ত নিয়তির বিধানে লেখা থাকে অনির্ধারিত, কিন্তু ঘটনার ফলাফল হয় অবশ্যম্ভাবী। (আমি কি বুজাতে চেয়েছি আমি নিজেও জানি না। প্রথম কোন রোমান্টিক গল্প লিখতে যাচ্ছি)
যেহেতু গল্পটা রোমান্টিক দুইতা ছেলেমেয়ে অবশ্যই থাকবে। আমি এখানে বাংলা মুভির কাহিনী বলব না। তো ছেলেটা আর মেয়েটার পটভূমি একটু বলি। ছেলেটার বেড়ে উঠা ঢাকাতে। বয়েজ স্কুল এ বেড়ে উঠা। কলেজ কম্বাইন্ড হলেও সরকারি হওয়ায় না গেলেও চলে। জগতে মেয়ে নামে একটা ব্যাপার আছে, এইটা যে দুর্ভেদ্য, একে যে আস্তে আস্তে জয় করতে হয় এইটা তার অজানা ছিল (খুব রবি দা র ডায়লগ মারলাম) । ভর্তি হল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট। আপাতত ছেলে পর্ব এখানেই। তো চলেন গল্পের রাজকুমারীর সাথে পরিচয়।
মেয়েতা চট্টগ্রামের। "বুইঙ্গা" বলতে পারেন। পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী। রয়েল ডিস্ট্রিক এর মেয়ে। আকার হাত খুবই ভাল। তো সাস্টে আর্কিটেকচার এ ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকারিণী। তো বুঝতেই পারছেন আর্কিটেক্ট হওয়ার জন্যই তার সাস্ট এ আসা। সবই তো বুঝলাম! মন দেয়া নেয়া শুরু হল কোথায়? চলেন পরিচয় করায়ে দেই দুজনকে।
সিনিওর এক ব্যাচ এর INTRO হচ্ছে। চার দিন ব্যাপী একটা FILM FEST হবে। ছেলেতা টিকেট কেটেছে A walk to remember movie টা দেখবে বলে। মুভি টা দেখাবে শেষদিন। তো ছেলেটা ওই সিনিওর ব্যাচ এর এক বড় ভাই এর সাথে থাকত। বড় ভাই বলল আমাদের ব্যাচ থেকে ডিসিশন নেয়া হয়েছে A walk to remember movie টা দেখানর সময় সূচি আগানো হয়েছে। আজ দেখাবে। আজকেই দেখাবে। ছেলেটা তড়িঘড়ি করে গেল। বুঝল একটা Prank ছিল। আজ শিডিউল অনুযায়ী দেখাবে The Croods। ওই দিকে মেয়েটার এনিমেশন খুব পছন্দ। যদিও ইচ্ছে ছিল ছেলেটার মত A walk to remember দেখবে। কিন্তু রুমমেট রা সবাই রেডি হচ্ছে The CROODS দেখার জন্য। সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। মেয়েটা একটা অদ্ভুত স্বভাব আছে। যখন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তখন "আম্মু আম্মু" বলে চিৎকার করে। রুমমেট রা তখন " অ্যান্টি অ্যান্টি " বলে খেপায়। আজ অবশ্য তেমন কিছুই হল না। ওরা বের হবে এমন সময় মেয়েটিও বলল আমিও যাব। দুই মিনিট সময় দে রেডি হচ্ছি।
মুভি দেখা শেষ হল। সবাই বের হচ্ছে। ছেলেটার এক মেয়ে ক্লাসমেট এর সাথে দেখা হল। আর এই মেয়ে ক্লাসমেট এর সাথেই আমাদের আজকের গল্পের রাজকুমারী। তো বলেন তো রাজপুত্র আর রাজকন্যার চোখাচোখি তে কি কোন শিহরণ খেলে গিয়েছিল দুজনের মধ্যে? আসলে কিছুই হয়নি। মেয়েটির কেন যেন ওই মুহূর্তেই জুতার ফিতা বাঁধার দরকার হল। আর ছেলেটি ওই ফিতা বাধাই দেখছিল। ছেলেটা আশা করেছিল অর ক্লাসমেট মেয়েটি আমাদের গল্পের নায়িকার সাথে নায়কের পরিচয় করিয়ে দিবে। কিছুই হল না। নায়িকাই বাধ্য হয়ে নায়ক বলল হায়। ওরা পরিচয় পর্ব সেরে নিচ্ছিল ক্লাসমেট এদিক দিয়ে ফুড়ুৎ! আস্তে আস্তে অডিটোরিয়াম ফাকা ফাকা হতে লাগল। মেয়েটার কোন রুমমেট নাই। ওকে একা রেখেই চলে গেল। আমাদের নায়কের তো দায়িত্ব পড়ে এখন নায়িকাকে রুম পৌঁছে দিয়ে আসা। ওরা হাঁটতে লাগল। কোন রোমান্টিক কথা কিন্তু হচ্ছিলনা। কি নিয়ে কথা হচ্ছিল জানেন?
দাঁত নিয়ে। দাঁতের মোলার, প্রিমলার, ক্যানাইন এইসব নিয়ে। কুকুরের কেন হাড় ভাল খেতে পারে? টুথপেস্ট এর প্রধান উপাদান ফ্লুরাইড কেন? এইসব নিয়ে? পুরো কিলো রোড এই নিয়েই আলাপ হল।
মেয়েটি এর পরদিন ই চট্টগ্রাম চলে গেল। সেমিস্টার ফাইনাল এর ছুটি হওয়ার কারনে। ৭ দিন পর মেয়েটি আবার আসবে সিলেট। মেয়েটি ছেলেটাকে অনুরোধ করল ওকে রেল স্টেশন থেকে রিসিভ করতে পারবে কিনা? ছেলেটা তো এক পায়ে রাজি। কিন্তু কিছু গিফট নিতে হবে? কি নেয়া যায়? তখন ছেলেটি মেয়েটিকে ফোন দিয়ে বলল " তোর জন্য কি আইসক্রিম আনব না গোলাপ ফুল আনব"
আচ্ছা একটা ছবি দেখি চলেন তাহলেই বুঝব মেয়েটির জন্য ছেলেটি কি এনেছিল? আর মেয়েটি কত যতনে উপহারটি সাজিয়েছিল।

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×