কোয়ান্টাম ফিজিক্সে জারগন একটা বাক্য হচ্ছে প্রকৃতি কোয়ান্টাম ফিজিক্স মেনে চলে। সাধারণ মানুষ হিসেবে এইটা অনুভব করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রকৃতি যে আসলেই কোয়ান্টাম ফিজিক্স মেনে চলে এইটা বুঝার একটা ভাল উপায় হতে পারে, প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কোয়ান্টাম মেকানিকস দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারলে।
প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডায়নামিক্স দিয়ে খুব সহজেই ব্যাখ্যা করা যাবে। এইবারে বই মেলায় বিশ্বসাহিত্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত " ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম" বইটি পাওয়া যাচ্ছে। প্যাভিলিওন-২৪ থেকে। মূল্য ১৮০ টাকা মাত্র। পাওয়া যাবে মেলার প্রথম দিন থেকেই।
বইয়ের সূচি-
১। পূর্বকথা
২। আংশিক প্রতিফলন
৩। কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডায়নামিকস
৪। সাবানের বুদবুদ
৫। আপতন কোন এবং প্রতিফলন কোন কেন সমান?
৬। অপবর্তন গ্রেটিং এবং রংধনু
৭। আলোর প্রতিসরণ কেন হয়
৮। আলোর সরল-গরল পথ
৯। লেন্স তৈরির রহস্য
১০। ব্যতিচার
১১। ইলেকট্রন কি আলোর বেগে চলতে পারে?
১২। ফোটন ও ইলেকট্রনের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক
১৩। ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম
১৪। ইলেকট্রনের প্রতিকণা পজিট্রন
১৫। লেজার এবং পলির বর্জন নীতি
১৬। কোয়ার্ক কণা
১৭। বিটা রশ্মির বিকিরণ
১৮। সবল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল
১৯। আরও আরও পারটিকেল
সূচির দিকে তাকালে বইয়ের বিশেষত্ব খুব ভালভাবে বুঝা যাবে। খুব সাধারণ ব্যাপারগুলো কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডায়নামিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন; উত্তল লেন্স কেন আলো এক বিন্দুতে মিলিত করবে? সাবানের বুদবুদ, রংধনু কেন রঙিন হবে? ক্রিস্টালের গঠন নির্ণয় কিভাবে কোয়ান্টাম মেকানিকস মেনে চলে। এমনকি সবল দুর্বল নিউক্লিয় বল ব্যাখ্যা করা হয়েছে কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডায়নামিক্স দিয়ে। আর ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম তো আছেই।
তো চলে আসুন প্যাভিলিয়ন-২৪ এ।
বিদ্রঃ আমার লেখালেখির হাতেখড়ি এই ব্লগেই । ফলে লেখক পরিচিতিতে সামু ব্লগের নাম লিখতেই হয়েছে। বইয়ের সব কাজ ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে যে যোগদান করেছি সেইটা বলা হয় নি বই এ( সুযোগে নিজের ঢোল পিটালাম)। সামু ব্লগের সব সদস্যদের প্যাভিলিওন-২৪ এ স্বাগতম এবং আমার অটোগ্রাফ সহ বইটি কিনবেন ।
দেখা হবে বই মেলায়। কথা হবে ফাইনম্যান নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩১